কাল থেকে বাস চালুর প্রস্তুতি, নির্দেশনা

ঈদে ঘরমুখো মানুষের চাপে রাজধানীর গাবতলীতে বাসের ভিড়
ফাইল ছবি

টানা তিন সপ্তাহ বন্ধ থাকার পর আগামীকাল বৃহস্পতিবার থেকে গণপরিবহন চালুর প্রস্তুতি নিচ্ছেন পরিবহনের মালিক-শ্রমিকেরা। সরকারের সিদ্ধান্ত মেনে বৃহস্পতিবার ভোর থেকে রাজধানী ঢাকাসহ সব জেলায় বাস চালুর ঘোষণা দিয়েছে ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতি। তবে আন্তজেলা গণপরিবহন বন্ধ থাকবে।

এ ক্ষেত্রে সমিতির পক্ষ থেকে পরিবহনের মালিক, শ্রমিক ও যাত্রীদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার জন্য বেশ কিছু নির্দেশনা দিয়েছে। এগুলো হচ্ছে মাস্ক ছাড়া কোনো যাত্রী ওঠানো যাবে না। যানবাহনের শ্রমিকদের মাস্ক সরবরাহ করবে ওই যানের মালিক। যাত্রীবাহী যানের অর্ধেক আসন ফাঁকা রাখতে হবে। অর্থাৎ দুই আসনের সারিতে একজন করে বসবেন। দাঁড়িয়ে কোনো যাত্রী পরিবহন করা যাবে না। লকডাউনের কারণে এমনিতেই সাধারণ মালিক-শ্রমিকেরা কষ্টে আছেন। এ অবস্থায় পরিবহন সমিতি বা কোম্পানির নামে কোনো জিপি (গেটপাস) আদায় করা যাবে না।

করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে চলমান বিধিনিষেধ ১৬ মে পর্যন্ত বাড়িয়ে আজ বুধবার প্রজ্ঞাপন জারি করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, আন্তজেলা গণপরিবহন বন্ধ থাকবে। তবে ৫ মের পর যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালন সাপেক্ষে জেলার অভ্যন্তরে গণপরিবহন চলাচল করতে পারবে। ট্রেন ও লঞ্চ চলাচল আগের মতোই বন্ধ থাকবে।

সড়ক পরিবহনমালিক-শ্রমিক সূত্রগুলো বলছে, জেলার অভ্যন্তরে যানবাহন সীমাবদ্ধ রাখা কঠিন। যেমন ঢাকায় যেসব বাস চলাচল করে, এর একটা বড় অংশেরই যাত্রার স্থান বা শেষ গন্তব্য ঢাকার বাইরে। যেমন গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ, মুন্সিগঞ্জ, মানিকগঞ্জ—এসব জেলা থেকে প্রতিদিন শত শত বাস ঢাকায় প্রবেশ করে এবং বের হয়। এগুলোর ঢাকায় এবং ওই সব জেলায় চলার বৈধ অনুমতি আছে।

একজন পরিবহনমালিক নাম প্রকাশ না করার শর্তে প্রথম আলোকে বলেন, সরকারি প্রজ্ঞাপনে জেলার ভেতরে বাস চলতে পারবে।

এ ক্ষেত্রে কেরানীগঞ্জ, সাভার, ধামরাই, আশুলিয়া ঢাকা জেলার অন্তর্ভুক্ত। ফলে এসব এলাকার বাস অন্য জেলায় যাবে না, এটা নিশ্চিত করাও কঠিন। এ জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ব্যাপক তৎপরতা দরকার।

করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে সরকার চলতি বছর প্রথমে ৫ এপ্রিল থেকে সাত দিনের জন্য গণপরিবহন চলাচলসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ জারি করেছিল। পরে তা আরও দুদিন বাড়ানো হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না আসায় ১৪ থেকে ২১ এপ্রিল পর্যন্ত আরও কঠোর বিধিনিষেধ দিয়ে ‘সর্বাত্মক লকডাউন’ শুরু হয়। সেটি পরে ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছিল।

এরপর আবার তা ৫ মে পর্যন্ত বাড়ানো হয়, যা আবার বাড়ল। তবে গত ২৫ এপ্রিল থেকে দোকান ও শপিংমল খুলে দেওয়া হয়েছে। খোলা রয়েছে ব্যাংকও। এ ছাড়া জরুরি কার্যক্রমের সঙ্গে জড়িত অফিসগুলোও খোলা।