গ্রিফিথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘আউটস্ট্যান্ডিং অ্যালামনাই অ্যাওয়ার্ড’ বিজয়ীদের একজন বাংলাদেশি
অস্ট্রেলিয়ার গ্রিফিথ বিশ্ববিদ্যালয়ের এ বছরের ‘আউটস্ট্যান্ডিং অ্যালামনাই অ্যাওয়ার্ড’ বিজয়ীদের একজন বাংলাদেশের মোবাশ্বার হাসান। বাক্স্বাধীনতা, সহিংস চরমপন্থা দমন ও একনায়কতন্ত্র নিয়ে গবেষণা এবং এ–বিষয়ক তৎপরতার সঙ্গে যুক্ত থাকায় তিনি এই সম্মানে ভূষিত হয়েছেন।
মঙ্গলবার গ্রিফিথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে এ তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে। মোবাশ্বার হাসান বিশ্ববিদ্যালয়টির আন্তর্জাতিক সাবেক শিক্ষার্থী শ্রেণিতে এই পুরস্কারের জন্য মনোনীত হয়েছেন।
মোবাশ্বার হাসানকে সম্মাননায় ভূষিত করার কারণ ব্যাখ্যায় বলা হয়েছে, তিনি গ্রিফিথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি ডিগ্রি শেষ করে বাংলাদেশে ফিরে অনেককে বাক্স্বাধীনতা এবং গণতন্ত্র নিয়ে কাজ করায় উদ্বুদ্ধ করেছেন।
মোবাশ্বার হাসান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকতা বিভাগে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর করেন। পরে তিনি যুক্তরাজ্যের ডান্ডি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রাজনীতি বিষয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন।
এরপর তিনি গ্রিফিথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন। বাংলাদেশের রাজনীতিতে ইসলামের প্রভাব কতটা ভূমিকা রাখছে, সেটি ছিল তাঁর পিএইচডি থিসিসের বিষয়বস্তু।
মোবাশ্বার হাসান বর্তমানে অস্ট্রেলিয়ার ওয়েস্টার্ন সিডনি বিশ্ববিদ্যালয়ের মানবাধিকার ও উন্নয়ন গবেষণা ইনিশিয়েটিভের সংযুক্ত ফেলো হিসেবে কাজ করছেন।
মোবাশ্বার হাসান বিশ্বজুড়ে চরমপন্থা, জনপ্রিয় সংস্কৃতি ও রাজনীতি নিয়ে প্রথম আলো, আল–জাজিরাসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে নিয়মিত কলাম লেখেন।
মোবাশ্বার হাসান ছাড়াও মালদ্বীপের আহমেদ আতিফকে এই সম্মাননার জন্য বেছে নেওয়া হয়েছে। আহমেদ আতিফ প্রতিবন্ধীদের অধিকার এবং শিক্ষায় তাদের সুযোগ বাড়ানো নিয়ে কাজ করেছেন। তিনি বর্তমানে মালদ্বীপের পর্যটনবিষয়ক উপমন্ত্রীর দায়িত্বে আছেন।
স্বাস্থ্য বিভাগে তাইয়ানের কাহুসিউং মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের নার্সিং কলেজের ডিন ওই পুরস্কার পেয়েছেন। সাপের বিষ নিয়ে গবেষণা করা ইকুয়েডরের মারিয়া এলিনা বারাগানপালাডিনেস বিজ্ঞান শাখায় এই পুরস্কার পেয়েছেন। তিনি দুই লাখ শিশু ও পাঁচ হাজার উপকূলবাসীকে সাপের বিষ থেকে রক্ষার জন্য প্রশিক্ষণ দিয়েছেন।