কোরআন অবমাননার জন্য ধ্বংসাত্মক কাজ ইসলামে অগ্রহণযোগ্য: মন্ত্রিপরিষদ সচিব

মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম
ফাইল ছবি

মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেছেন, কোরআন অবমাননার জন্য কোনো ধ্বংসাত্মক কাজ করা ইসলামে সম্পূর্ণ অগ্রহণযোগ্য। এটা ফিতনা। আর ফিতনা হলো সবচেয়ে বড় অপরাধ।

আজ মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে দেশের বিভিন্ন জেলায় পূজামণ্ডপে হামলা, ভাঙচুর ও হিন্দু সম্প্রদায়ের বাড়িঘরে আগুন দেওয়ার ঘটনার বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব এসব কথা বলেন।

খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ‘যদি কেউ কোরআনের অবমাননা করে, কোরআন আমাকে কোনো অথরিটি দেয়নি যে আমি গিয়ে তার ধর্মের কোনো কিছু ভাঙব। সেটা ফিতনার মধ্যে পড়বে। সেটি আরও বড় অপরাধ হবে। সেটি সবাইকে খেয়াল রাখতে হবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘কেউ আমার ধর্মকে অবমাননা করলে তার প্রতিবাদ করতে পারি। আমি সরকারের কাছে দাবি করতে পারি যে তাকে ধরে বিচার করে শাস্তি দিতে হবে। কিন্তু আমি গিয়ে কোনো ধ্বংসাত্মক কাজ করব, এটা ইসলামে সম্পূর্ণ অগ্রহণযোগ্য। এটা ফিতনা। ফিতনা হলো সবচেয়ে বড় অপরাধ।’

গত বুধবার কুমিল্লায় পবিত্র কোরআন অবমাননার অভিযোগ তুলে একটি পূজামণ্ডপে হামলা চালায় একদল লোক। এর জেরে কয়েক দিন ধরে দেশের বিভিন্ন এলাকায় মন্দির, পূজামণ্ডপ ও হিন্দু সম্প্রদায়ের বসতিতে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, মন্ত্রিসভার বৈঠক থেকে দেশের বিভিন্ন জেলায় পূজামণ্ডপে হামলা-ভাঙচুর ও হিন্দু সম্প্রদায়ের বাড়িঘরে আগুন দেওয়ার সাম্প্রতিক ঘটনাগুলোতে দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানের প্রতি নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ‘মন্ত্রিসভার বৈঠকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে স্পষ্ট করে বলে দেওয়া হয়েছে, আগেও বলা হয়েছে যে খুব কঠোর ব্যবস্থায় যেতে হবে। যারা জড়িত আছে, তাদের অবশ্যই ধরতে হবে। প্রধানমন্ত্রী যত তাড়াতাড়ি সম্ভব তদন্ত করে যারা এসব ঘটনার সূত্রপাত করল, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বলেছেন। পাশাপাশি ধর্মীয় ও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব যাঁরা আছেন, তাঁদের অনুরোধ করা হয়েছে, এটার বিষয়ে জনগণের সঙ্গে মতবিনিময় করার জন্য যে ছোটখাটো কোনো “টুইস্টিং” কেউ করলেই এভাবে প্রতিক্রিয়া করা যাবে না। এটা কোনো ধর্মই অনুমোদন করে না।’