কোটা বাতিলের পর নতুন জটিলতা

৩০ শতাংশ কোটা বহাল রাখার দাবিতে গতকাল দিনভর শাহবাগ মোড়ে অবস্থান করে মুক্তিযোদ্ধা সন্তান ও নাতি-নাতনিদের বেশ কয়েকটি সংগঠন। সকাল সাড়ে ১০টায়।  ছবি: সাজিদ হোসেন
৩০ শতাংশ কোটা বহাল রাখার দাবিতে গতকাল দিনভর শাহবাগ মোড়ে অবস্থান করে মুক্তিযোদ্ধা সন্তান ও নাতি-নাতনিদের বেশ কয়েকটি সংগঠন। সকাল সাড়ে ১০টায়। ছবি: সাজিদ হোসেন
>

*কোটা বাতিলের পরিপত্র জারি
*প্রতিবাদে বিভিন্ন জায়গায় অবরোধ
*আইনি পদক্ষেপের প্রস্তুতি
*রাস্তা বন্ধ না করতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর অনুরোধ
*সংস্কার আন্দোলনকারীরা প্রতিক্রিয়া দেননি
*ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী কোটা পুনর্বহালের সুপারিশ

সরকারি চাকরিতে কোটা বাতিলের আনুষ্ঠানিক দাবি কেউ জানায়নি। সবার চাওয়া ছিল কোটা সংস্কার করে যৌক্তিক পর্যায়ে কমিয়ে আনা। কিন্তু সরকার প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির চাকরিতে বিদ্যমান কোটা পুরোটাই বাতিল করায় নতুন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। মুক্তিযোদ্ধার সন্তান, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীসহ বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ কোটা বাতিলের প্রতিবাদ করছেন। এই পরিস্থিতিতে নতুন জটিলতার আশঙ্কা করা হচ্ছে।

গতকাল বৃহস্পতিবার কোটা বাতিলের পরিপত্র জারি করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। তবে তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী নিয়োগের ক্ষেত্রে আগের মতোই কোটা বহাল থাকবে। বিশেষজ্ঞ এবং কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলন করে আসা শিক্ষার্থীরা মনে করছেন, সংস্কার করে কোটা যৌক্তিক পর্যায়ে রাখলে নতুন এই জটিলতা তৈরি হতো না।

কোটা নিয়ে সরকারের মন্ত্রী ও নেতাদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া পাওয়া গেছে। বুধবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে অন্তত পাঁচজন মন্ত্রী কোটার যৌক্তিক সংস্কারের পক্ষে কথা বলেন। জানতে চাইলে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক গতকাল প্রথম আলোকে বলেন, আগে মানবতাবিরোধী অপরাধীদের তালিকা করে তাদের সন্তান বা স্বজনদের চাকরি থেকে বের করতে হবে, তারপর মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিলের সিদ্ধান্ত কার্যকর করতে হবে। এর আগে এই সিদ্ধান্ত কার্যকর করা ঠিক হবে না। মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী শুরু থেকেই মুক্তিযোদ্ধা কোটা ৩০ থেকে কিছু কমানোর পক্ষে হলেও পুরোপুরি বাদ দেওয়ার বিপক্ষে মত দিয়ে আসছেন।

এদিকে পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রণালয়–সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিও বৃহস্পতিবার ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর কোটা পুনর্বহাল রাখার সুপারিশ করেছে। রাঙামাটির পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের সম্মেলনকক্ষে ওই সভা অনুষ্ঠিত হয়।

কোটা বাতিলের সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান করে ৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটা বহাল রাখার দাবিতে গত বুধবার রাত থেকে রাজধানীর শাহবাগ মোড় অবরোধ করে অবস্থান নেন মুক্তিযোদ্ধার সন্তানেরা। একই দাবিতে ঢাকার বাইরেও বিভিন্ন জায়গায় সড়ক অবরোধ ও বিক্ষোভ হয়েছে। সংগঠনের নেতারা কোটা বাতিলের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আদালতে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।

এদিকে ৫ শতাংশ ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী কোটা বহালের জন্য সরকারকে তিন দিনের সময় বেঁধে দিয়ে ক্ষুদ্র জাতিসত্তা-অধ্যুষিত এলাকায় অর্ধদিবস হরতাল ও ছাত্র ধর্মঘটের ঘোষণা দিয়েছে ‘আদিবাসী কোটা সংরক্ষণ পরিষদ’ নামে আরেকটি সংগঠন। তারাও আইনগত পদক্ষেপ নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে।

এত দিন প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির সরকারি চাকরিতে ৫৫ শতাংশ নিয়োগ হয়েছে অগ্রাধিকার কোটায়। বাকি ৪৫ শতাংশ নিয়োগ হয়েছে মেধা কোটায়। শিক্ষার্থী ও চাকরিপ্রার্থীরা বিদ্যমান এই কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলন করে আসছিলেন। কিন্তু কোটাব্যবস্থা একেবারে বাতিল করা সরকারের নতুন কৌশল কি না, তা নিয়ে এখন আলোচনা হচ্ছে বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষের মধ্যে। বুধবার সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, যদি কেউ কোটা চায়, তাহলে এখন কোটা চাই বলে আন্দোলন করতে হবে। সেই আন্দোলন যদি ভালোভাবে করতে পারে, তখন ভেবেচিন্তে দেখা হবে, কী করা যায়। প্রধানমন্ত্রীর এই বক্তব্য নিয়েও আলোচনা-পর্যালোচনা হচ্ছে।

মন্ত্রিসভায় কোটা বাতিলের সিদ্ধান্তের পরদিন গতকাল ৯ম থেকে ১৩ তম গ্রেডের সরকারি চাকরিতে বিদ্যমান কোটা বাতিল করে পরিপত্র জারি করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। এতে বলা হয়, সব সরকারি দপ্তর, স্বায়ত্তশাসিত বা আধা স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান ও বিভিন্ন করপোরেশনের চাকরিতে সরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রে ৯ম গ্রেড (আগের প্রথম শ্রেণি) এবং ১০ থেকে ১৩ তম গ্রেডে (আগের দ্বিতীয় শ্রেণি) মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ করা হবে এবং বিদ্যমান কোটা বাতিল করা হলো।

কোটা বাতিলের পাশাপাশি মন্ত্রিসভায় অনুমোদিত সরকারি কমিটির আরেকটি সুপারিশ ছিল, ভবিষ্যতে পর্যালোচনা করে যদি কোনো অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর জন্য কোটা অপরিহার্য হয়, তাহলে সরকার সেই ব্যবস্থা নিতে পারবে। কিন্তু গতকালের পরিপত্রে এ বিষয়ে কিছু বলা হয়নি। এমনকি আইনি বাধ্যবাধকতা থাকা প্রতিবন্ধীদের কোটার বিষয়েও পরিপত্রে কিছু উল্লেখ নেই।

জানতে চাইলে সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ও সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব আকবর আলি খান গতকাল রাতে প্রথম আলোকে বলেন, বাংলাদেশের প্রথম প্রশাসনিক সংস্কার কমিটি ১৯৭৩ সালে সব কোটা বাতিলের সুপারিশ করেছিল। সরকার এখন বাতিল করেছে এবং এটা মঙ্গলজনক। তাঁর মতে, এখন যদি কোনো সমস্যা দেখা দেয়, তাহলে সেটা সরকারকে মোকাবিলা করতে হবে।

শাহবাগে অবরোধ-দুর্ভোগ, পরিপত্র প্রত্যাখ্যান
মন্ত্রিসভায় কোটা বাতিলের সিদ্ধান্তের দিন রাতেই রাজধানীর শাহবাগ মোড়ে লাগাতার অবস্থান নেয় মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড। তারা গতকাল কোটা বাতিল করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের পরিপত্র প্রত্যাখ্যান করেছে। মুক্তিযোদ্ধা কোটা বহালের দাবিতে তারা শনিবার মহাসমাবেশ করে পরবর্তী কর্মসূচি দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে।

সন্তান কমান্ডের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার নেতা-কর্মীরা ছাড়াও এই অবস্থানে সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটি, ঢাকা মহানগর কমিটি, মুক্তিযোদ্ধা পরিবার, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ অনলাইন কমান্ড, মুক্তিযোদ্ধাদের নাতি-নাতনিদের সংগঠন মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্মসহ বেশ কয়েকটি সংগঠনের নেতা-কর্মীরা সংহতি জানান।

অবরোধের কারণে দিনভর শাহবাগ মোড় এলাকা দিয়ে যানবাহন চলতে পারেনি। ফলে ভোগান্তিতে পড়তে হয় মানুষকে। অবশ্য অ্যাম্বুলেন্স ও পুলিশের গাড়ি চলেছে। ট্রাফিক পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে পুলিশকে কোনো উদ্যোগ নিতে দেখা যায়নি।
বিকেল চারটার দিকে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ডের কেন্দ্রীয় সভাপতি শেখ আতিকুর সমাবেশে ঘোষণা দেন, কর্মসূচির পাশাপাশি আইনি লড়াইয়ে যাবেন তাঁরা। একই সংগঠনের আরেক অংশের সভাপতি মেহেদী হাসানও আন্দোলন ও আইনি লড়াইয়ের ঘোষণা দেন। রাতে সিদ্ধান্ত হয়, এই আন্দোলন হবে ‘মুক্তিযোদ্ধা মঞ্চ’ নামে। এর মুখপাত্র করা হয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞানের অধ্যাপক আ ক ম জামাল উদ্দিনকে।

ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী কোটা বহাল চায়
আগের মতোই ৫ শতাংশ ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী কোটা বহাল রাখার দাবিতে সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে ‘আদিবাসী কোটা সংরক্ষণ পরিষদ’ ৷ গতকাল বিকেলে শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র (টিএসসি) ঘুরে আবার শাহবাগে গিয়ে তারা সমাবেশ করে। সমাবেশে সংগঠনের সমন্বয়ক উইলিয়াম নকরেক বলেন, আজ শুক্রবার বেলা তিনটায় গুলশানের নর্দ্দা এলাকায় সড়ক অবরোধ কর্মসূচি পালন করা হবে। এ ছাড়া কোটা বহালে আইনগত পদক্ষেপও নেওয়া হবে।

প্রতিবাদ সমাবেশে সংহতি জানিয়ে গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেন, কোটাব্যবস্থার সংস্কারের জন্য আন্দোলন হয়েছিল, বাতিলের জন্য নয়। ছাত্রসমাজের আন্দোলনে ক্ষিপ্ত হয়ে সরকার কোটাই বাতিল করে দিয়েছে।

ঢাকার বাইরে বিক্ষোভ-সড়ক অবরোধ
মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিলের প্রতিবাদে সিলেটে ঘণ্টাব্যাপী বিক্ষোভ ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে সিলেট জেলা ও মহানগর মুক্তিযোদ্ধা সন্তান এবং আমরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ঐক্য পরিষদ। গতকাল বিকেলে নগরের জিন্দাবাজার এলাকার মুক্তিযোদ্ধা সাংসদ কার্যালয় থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করে চৌহাট্টা এলাকার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হয়। সেখানে সড়ক অবরোধ করে প্রায় ঘণ্টাব্যাপী অবস্থান কর্মসূচি পালন শেষে সপ্তাহব্যাপী কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।

কোটা বাতিলের প্রতিবাদে কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহ মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তিযোদ্ধার সন্তান, উপজাতি ও প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীরা। রাজশাহীতে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে ‘আদিবাসী ছাত্র পরিষদ’। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনের রাজশাহী-ঢাকা মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড ও আমরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান-এর বিশ্ববিদ্যালয় শাখা। গতকাল বিকেলে নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন করেছে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ডের নারায়ণগঞ্জ জেলা শাখা। বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন এক বিবৃতিতে বলেছে, কোটা বাতিলের সিদ্ধান্ত সংবিধানের মূল চেতনার সঙ্গে সাংঘর্ষিক।

কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীরা নীরব
কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনকারীরা প্রজ্ঞাপন হওয়ার পরও আনুষ্ঠানিকভাবে প্রতিক্রিয়া জানাননি। বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের আহ্বায়ক হাসান আল মামুন প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমাদের আন্দোলনে সারা দেশে সব শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে। প্রত্যেকটা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আমাদের কমিটি আছে। আমরা সবাই মিলে আমাদের পরবর্তী করণীয় নিয়ে সিদ্ধান্ত নেব।’

প্রজ্ঞাপন জারি হওয়ার পর বিকেলে কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক নুরুল হক প্রথম আলোকে বলেন, কোনো সিদ্ধান্ত হলে তা জানানো হবে।

এদিকে কোটার পক্ষে আন্দোলন সম্পর্কে গতকাল ঢাকায় এক অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, আন্দোলনকারীদের দাবিদাওয়া কী, আগে তা দেখা যাক। তারপর এ বিষয়ে কথা বলা যাবে। তিনি বলেন, মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য বঙ্গবন্ধুর কন্যা যা করেছেন, তা আর কেউ করেননি। মুক্তিযোদ্ধাদের বিষয়ে কারও কোনো দাবি জানাতে হবে না। তবে কোনো বিষয় ন্যায়সংগত ও বাস্তবসম্মত হলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অবশ্যই তা দেখবেন।

রাতে শাহবাগে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
বৃহস্পতিবার রাতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল শাহবাগে গিয়ে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে কথা বলেন। মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষা উপলক্ষে মন্ত্রী তাঁদের শাহবাগ থেকে অন্য কোথাও সরে যাওয়ার অনুরোধ করেন। রাতে আন্দোলনকারীরা ঘোষণা দেন, মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষা উপলক্ষে শুক্রবার ভোর ছয়টা থেকে বিকেল তিনটা পর্যন্ত তাঁরা কর্মসূচি স্থগিত করেছেন। এরপর থেকে আবার তাঁরা শাহবাগে অবস্থান করবেন। গতকাল বিকেলে ও সন্ধ্যায় দেড় শ থেকে দুই শ তরুণ শাহবাগে অবস্থান করেন। রাত ১১টায় এই সংখ্যা কমে হয় শখানেক।

জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমি আন্দোলনকারীদের অনুরোধে তাদের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলাম। তাদের শাহবাগ থেকে সরে গিয়ে পাবলিক লাইব্রেরি বা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে অবস্থান নিতে বলেছি। তারা কথা দিয়েছে, রাস্তা বন্ধ করে কর্মসূচি পালন করবে না।’

{প্রতিবেদনে তথ্য দিয়ে সহায়তা করেছেন সংবাদদাতা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, প্রথম আলোর সিলেট অফিস, প্রতিনিধি, কুষ্টিয়া, নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী, সংবাদদাতা, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, সংবাদদাতা নারায়ণগঞ্জ}