কোভিড-১৯ রোগীদের জন্য সাংসদ নূরের মৌসুমি ফল উপহার

২৫০ শয্যার নীলফামারী জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন কোভিড-১৯ রোগীদের জন্য উপহার হিসেবে মৌসুমি ফল পাঠিয়েছেন স্থানীয় সাংসদ আসাদুজ্জামান নূর। আজ রোববার দুপুরে হাসপাতাল চত্বরে সিভিল সার্জন রণজিৎ কুমার বর্মন ওই ফল গ্রহণ করেন। ছবি: প্রথম আলো
২৫০ শয্যার নীলফামারী জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন কোভিড-১৯ রোগীদের জন্য উপহার হিসেবে মৌসুমি ফল পাঠিয়েছেন স্থানীয় সাংসদ আসাদুজ্জামান নূর। আজ রোববার দুপুরে হাসপাতাল চত্বরে সিভিল সার্জন রণজিৎ কুমার বর্মন ওই ফল গ্রহণ করেন। ছবি: প্রথম আলো

২৫০ শয্যার নীলফামারী জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন কোভিড-১৯ সংক্রমিত রোগীদের জন্য ‘মৌসুমি ফল’ উপহার হিসেবে পাঠিয়েছেন স্থানীয় সাংসদ আসাদুজ্জামান নূর। আজ রোববার দুপুর ১২টার দিকে হাসপাতাল চত্বরে সিভিল সার্জন রণজিৎ কুমার বর্মন করোনা রোগীদের জন্য ওই সব ফল গ্রহণ করেন।

সাংসদের পক্ষে ফলগুলো হস্তান্তর করেন বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের নীলফামারী জেলা সভাপতি মমতাজুল ইসলাম। সাংসদের পাঠানো ফলের মধ্যে ছিল ২০ কেজি আনারস, ১০ কেজি মাল্টা, ৩ কেজি আপেল ও ১০০টি লেবু।

এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন নীলফামারী জেনারেল হাসপাতালের সহকারী পরিচালক মেজবাহুল হাসান চৌধুরী, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওয়াদুদ রহমান, জেলা উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীর সভাপতি মনসুর ফকির, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মো. কামরুজ্জামান, সাংসদের ব্যক্তিগত সহকারী তরিকুল ইসলাম, জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মাসুদ সরকার প্রমুখ।

ওয়াদুদ রহমান বলেন, করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় নীলফামারী-২ সদর আসনের সাংসদ আসাদুজ্জামান নূরের উদ্যোগে অন্যান্য কার্যক্রমের পাশাপাশি করোনায় আক্রান্তদের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বৃদ্ধিতে মৌসুমি ফল দেওয়া হয়েছে। প্রতি সপ্তাহে হাসপাতালে একবার করে বিভিন্ন মৌসুমি ফল বিতরণ অব্যাহত থাকবে।

রণজিৎ কুমার বর্মন বলেন, সাংসদের এমন উদ্যোগে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন করোনায় আক্রান্ত রোগীরা উপকৃত হবেন। এসব ফল খাওয়ার পর তাঁদের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে। তিনি জানান, রোববার পর্যন্ত নীলফামারী জেলায় কোভিড-১৯ সংক্রমিত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৯৫। তাঁদের মধ্যে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১৪৩ জন। আর মারা গেছেন ছয়জন। এ মুহূর্তে ২৫০ শয্যার নীলফামারী জেনারেল হাসপাতালের ৬৮ শয্যার আইসোলেশন ওয়ার্ডে ১৮ জন করোনা রোগী চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

এ ছাড়া জেলার সৈয়দপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আটজন, জলঢাকা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঁচ ও ডিমলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সাতজন করোনায় আক্রান্ত রোগী চিকিৎসাধীন আছেন। বাকিরা তাঁদের নিজ নিজ বাড়িতে আইসোলেশনে আছেন।