কারখানার বাইরেও দিতে হবে সুরক্ষা

ফাইল ছবি

কারখানার বাইরেও নারী পোশাককর্মীদের প্রজননস্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হবে। গতকাল বৃহস্পতিবার এসএনভি-প্রথম আলো আয়োজিত ভার্চ্যুয়াল আলোচনা সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন।

নেদারল্যান্ডস দূতাবাসের সহযোগিতায় পরিচালিত এসএনভি বাংলাদেশের ওয়ার্কিং উইথ ওমেন প্রকল্প-২ এবং প্রথম আলোর যৌথ উদ্যোগে ‘পোশাক খাতে প্রজনন স্বাস্থ্যসেবা’ শিরোনামে ছয় পর্বের আলোচনা সভার পঞ্চম পর্ব ছিল এটি। বক্তারা স্বাস্থ্যের বিষয়টি মাথায় রেখে নারী কর্মীদের অর্থ সঞ্চয় ও পরিবারের সদস্যদের মধ্যে সচেতনতা বাড়ানোর ওপরও জোর দেন।

সভায় কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের উপমহাপরিদর্শক (স্বাস্থ্য) মতিউর রহমান বলেন, কারখানার ভেতরে–বাইরে প্রজননস্বাস্থ্য সুরক্ষায় সমান ব্যবস্থা না থাকলে নারী কর্মীরা উপকৃত হবেন না। একজন নারী কর্মী যখন প্রসবকালীন গ্রামে চলে যান, তখন তিনি গ্রামে গিয়ে কী কী সুবিধা পেতে পারেন, সে সম্পর্কে কারখানা থেকে একটি দিকনির্দেশনা দেওয়া যেতে পারে।

পোশাক কারখানা অকোটেক্স গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবদুস সোবহান বলেন, নৈতিক মানবিক বোধ থেকেই নারী কর্মীদের প্রজননস্বাস্থ্য সুরক্ষায় কাজ করতে হবে। মালিকপক্ষ এখন এই বাস্তবতা বোঝেন যে কর্মীর স্বাস্থ্য ভালো থাকার সঙ্গে কারখানায় ভালো উৎপাদন জড়িত। এখন কারখানা থেকে নারী কর্মীর পরিবারকেও স্বাস্থ্য সুরক্ষায় নজর রাখার বিষয়ে সচেতন করা হয়।

জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ও খাজা বদরুদদোজা মডার্ন হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. বখতিয়ার বলেন, ভালো কারখানাগুলোতে কর্মীদের জন্য যেসব স্বাস্থ্য সুরক্ষামূলক ব্যবস্থা থাকে, তা কর্মীদের মেনে চলতে দেখা যায়। তবে কারখানার বাইরে তা মেনে চলার ক্ষেত্রে কর্মীরা ততটা সচেতন নন।

বাংলাদেশ জাতীয় গার্মেন্টস শ্রমিক কর্মচারী লীগের সভাপতি সিরাজুল ইসলাম বলেন, শ্রমিকদের জন্য সারা দেশে শিল্প অঞ্চলভিত্তিক স্বাস্থ্যসেবা দরকার। এখানে অগ্রাধিকার দিতে হবে পোশাক কারখানাকে। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন প্রথম আলোর সহকারী সম্পাদক ফিরোজ চৌধুরী।