কেশবপুরে বৃষ্টিতে দুটি এলাকায় জলাবদ্ধতা

বৃষ্টিতে পানি উঠে বাড়িঘর তলিয়ে গেছে। শুক্রবার যশোরের কেশবপুর পৌর শহরের মধ্যকুল এলাকায়। ছবি: প্রথম আলো
বৃষ্টিতে পানি উঠে বাড়িঘর তলিয়ে গেছে। শুক্রবার যশোরের কেশবপুর পৌর শহরের মধ্যকুল এলাকায়। ছবি: প্রথম আলো

যশোরের কেশবপুরে টানা কয়েক দিনের বৃষ্টিতে পৌরসভার মধ্যকুল এলাকার বিশ্বাসপাড়া এবং খান পাড়ার অর্ধশতাধিক বাড়িঘর পানিতে তলিয়ে গেছে। এখানকার বাসিন্দারা চরম দুর্ভোগে আছেন। স্থানীয় হরিহর নদে খনন চলায় ওই পানি আপাতত নদে নামবে না বলে মনে করছে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)।

সরেজমিনে শুক্রবার দেখা গেছে, শহরের উত্তর দিকের এই দুটি পাড়ার বাড়িতে বাড়িতে পানি উঠেছে। মানুষজন দৈনন্দিন কাজ করতে সমস্যায় পড়েছেন।

হাঁটু পানির মধ্যে দিয়ে শাকসবজি বিক্রির জন্য নিয়ে যাচ্ছিলেন আছিরন বেগম। তিনি বলেন, শাকসবজি বিক্রি করেই তাঁর সংসার চলে। চারদিকে পানি উঠে যাওয়ায় বেচাকেনা নেই বললে চলে। সব মিলিয়ে তিনি খুব কষ্টে আছেন।

স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, কয়েক দিন ধরে এলাকায় মুষলধারে বৃষ্টি হয়েছে। ফলে পানি হরিহর নদ থেকে উপচে উঠছে। এতে এলাকার মানুষজনের বাড়িঘর ডুবে যাচ্ছে। এলাকার রাস্তাগুলোও পানিতে ডুবে আছে। ফলে লোকজন ও যানবাহন চলাচলে সমস্যা হচ্ছে। জলাবদ্ধতার কারণে ব্যবসা-বাণিজ্য বন্ধ হয়ে পড়ায় অর্থকষ্টে আছেন সবাই। পরিস্থিতি উত্তরণ দূরের কথা, দিন দিন পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। হরিহর নদ দিয়ে পানি দ্রুত না নামলে এলাকায় টানা জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হতে পারে।

কেশবপুর পৌরসভার মেয়র রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘ওই দুটি এলাকার জলাবদ্ধতা মোকাবিলার ব্যাপারে আমরা ভাবছি। হরিহর নদে খনন চলছে। পাউবোর সঙ্গে কথা হয়েছে। ১৫ জুলাই নদের বাঁধ কেটে দেওয়া হবে। তখন পানি নেমে যাবে।’ তার আগে আরও ২০ দিনের মতো এলাকাবাসীকে কষ্ট করতে হবে বলে মনে করছেন তিনি।

পাউবোর কেশবপুর কার্যালয়ের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী মুন্সী আসাদ উল্লাহ বলেন, কেশবপুর এলাকার জলাবদ্ধতা নিরসনে হরিহর নদ খননের প্রকল্প চলমান রয়েছে। প্রকল্পের মেয়াদ রয়েছে ২১ সালের জুন মাস পর্যন্ত। এখন কোনোভাবে নদের বাঁধ কাটা যাবে না। এই পানি নামানোর বিকল্প উপায় নিয়ে ভাবছেন তাঁরা।