ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসন হবে খুরুশকুল এলাকায়

কক্সবাজার বিমানবন্দরের সম্প্রসারণ ও উন্নয়নকাজের উদ্বোধন করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১১টায় ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে নির্মাণ প্রকল্পের কাজ উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ উপলক্ষে কক্সবাজার বিমানবন্দরের বাইরে কার পার্কিং এলাকায় বিশাল প্যান্ডেল তৈরি করে সুধী সমাবেশের আয়োজন করা হয়।
প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে বিমানবন্দরের ফলক উন্মোচন করেন দুই মন্ত্রী মোশাররফ হোসেন ও রাশেদ খান মেনন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলার তিন সাংসদ সাইমুম সরওয়ার, আবদুর রহমান বদি, আশেক উল্লাহ রফিক, জেলা প্রশাসক মো. আলী হোসেন, পুলিশ সুপার শ্যামল কুমার নাথ, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি (ভারপ্রাপ্ত) এ কে আহমদ হোসাইন, সাধারণ সম্পাদক সালাহ উদ্দিন আহমদ প্রমুখ।
ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসন: কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মো. আলী হোসেন জানান, বিমানবন্দর সম্প্রসারণ প্রকল্পের জন্য ৬৮২ একর খাসজমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে। আরও ১১৬ একর জমি অধিগ্রহণের জন্য প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে।
পর্যটনসচিব খোরশেদ আলম চৌধুরী প্রথম আলোকে জানান, বিমানবন্দর প্রকল্পের জন্য জমি অধিগ্রহণের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত ৪ হাজার ৪০০ পরিবারকে কক্সবাজার শহরের বাঁকখালী নদীর পূর্ব পাশে খুরুশকুল এলাকায় পুনর্বাসন করা হবে। সেখানে ২৫৩ একর জমিতে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য চারতলা ২৪৫টি ভবন তৈরি করা হবে। ইতিমধ্যে সেখানকার ৪১ একর জমি ভরাটের জন্য পাঁচ হাজার মেট্রিক টন গম বরাদ্দ করা হয়েছে। একইভাবে পুনর্বাসন এলাকায় যাতায়াতের জন্য ২০০ কোটি টাকায় বাঁকখালী নদীর ওপর সেতু তৈরি করা হবে। ২১০ কোটি টাকা ব্যয়ে বিমানবন্দরের ভূমি উন্নয়ন ও সৈকত তীরে স্থায়ী বেড়িবাঁধ নির্মাণ করা হবে।
কক্সবাজার আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর সম্প্রসারণ প্রকল্পের পরিচালক (পিডি) আমিনুল হাসিব জানান, প্রকল্পে নির্মাণকাজ বাস্তবায়ন করবে কোরিয়ার ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ‘হাল্লা করপোরেশন’ ও বাংলাদেশের ‘মীর আখতার হোসেন লিমিটেড’। প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে কক্সবাজার বিমানবন্দরে বোয়িং ও জাম্বো জেট নামতে পারবে।