খানা তালিকার কাজ শুরু

বাংলাদেশে অনিবন্ধিত রোহিঙ্গার সংখ্যা বের করতে চট্টগ্রাম, কক্সবাজারসহ ছয় জেলায় শুমারির অংশ হিসেবে গতকাল শুক্রবার শুরু হয়েছে মাঠপর্যায়ে খানা (পরিবার) তালিকার কাজ। ১৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত তালিকা তৈরির কাজ চলবে। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) উদ্যোগে এ শুমারি হচ্ছে।
কক্সবাজারের আটটি উপজেলায় গতকাল প্রায় ৬০ হাজার খানা (বাড়ি) তালিকাভুক্ত করা হয়েছে।
পরিসংখ্যান ব্যুরো কক্সবাজারের উপপরিচালক মোহাম্মদ ওয়াহিদুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, গতকাল সকাল নয়টা থেকে টেকনাফ, উখিয়া, রামু, কক্সবাজার, চকরিয়া উপজেলাসহ জেলার ৫০টি অঞ্চলে ১ হাজার ৯০ জন গণনাকারী খানা তালিকা করেন। বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত তাঁরা ৫০ হাজার খানা তালিকাভুক্ত করেন। জেলার সব খানা তালিকাভুক্তি শেষে রোহিঙ্গা খানা শনাক্ত করা হবে। কক্সবাজার ছাড়াও চট্টগ্রাম, বান্দরবান, রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি ও পটুয়াখালী জেলায় রোহিঙ্গা শুমারি চলছে।
বিবিএসের কর্মকর্তারা জানান, শুমারির জন্য প্রথমে ‘বি’, ‘এম’, ‘এক্স’—এই তিনটি ক্যাটাগরিতে খানা তালিকার কাজ শুরু করা হয়েছে। ‘বি’ ক্যাটাগরি হচ্ছে, যে খানার প্রত্যেক সদস্যই বাংলাদেশি। এম ক্যাটাগরি হচ্ছে, যে খানার প্রত্যেক সদস্যই বাংলাদেশে অবস্থানরত অনিবন্ধিত মিয়ানমারের নাগরিক। এক্স ক্যাটাগরি হচ্ছে, যে খানায় বাংলাদেশি ও অনিবন্ধিত মিয়ানমারের নাগরিক বসবাস করছেন। অর্থাৎ যেসব রোহিঙ্গা বাংলাদেশে বিয়ে করেছেন, তাঁরা এক্স ক্যাটাগরিতে অন্তর্ভুক্ত হবেন।
বিবিএসের উপপরিচালক শফিকুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, চট্টগ্রাম বিভাগের পাঁচ জেলায় ৬ হাজার ১৪০ জন তালিকাকারী খানা তালিকার কাজ শুরু করেছেন। প্রত্যেক তালিকাকারী ছয় দিনে গড়ে ৪৫০ খানা তালিকার কাজ করবেন।
বিবিএস চট্টগ্রাম কার্যালয়ের যুগ্ম পরিচালক ও প্রকল্পের চট্টগ্রাম বিভাগীয় শুমারির সমন্বয়কারী মো. এমদাদুল হক বলেন, খানা তালিকার কাজ শেষে ‘এম’ ও ‘এক্স’ ক্যাটাগরির অনিবন্ধিত মিয়ানমারের নাগরিকদের বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহের কাজ শুরু হবে।