কুমিল্লায় করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা এক হাজার ছাড়াল

রাজধানী ঢাকা ও বন্দরনগরী চট্রগ্রামের মধ্যবর্তী জেলা কুমিল্লায় কোভিড–১৯–এ আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা এক হাজার ছাড়িয়ে গেছে। আজ সোমবার নতুন করে ৪৯ জন শনাক্তের মধ্যে দিয়ে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ২০ জনে। জেলা করোনাবিষয়ক ফোকাল পারসন ও কুমিল্লার ডেপুটি সিভিল সার্জন মো. সাহাদাত হোসেন প্রথম আলোকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আজ নতুন শনাক্ত ৪৯ জনের মধ্যে কুমিল্লা সিটি করপোরেশন এলাকায় ১২ জন, চৌদ্দগ্রামে ১৩ জন, বুড়িচংয়ে ৯ জন, আদর্শ সদর ও নাঙ্গলকোট উপজেলায় ৫ জন করে, মুরাদনগরে ৩ জন, মেঘনা ও ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলায় ১ জন করে আছেন। এদিন সুস্থ হয়েছেন আদর্শ সদর উপজেলায় তিনজন ও মেঘনা উপজেলায় একজন। তবে এদিন কোনো রোগী মারা যাওয়ার খবর পাওয়া যায়নি।

জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের মেডিকেল অফিসার মো. এনামুল হক বলেন, কুমিল্লা জেলায় গত ৯ এপ্রিল প্রথম করোনা শনাক্ত হয় বুড়িচং উপজেলার ময়নামতি ইউনিয়নের জিয়াপুর গ্রামের দুই শিশুর শরীরে। এরপর থেকে ১০ মে পর্যন্ত এক মাসে রোগী ছিল পুরো জেলায় ১৫১ জন। গত ২২ দিনে আজ পর্যন্ত রোগী লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়ে হয়েছে ৮৬৯ জন। আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে জেলায় মোট সুস্থ হয়েছেন ১৪২ জন। মারা গেছেন ২৮ জন।

জেলার ১৭টি উপজেলার মধ্যে সিটি করপোরেশন এলাকা ও ৯টি উপজেলা মিলিয়ে সংক্রমিত হয়েছেন ৮৪১ জন। এদিকে আজ সোমবার পর্যন্ত সর্বোচ্চ রোগী শনাক্ত হয়েছে কুমিল্লা জেলার দেবীদ্বারে ১৫৮ জন। এরপর কুমিল্লা সিটি করপোরেশনে ১৪৬ জন, মুরাদনগর উপজেলায় ১৪৪ জন, চান্দিনা উপজেলায় ১০২ জন, লাকসামে ৬৮ জন, নাঙ্গলকোটে ৬৫ জন, বুড়িচংয়ে ৬১ জন, আদর্শ সদরে ৫০ জন ও চৌদ্দগ্রামে ৪৭ জন আছেন।

জেলা সিভিল সার্জন মো. নিয়াতুজ্জামান বলেন, কুমিল্লা জেলায় এক হাজার রোগী ছাড়িয়ে গেছে। জেলার আটটি উপজেলার মধ্যে পাঁচটি উপজেলা ভৌগলিকভাবে একদিকে অবস্থিত এবং অপর তিনটি উপজেলা লাকসাম, নাঙ্গলকোট ও চৌদ্দগ্রাম উপজেলা পাশাপাশি অবস্থিত। এই সব উপজেলার সঙ্গে জেলা শহরের সংযোগ। ফলে কমিউনিটিতে এটি দ্রুত সংক্রমিত হচ্ছে। এই অবস্থায় সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে।