গণমাধ্যমে তথ্য প্রকাশ না করতে করা রিট কার্যতালিকা থেকে বাদ

সিনহা মো. রাশেদ খান
ছবি: সংগৃহীত

কক্সবাজারের টেকনাফে পুলিশের গুলিতে মেজর (অব.) সিনহা মো. রাশেদ খান হত্যা মামলা সম্পর্কে তদন্তকারী কর্তৃপক্ষ যাতে গণমাধ্যমে কোনো তথ্য প্রকাশ না করে, সে বিষয়ে নির্দেশনা চেয়ে করা রিটটি আজ রোববার কার্যতালিকা থেকে বাদ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

সিনহা হত্যা মামলার আসামি টেকনাফ মডেল থানার সাময়িক বরখাস্তকৃত উপপরিদর্শক (এসআই) নন্দলাল রক্ষিতের ভাই দেব দুলাল রক্ষিত গত সপ্তাহে রিটটি করেন।

বিচারপতি মো. খসরুজ্জামান ও বিচারপতি মো. মাহমুদ হাসান তালুকদারের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে ৮ সেপ্টেম্বর রিটটি শুনানির জন্য ওঠে। সেদিন আদালত ১৩ সেপ্টেম্বর শুনানির জন্য রাখেন। এর ধারাবাহিকতায় আজ বিষয়টি কার্যতালিকায় ওঠে।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন, আইনজীবী মো. আসান উল্লাহ ও সজল মাহমুদ রাসেল। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমার।

পরে আইনজীবী সজল মাহমুদ রাসেল প্রথম আলোকে বলেন, রোববার রিটটি শুনানির জন্য কার্যতালিকার ৯৩ নম্বর ক্রমিকে ছিল। বিষয়টি আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়। আদালত শুনবেন না জানিয়ে রিটটি কার্যতালিকা থেকে বাদ দিয়েছেন।

বলেছেন রিট আবেদনকারীর স্বাধীনতা থাকবে অন্য কোর্টে রিটটি উপস্থাপন করার। আবেদনকারীর সঙ্গে আলোচনা করে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

রিটের আবেদন অংশে দেখা যায়, কক্সবাজারের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে বিচারাধীন এই মামলার তদন্ত ও ঘটনাসম্পর্কিত তথ্য গণমাধ্যমে প্রকাশ কেন আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না—এই বিষয়ে রুল চাওয়া হয়েছে। স্বরাষ্ট্রসচিব, তথ্যসচিবসহ চারজনকে রিটে বিবাদী করা হয়েছে।

হত্যার অভিযোগে গত ৫ আগস্ট সিনহার বড় বোন বাদী হয়ে কক্সবাজারের ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে টেকনাফ থানার বরখাস্তকৃত ওসি প্রদীপ কুমার দাশ, বাহারছড়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক লিয়াকত আলী, থানার এসআই নন্দলাল রক্ষিতসহ নয় পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে নালিশি মামলা করেন। আদালত অভিযোগটি মূল এজাহার হিসেবে গণ্য করতে নির্দেশ দেন। একইসঙ্গে র‍্যাবকে মামলা তদন্ত করতে নির্দেশ দেন আদালত। পরদিন তা টেকনাফ মডেল থানায় হত্যা মামলা হিসেবে রুজু হয়।