ক্ষতিপূরণ চাইলেন ক্ষতিগ্রস্ত পরিবহনশ্রমিক ও মালিকেরা

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে কনটেইনার ডিপোতে বিস্ফোরণে পণ্য পরিবহনের অনেক যানবাহন ক্ষতিগ্রস্ত হয়। হতাহত হয়েছিলেন অনেক শ্রমিকফাইল ছবি

সীতাকুণ্ডের বিএম কনটেইনার ডিপোতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড ও বিস্ফোরণে নিহত ও আহত পণ্য পরিবহনশ্রমিকদের পরিবারকে আর্থিক ক্ষতিপূরণ দেওয়ার দাবি জানিয়েছে আন্তজেলা মালামাল পরিবহন সংস্থা ট্রাক ও কাভার্ড ভ্যান মালিক সমিতি এবং বাংলাদেশ ট্রাকচালক শ্রমিক ফেডারেশন। আজ রোববার নগরের প্রেসক্লাবের ইঞ্জিনিয়ার আবদুল খালেক মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলন করে সংগঠন দুটির নেতারা এ দাবি জানান।

সংগঠনের নেতারা বলেন, ৪ জুন সীতাকুণ্ডের বেসরকারি বিএম কনটেইনার ডিপোতে এই অঞ্চলের স্মরণকালের ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড ও বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে পণ্য পরিবহনশ্রমিকসহ ৪৯ জন মারা যান। আহত হয়েছেন দুই শতাধিক। আহত ব্যক্তিদের অনেকে বাকি জীবনের জন্য শারীরিকভাবে অক্ষম ও পঙ্গুত্ববরণ করবেন বলে চিকিৎসকদের আশঙ্কা রয়েছে। ঘটনার সময় ডিপোতে থাকা পণ্য পরিবহন যান, বিশেষত কাভার্ড ভ্যান, প্রাইমমুভার-ট্রেইলার ও ট্রাকগুলো ধ্বংস হয়ে গেছে। নিহত হয়েছেন পণ্য পরিবহনশ্রমিকেরা। আহত হয়েছেন অনেকে। এ ছাড়া গাড়ির মালিকেরা সম্পদ হারিয়ে এখন চরম হতাশা ও আর্থিক অনিশ্চয়তার মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন। তাঁদের উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।

সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বাংলাদেশ কাভার্ড ভ্যান ট্রাক প্রাইমমুভার পণ্য পরিবহন মালিক অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব জাফর আহম্মদ। উপস্থিত ছিলেন আন্তজেলা মালামাল পরিবহন সংস্থা ট্রাক ও কাভার্ড ভ্যান মালিক সমিতির সভাপতি লতিফ আহাম্মদ, বাংলাদেশ ট্রাক চালক শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক ওয়াজি উল্লাহ্ প্রমুখ।

কনটেইনার ডিপোতে নিরাপত্তাব্যবস্থা নিশ্চিত করার দাবি জানিয়ে জাফর আহমদ বলেন, বেসরকারি কনটেইনার ডিপো পরিচালনায় আইসিডি নীতিমালা-২০১৬ ও দেশীয় বেশ কিছু আইন মেনে চলতে হয়। বিএম ডিপোতে এসব বিষয় মানা হলে প্রাণহানি ও সম্পদের ক্ষতি এড়ানো যেত। ডিপোর মালিকপক্ষ নিয়মনীতি উপেক্ষা করার কারণেই প্রাণহানি ও শতকোটি টাকার সম্পদ নষ্ট হয়েছে। তাই মালিকপক্ষ, বন্দর কর্তৃপক্ষ ও সরকার এই দায় এড়াতে পারে না।

লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, হতাহতদের জন্য ডিপোর মালিকপক্ষ নগণ্য আর্থিক ক্ষতিপূরণের ঘোষণা দিয়েছে। কিন্তু ধ্বংসপ্রাপ্ত গাড়িগুলোর মালিকদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার বিষয়ে মালিকপক্ষ এখনো নীরব। কিন্তু গাড়ির মালিককে ক্ষতিপূরণ দিতেই হবে। আহত ব্যক্তিদের সুচিকিৎসা নিশ্চিত করতে হবে। পাশাপাশি নিহত ব্যক্তিদের পরিবারের সদস্যদের আর্থিক ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। এসব দাবি মানা না হলে মালিক-শ্রমিকদের নিয়ে আন্দোলনে যাওয়া ছাড়া কোনো উপায় থাকবে না।