কুমিল্লায় কিশোর আদিল হত্যার বিচার দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল

কুমিল্লা মডার্ন হাইস্কুল থেকে সদ্য এসএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ আজমান আদিল হত্যার বিচার দাবিতে গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় কুমিল্লার পূবালী চত্বরে মোমবাতি প্রজ্বালন করে সহপাঠীরা। এ সময় শিক্ষার্থীরা হত্যাকাণ্ডে জড়িত আসামিদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানায়।

স্থানীয় লোকজন জানান, গতকাল বৃহস্পতিবার ইফতারের পর নগরের বিভিন্ন এলাকা থেকে স্কুল ও কলেজের শিক্ষার্থীরা মোমবাতি নিয়ে কুমিল্লার কান্দিরপাড় পূবালী চত্বরে জড়ো হয়। তারা পূবালী ব্যাংকের সিঁড়িতে মোমবাতি প্রজ্বালন করে মৌন প্রতিবাদ জানায়। পরে শিক্ষার্থীরা নগরের কান্দিরপাড় থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু করে। মিছিলটি কুমিল্লা জিলা স্কুল এলাকায় গিয়ে শেষ হয়।

শিক্ষার্থী আদনান সাইফ ও নাজমুল হাসান জানায়, কয়েক দিনের ব্যবধানে কুমিল্লা মডার্ন হাইস্কুলের দুজন শিক্ষার্থী নিহত হলো। নগরের কিশোর অপরাধীরা এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত বলে অভিযোগ করে তারা। তারা বলে, ‘কিশোর অপরাধীদের ধরতে হবে। আমরা ভাই হত্যার বিচার চাই।’

কুমিল্লার কোতোয়ালি মডেল থানার পুলিশ গত মঙ্গলবার দিবাগত রাত দুইটার দিকে কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলার লক্ষ্মীপুর গ্রাম থেকে মামলার তিন আসামিকে গ্রেপ্তার করে। আটক তিনজনের মধ্যে কুমিল্লা নগরের মোগলটুলী এলাকার মোহাম্মদ হোসেনের ছেলে মোস্তফা আল হাদী অনিকের (১৮) পরিচয় নিশ্চিত করেছে পুলিশ। বাকি দুজন ১৭ বছর বয়সী দুই কিশোর।

কুমিল্লার কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আবু ছালাম মিয়া বলেন, ‘আমরা মূল আসামিদের গ্রেপ্তার করেছি। অন্যদেরও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।’

গত সোমবার রাত সাড়ে নয়টায় কুমিল্লা নগরের মোগলটুলী এলাকায় আজমান আদিলের মোটরসাইকেল অনিকের গায়ে লাগে। ওই ঘটনার জের ধরে রামদা দিয়ে কুপিয়ে ও ছুরিকাঘাত করে হত্যা করা হয় আজমান আদিলকে।

আদিল কুমিল্লা জেলা ও দায়রা জজ আদালতের অবসরপ্রাপ্ত নাজির আবদুস সাত্তারের ছেলে। তাদের গ্রামের বাড়ি চান্দিনা উপজেলার মহিচাইল গ্রামে।