কৃষক কি কেবলই উৎপাদন বাড়ানোর ‘যন্ত্র’

ধানের পোকা দমনে কীটনাশক ছিটানোর কাজ করছেন কৃষিশ্রমিকেরা। এতে প্রতিনিয়ত স্বাস্থ্যহানি হচ্ছে তাঁদের। গত বৃহস্পতিবার বগুড়ার শেরপুর উপজেলার আম্বইল এলাকায়।ছবি: সোয়েল রানা

তিন সপ্তাহ জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে (কোমা) থাকার পর চলতি বছরের প্রথম দিন নোয়াখালীর কৃষক আবদুর রহমান ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যান। দেশের মানুষের গড় আয়ু যখন আশির ঘরে আসি আসি করছে, তখন কৃষক আবদুর রহমানের মৃত্যু হয় মাত্র ৫৫ বছর বয়সে।

আবদুর রহমান রোগে ভুগছিলেন অনেক দিন ধরে। শেষমেশ গত বছরের আগস্টে তাঁর ফুসফুসে ক্যানসার ধরা পড়ে। জাতীয় ক্যানসার গবেষণা ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে তাঁর কেমোথেরাপি চলছিল। মারাত্মক অসুস্থতা ও দুর্বলতার কারণে তিনি গত ডিসেম্বরে বাথরুমে পড়ে মাথায় আঘাত পান। আর জ্ঞান ফেরেনি।

করোনা সংক্রমণ শুরুর আগের বছর, অর্থাৎ ২০১৯ সালে দেশে ফসলের মাঠেই কৃষকের গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ার বেশ কিছু ঘটনা ঘটে। কীটনাশক ছিটানোর সময় তাঁদের মধ্যে কেউ কেউ মারাও যান। এ ধরনের মৃত্যুর খবর সেই বছর সংবাদপত্রে প্রথম ছাপা হয় ৪ মার্চ, যেখানে বলা হয়েছিল, চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলার মনপুরা গ্রামের আবু সুফিয়ানের ২০ বছর বয়সের ছেলে তারেক হোসেনের মর্মান্তিক মৃত্যুর কথা। এমন মৃত্যুর আরও খবর আসতে থাকে বগুড়া, পাবনা, জয়পুরহাট, টাঙ্গাইলসহ আরও কিছু জেলার নানা প্রান্ত থেকে।

এসব মৃত্যুর ঘটনায় তেমন কোনো তদন্ত হয়নি। কী কারণে মানুষগুলো মারা গেলেন, তা গভীর তদন্ত করে খুঁজে বের করার তাগিদ দেখায়নি কেউ। চাঁদপুরে সুফিয়ানের মৃত্যুর ঘটনার খবর পেয়ে দুই দিন পর পুলিশ গিয়েছিল মনপুরা গ্রামে। ওই পর্যন্তই।

কৃষকের কোনো অভিযোগ নেই কেন

মাঠে কৃষকের মৃত্যু নিয়ে ২০১৯ সালের ২১ অক্টোবর ‘খেতেই ঢলে পড়ছেন কৃষকেরা’ শীর্ষক এক মন্তব্য প্রতিবেদন ছাপা হয়েছিল প্রথম আলোতে। সেই প্রতিবেদন প্রকাশের পর বিচার বিভাগীয় তদন্তের দাবি জানিয়ে এক যৌথ বিবৃতি দিয়েছিলেন দেশের গণ্যমান্য ব্যক্তিরা। কতিপয় মানবাধিকার সংস্থা আদালতেও যাওয়ার অঙ্গীকার করেছিল। ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের অনাগ্রহের কারণে নাকি তারা আর তাড়া অনুভব করেনি। এরপর তো করোনার চাপে সবকিছুই চাপা পড়ে যায়, আড়ালে চলে যায় কৃষকের মৃত্যুর ঘটনাও।

সব তালিকায় সবার নিচে থাকা কৃষককে নিয়ে ভাবার সময় কোথায়? যে কৃষক সবার জন্য খাদ্য উৎপাদন করেন, সেই কৃষককে এখন সবাই শোষণ করে। কিন্তু তাঁরা টুঁ শব্দও করতে পারেন না। তাই কৃষক বা কৃষক পরিবার মামলার বাদী হতে চায় না, কোনো ঝামেলায় জড়াতে চায় না। অনেক ক্ষেত্রে কীটনাশক কোম্পানিগুলো ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের ‘ম্যানেজ’ও করে।

কৃষকেরা এখন ক্যানসারের প্রধান শিকার

দেশে ফসলের মাঠে ধড়ফড়িয়ে মারা যাওয়ার পাশাপাশি এখন কৃষকদের ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়ার অনেক খবর পাওয়া যাচ্ছে।

সরকারি ক্যানসার চিকিৎসাপ্রতিষ্ঠান জাতীয় ক্যানসার গবেষণা ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল (এনআইসিআরএইচ) সম্প্রতি তাদের তথ্য-উপাত্ত দিয়ে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। হাসপাতালটির ক্যানসার এপিডেমিওলজি বিভাগের সর্বশেষ প্রতিবেদনের (ক্যানসার রেজিস্ট্রি রিপোর্ট: ২০১৫-১৭) পরিসংখ্যান বলছে, প্রতিবছর হাসপাতালটিতে যত রোগী ক্যানসারে আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হন, তাঁদের প্রায় এক-তৃতীয়াংশ সাধারণ কৃষক। এ ছাড়া শনাক্ত ব্যক্তিদের মধ্যে কৃষকের হারও এখন দিন দিন বেড়ে চলেছে।

বলা বাহুল্য, এনআইসিআরএইচের হিসাব ঢাকায় তাদের কাছে যাওয়া রোগীদের হিসাব মাত্র। অনেক কৃষকের পক্ষে ঢাকায় আসা, এমনকি বিভাগ ও জেলা শহরে চিকিৎসার জন্য যাওয়ার খরচ জোটানো সাধ্যের বাইরে। সেই সব কৃষকের হিসাব আমরা কোথায় পাব?

ভারতেও কৃষকের ক্যানসার বাড়ছে

বাংলাদেশ থেকে রোগী নিয়ে চিকিৎসার জন্য ভারতে যাওয়ার তৌফিক যাঁদের আছে, তাঁরা রাজস্থানের আচার্য তুলসী রিজওনাল ক্যানসার ইনস্টিটিউট অ্যান্ড রিসার্চ সেন্টারের নাম শুনে থাকবেন। সেখানে উত্তর ভারতের ক্যানসারে আক্রান্ত কৃষকদের প্রায় নিখরচায় চিকিৎসা দেওয়া হয়। উত্তর ভারতে, বিশেষ করে পাঞ্জাবের কৃষকদের মধ্যে ক্যানসার দিন দিন বেড়ে চলেছে। সেখানে প্রাণঘাতী ব্যাধিটির প্রকোপ বেশি হওয়ার পেছনে অনিয়ন্ত্রিত মাত্রায় কীটনাশক ও রাসায়নিক সারের ব্যবহার, দূষণের মাত্রা বৃদ্ধি ও কর্তৃপক্ষের উদাসীনতাকেই দায়ী করছেন স্থানীয় লোকজন।

আমরা জানি, ভারত ও বাংলাদেশের কৃষিবাস্তবতা এক নয়। উত্তর ভারতের কৃষকের শারীরিক কাঠামো, প্রযুক্তি ও যন্ত্রের ব্যবহার, আবহাওয়া, খাদ্যাভ্যাস, জমির আকার, মালিকানা, ফসলের বাজার বিবেচনা, সরকারি ক্রয়নীতি, প্রণোদনার মান ও মাত্রা—কোনো কিছুই আমাদের সঙ্গে মেলে না। সবকিছুতেই মিলের চেয়ে গরমিল বেশি। তাহলে কেন এই প্রাণঘাতী ব্যাধির বিস্তারে এত মিল পাওয়া যাচ্ছে? পৃথিবীতে এখন কোম্পানি আর সিন্ডিকেটের শাসন—সেই হাত গলেই কি একই ধরনের বাতিল কীটনাশক দুই দেশেই রাজত্ব করেছে? মহারাষ্ট্রের কিশোর তিওয়ারির প্রতিবেদন কিন্তু সেদিকেই ইঙ্গিত করছে।

গবেষণায় ঘাটতি

রোগের পেশাভিত্তিক কার্যকারণ নিয়ে বাংলাদেশে ফলিত গবেষণার ঘাটতি সব সময়ের সমস্যা। ক্যানসারের ক্ষেত্রেও তা-ই ঘটেছে। কেন কৃষক বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন? আক্রান্ত কৃষকদের কোনো শ্রেণিবিভাজন আছে কি না। তাঁদের কৃষিচর্চায় কোনো সাযুজ্য বা রকমফের আছে কি না, তা নিয়ে গবেষণার অভাবে কেউ হলফ করে কিছু বলতে পারে না।

ভারতের কার্যকারণ খোঁজার চেষ্টা হয়েছিল। দেশটির পাঞ্জাবের কৃষক জারনাইল সিংয়ের আবেদনে সাড়া দিয়ে সেখানের পোস্টগ্র্যাজুয়েট ইনস্টিটিউট অব মেডিকেল এডুকেশন অ্যান্ড রিসার্চের গবেষকেরা বিষয়টি খতিয়ে দেখতে এক অনুসন্ধান শুরু করেন ২০১৮ সালে। তাঁরা দেখতে পান, যেসব এলাকায় কৃষকদের মধ্যে মাত্রাতিরিক্ত কীটনাশক ব্যবহারের প্রবণতা রয়েছে, সেসব এলাকায় ক্যানসারের প্রাদুর্ভাবও অনেক বেশি। জারনাইল সিংও এ ধারণাই করেছিলেন। এরই মধ্যে জারনাইল সিংয়ের পরিবারের সাত সদস্য ক্যানসারে আক্রান্ত হন। মারা যান তিনজন।

বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বিভিন্ন গবেষণায় বিভিন্ন দেশে কৃষি রাসায়নিকের যথাযথ নিবন্ধন না হওয়া, স্বীকৃত নির্ধারিত মাত্রায় সেগুলো ব্যবহার না হওয়া, কীটনাশক ব্যবহারের সময় ব্যক্তিগত সুরক্ষাব্যবস্থার অপ্রতুলতা বা অনীহা, আন্তর্জাতিক নীতিমালার আলোকে জাতীয় পর্যায়ে এ-সম্পর্কিত সুনির্দিষ্ট নিয়ন্ত্রণ বিধিমালা না থাকা, তদারকির ঘাটতি, জাতীয় পর্যায়ে সংশ্লিষ্ট ল্যাবরেটরি ও সক্ষমতা না থাকা প্রভৃতি বিষয়ে উদ্বেগ জানানো হয়।

বাংলাদেশের জাতীয় ক্যানসার গবেষণা ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের ক্যানসার এপিডেমিওলজি বিভাগের প্রধান একটি সেমিনারে বলেছিলেন, দেশে ক্যানসার রোগের প্রাদুর্ভাব নিয়ে বড় পরিসরে গবেষণা প্রয়োজন। এ ক্ষেত্রে আরও গভীরে গিয়ে গবেষণা চালালে কোন পেশায় কী কারণে ক্যানসার রোগের প্রাদুর্ভাব বাড়ছে, তা সুনির্দিষ্টভাবে চিহ্নিত করে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়া যাবে।

গবেষণার প্রয়োজনীয়তা ও আগ্রহ কোনোটারই কমতি নেই। তবু কৃষকের স্বার্থ আর স্বাস্থ্য নিয়ে কারও কোনো হেলদোল নেই। কৃষক যেন কেবলই উৎপাদন বাড়ানোর যন্ত্র। তাঁর শ্বাস-স্বাস্থ্য কোনোটাই যেন বিবেচনার বিষয় নয়।

ভারতে প্রতিবাদের ফল

সাহস করে সংগঠিত হয়ে ভারতের মহারাষ্ট্রের কৃষকেরা কীটনাশক কোম্পানিগুলোর বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলেছিলেন। কৃষকদের দাবির মুখে ২০১৮ সালে মহারাষ্ট্র সরকার প্রত্যেকের পরিবারকে দুই লাখ রুপি করে সহায়তা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে একটি তদন্ত কমিশন গঠন করে। কমিটির প্রধান কিশোর তিওয়ারি অনুসন্ধানে প্রমাণ পাওয়ার পর বলেন, এই কৃষক-মৃত্যু আসলে গণহত্যা। তিনি এর জন্য রাষ্ট্র ও একটি বিশেষ বহুজাতিক কোম্পানিকে দায়ী করেন।

কিশোর তিওয়ারির দল পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখে, যে কীটনাশকটি ফসলে ছিটাতে গিয়ে চাষিদের মৃত্যু হয়েছে, তা অত্যন্ত বিষাক্ত ও নিষিদ্ধ। সেটি প্রয়োগ করতে গেলে ব্যাপক সুরক্ষামূলক ব্যবস্থা নিতে হয়। তদন্ত কমিশন প্রশ্ন তোলে, নিষিদ্ধ কীটনাশক উৎপাদন কী করে হলো? এগুলো তৈরির সময় কেন জাতিসংঘের নীতিমালা মানা হয়নি?

বাংলাদেশের কৃষকদের সে কপাল নেই। এখানে কৃষক মরলে কেউ স্বপ্রণোদিত হন না। কৃষক তাঁর ফরিয়াদের কথা সিরিয়ার শিশুর মতো সৃষ্টিকর্তার জন্য তুলে রাখেন। তাকিয়ে থাকেন সাত আসমানের দিকে। গলায় ফাঁস নিলেও তাঁদের মাথাটা আকাশপানেই তোলা থাকে।

প্রেক্ষাপট কি এক?

বাংলাদেশের কৃষকদের বোকা বলে বকা দিয়ে কীটনাশক কোম্পানিগুলো তাদের যাত্রা শুরু করেছিল। সারা দেশে পোস্টার লাগিয়ে, ব্যানার টাঙিয়ে ও বিলবোর্ডে বিজ্ঞাপন দিয়ে তারা লিখে দিয়েছিল, ‘বোকার ফসল পোকায় খায়’। রেডিও-তথ্যচিত্র সর্বত্র ছিল সেই একই কথন—‘কৃষক তুমি বোকা, আর আমি বিষ বেচি, আমি চালাক। রাতারাতি চালাক হতে পারবে, যদি এই বিষ, ওই বিষ চটজলদি কিনে নাও।’ বালাই দমনে কৃষক সেভাবেই ঝুঁকেছিলেন বিষের দিকে। তবে এখন যেন বিষ ব্যবহারের মাত্রা ছাড়িয়ে যাচ্ছে।

বাংলাদেশে এখন বছরে ৫০ হাজার টনের বেশি কীটনাশক আমদানি হয়। ফসলে অতিরিক্ত কীটনাশকের ব্যবহার ও তার অবশিষ্টাংশ (রেসিডিউ) বাজারে শাকসবজিতে থেকে যাওয়ার বিষয়টি একাধিক পরীক্ষায় উঠে এসেছে। যেমন ২০১৬ সালে জনস্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের ন্যাশনাল ফুড সেফটি ল্যাবরেটরির এক পরীক্ষায় শীতকালীন সবজি ফুলকপিতে মানবদেহে সহনীয় মাত্রার ৩৬ গুণ বেশি কীটনাশক পাওয়া যায়।

অতিব্যবহারের ফলে মানুষের শরীরে আগের অ্যান্টিবায়োটিক যেমন কাজ করছে না, তেমনি ফসল বাঁচাতে দিন দিন আরও উচ্চ মাত্রার বিষ লাগছে। সবজি এখন লাভজনক। অনেকেই সারা বছর সবজি চাষ করছেন। ফুল করছেন, তামাক চাষ ছড়াচ্ছে প্রান্তরে প্রান্তরে। বিষের চাহিদাও বাড়ছে।

অগ্রিম বন্ধ হলে বিষও কমবে

বাংলাদেশে বিষের চাহিদা বাড়ার অন্য একটা কারণ বেশ স্পষ্ট। কারণটি আমাদের ভূমি ব্যবস্থাপনার সঙ্গে জড়িয়ে আছে। খুব কম কৃষকই এখন নিজের জমিতে চাষ করেন। জমির মালিকেরা এখন শহরে বা বিদেশে থাকেন। আগের সেই ভাগচাষি বা বর্গাচাষি এখন ক্রমেই শোনা কথার কাহিনিতে পরিণত হচ্ছেন।

জমির মালিক এখন বছরের শুরুতেই জমির বার্ষিক ইজারা মূল্য বা ভাড়া অগ্রিম নিয়ে নেন। পরের বছর কৃষক আবার সে জমি পাবেন কি না, তা নিশ্চিত থাকে না। হতে পারে মালিক তাঁর জমি ইটভাটাকে দিয়ে দেবেন, ভাটার মালিক মাটি কেটে ইট তৈরি করবেন।

কৃষক জানেন জমিতে ঘন ঘন বিষ দিলে জমির জান চলে যায়। জমি তার উৎপাদনক্ষমতা হারিয়ে ফেলে। ঘাটাইলের কৃষক রশিদ বয়াতি বললেন সে কথা। তিনি জানালেন, কৃষকের হাতে আসলে উপায়ও থাকে না। আগে ফসল ভাগ হতো। লাভ-ক্ষতির ভাগাভাগি হতো। তখন জমির লাভ-ক্ষতি ভাবা হতো সবার আগে। সেই ভাবনা অনুযায়ী মালিক ও কৃষক আলাপ করে চাষবাসের ধরন ঠিক করতেন। দুজনেরই বিবেচনায় থাকত জমির যেন কোনো ক্ষতি না হয়।

আর এখন কী হয়, তা জানালেন রশিদ বয়াতি। বললেন, ‘আমিও বিষ-সার দুগুনা করে দিয়ে চেষ্টা করি জমি থেকে যতটা টেনে বের করে নেওয়া যায়।’ এই টানাটানিতে জমি-কৃষক দুজনেই মরছে দুভাবে। জমির মালিকের আগাম টাকা নেওয়া বন্ধ হলে আর মুখের কথায় বর্গাচাষির আধিয়ারকে বাতিল করার ক্ষমতা বন্ধ না করতে পারলে বিষের ফাঁস থেকে কারও মুক্তি জুটবে না। কিন্তু সে তো কৃষি খাতের নীতিকৌশলের বিষয়। বিড়াল চেনা, ঘণ্টাও চেনা, শুধু বাঁধার লোকটা নেই।

লেখক: গবেষক

[email protected]