কেউ পিছিয়ে নেই

তখন আই-জেনের প্রথম ধাপ বহুনির্বাচনী পরীক্ষা চলছে। কুমিল্লার গ্লোবাল কমিউনিটি সেন্টারে হঠাৎ যেন সুনসান নীরবতা। শুধু একটি টেবিলে মৃদু কথোপকথন। বিষয়টি কারও চোখ এড়ানোর নয়, কুমিল্লা বন্ধুসভার বন্ধু দুজন শিক্ষার্থীর সঙ্গে কী যেন বলাবলি করছে। দ্রুত তাদের কাছে গিয়ে কথা বলতে নিষেধ করলাম। পাশ থেকে একজন জানায় তারা দুজন দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের শ্রুতিলেখক হিসেবে কাজ করছেন। সবার চেয়ে শ্রেয় এ দুজন হলেন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজিয়েট স্কুলের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী তফসির উল্লাহ ও দশম শ্রেণির ইয়াসিন হোসেন। অন্যান্য শিক্ষার্থীদের মতো তারাও এসেছিল কুমিল্লার আইজেন উৎসবে। তারা পৃথিবীর আলো হয়তো দেখতে পায় না। তবে ইন্টারনেটের আলোয় আলোকিত করতে চায় নিজেদের জীবন। তফসির উল্লাহ জানায়, ‘আমরা বিভিন্ন সফটওয়্যারে কণ্ঠস্বর ব্যবহার করে ইন্টারনেট ব্যবহার করে থাকি। উৎসবের দ্বিতীয় পর্বে অংশ নিতে পেরে আমরা আনন্দিত। তাঁদের সঙ্গে কথা বলে আরও জানা গেল পড়াশোনা করে আদর্শবান শিক্ষক হতে চান দুজনেই।