গুমের শিকার ব্যক্তিদের পরিবারগুলোর দুর্দশা আরও বাড়াচ্ছে পুলিশ

মানবাধিকার লঙ্ঘনের গুরুতর অভিযোগগুলো বিবেচনায় নিয়ে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্ত সাপেক্ষে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করতে সরকার ব্যর্থ হয়েছে বলে মনে করে নাগরিক অধিকার নিয়ে কাজ করা বেসরকারি সংগঠনগুলোর জোট হিউম্যান রাইটস ফোরাম বাংলাদেশ (এইচআরএফবি)।

শুক্রবার এক বিবৃতিতে এইচআরএফবি বলে, পুলিশ তাদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করার মাধ্যমে গুম হওয়া ব্যক্তিদের স্বজনদের কাছে ফিরিয়ে দেওয়ার পরিবর্তে ভুক্তভোগী পরিবারগুলোর দুর্দশা আরও বাড়াচ্ছে।

বিবৃতিতে গুম হওয়া ব্যক্তিদের স্বজনদের প্রতি পুলিশের এমন আচরণ বন্ধে সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে নির্দেশনা দেওয়ার দাবি জানায় এইচআরএফবি। একই সঙ্গে হয়রানির ঘটনায় যাঁরা জড়িত ও নির্দেশদাতা, তাঁদের বিরুদ্ধে সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়। এ ছাড়া গুমের শিকার ব্যক্তিদের স্বজন ও পরিবারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, গুম হওয়া ব্যক্তিদের খুঁজে বের করে তাঁদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর, তাঁদের ক্ষতিপূরণ দেওয়া এবং জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের মাধ্যমে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করার বিষয়েও তারা জানায়।

এ ছাড়া আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনের সব অভিযোগ দ্রুত ও স্বাধীন তদন্তের মাধ্যমে দায়ী ব্যক্তিদের বিচারের আওতায় আনা, জোরপূর্বক অন্তর্ধান থেকে সব নাগরিকের সুরক্ষা প্রদান-সংক্রান্ত আন্তর্জাতিক সনদে স্বাক্ষর এবং সে অনুযায়ী জাতীয় আইনি কাঠামোতে প্রয়োজনীয় পরিবর্তন আনার দাবি জানিয়েছে এইচআরএফবি।

বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেছেন এইচআরএফবির বিশেষজ্ঞ হামিদা হোসেন, মানবাধিকারকর্মী সুলতানা কামাল, রাজা দেবাশীষ রায়, মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক শাহীন আনাম, টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান, বিএমপির সভানেত্রী ফওজিয়া মোসলেম, এএলআরডির নির্বাহী পরিচালক শামসুল হুদা, নিজেরা করির সমন্বয়ক খুশী কবির, ব্লাস্টের নির্বাহী পরিচালক সারা হোসেন, নাগরিক উদ্যোগের প্রধান নির্বাহী জাকির হোসেন, আসকের নির্বাহী পরিচালক গোলাম মনোয়ার কামাল, বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরামের সাধারণ সম্পাদক সঞ্জীব দ্রং, স্টেপসের নির্বাহী পরিচালক রঞ্জন কর্মকার, বিএসডব্লিউএসের নির্বাহী পরিচালক সালেহ আহমেদ, এএসএফের নির্বাহী পরিচালক সরদার জাহাঙ্গীর হোসেন, বিডিআরএমের চেয়ারপারসন মনি রানী দাস, বিলসের নির্বাহী পরিচালক নজরুল ইসলাম খান, ফেয়ারের নির্বাহী পরিচালক দেওয়ান জামান, কাপেং ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক পল্লব চাকমা, কর্মজীবী নারীর নির্বাহী পরিচালক রোকেয়া রফিক বেবী, নারীপক্ষের নির্বাহী পরিচালক মোসাম্মদ মাহমুদা বেগম, ন্যাডপোর আবদুস সাত্তার ও ওমেন উইথ ডিজঅ্যাবিলিটিজ ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক আশরাফুন্নেসা।