গ্রেপ্তারকৃত প্রাক্তন ৫ শিক্ষার্থীর জামিন মঞ্জুর

আদালত
প্রতীকী ছবি

সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) প্রাক্তন পাঁচ শিক্ষার্থীর জামিন মঞ্জুর হয়েছে। আজ বুধবার সন্ধ্যা সোয়া সাতটার দিকে সিলেট মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট-২-এর বিচারক মো. সুমন ভূইয়া পাঁচজনের জামিন মঞ্জুরের আদেশ দেন।

জামিন পাওয়া প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা হলেন টাঙ্গাইলের সখীপুরের দারিপাকা গ্রামের হাবিবুর রহমান খান (২৬), বগুড়ার শিবগঞ্জের লক্ষ্মীকোলা গ্রামের রেজা নুর মুইন (৩১), ঢাকার মিরপুর মাজার রোড এলাকার বাসিন্দা এ কে এম মারুফ হোসেন (২৭), কুমিল্লার মুরাদনগরের নিয়ামতপুর গ্রামের ফয়সাল আহমেদ (২৭) ও খুলনার সোনাডাঙ্গার ছাত্তার বিশ্বাস রোড এলাকার এ এফ এম নাজমুল সাকিব (৩২)।

শাবিপ্রবির প্রাক্তন এই শিক্ষার্থীদের মধ্যে এ এফ এম নাজমুল সাকিবের করোনা শনাক্ত হওয়ায় তাঁকে হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তাঁকে ছাড়া বাকি চারজনকে আদালতে হাজির করা হয়। পরে পাঁচজনের জামিন শুনানি অনুষ্ঠিত হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আসামির পক্ষে জামিন শুনানিতে অংশ নেওয়া আইনজীবী কানন আলম। তিনি বলেন, আদালতে জামিন শুনানির পর বিচারক সন্ধ্যা সোয়া সাতটার দিকে জামিন মঞ্জুরের আদেশ দেন। শুনানিতে অংশ নিয়েছিলেন আইনজীবী মাহফুজুর রহমান ও আবু ফাহাদ।

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়
ফাইল ছবি

এর আগে গত মঙ্গলবার বিকেলে ঢাকা থেকে পাঁচজনকে সিলেটে আনা হয়েছিল। তাঁদের বিরুদ্ধে শাবিপ্রবির উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলন করা শিক্ষার্থীদের অর্থসহায়তা দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়। পাঁচ শিক্ষার্থীকে ঢাকার বিভিন্ন জায়গা থেকে আটক করা হয়।

পরে গতকাল মঙ্গলবার রাতে মহানগর পুলিশের জালালাবাদ থানায় লায়েক আহমদ নামের এক ব্যক্তি একটি মামলা করেন। মামলায় তাঁদের গ্রেপ্তার দেখিয়ে আজ বুধবার বিকেলে চারজনকে আদালতে পাঠানো হয়। এর আগে একজনের করোনা উপসর্গ থাকায় সকালে নমুনা পরীক্ষার পর পজিটিভ প্রতিবেদন আসায় তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, পাঁচজনের বিরুদ্ধে অবৈধ জনতা পথরোধ করে জোরপূর্বক চাঁদা দাবি, চাঁদা আদায়সহ অপরাধ অনুষ্ঠানের উদ্যোগ গ্রহণসহ ভয়ভীতি, হুমকি প্রদর্শন করে ক্ষতিসাধন ও সহায়তার অভিযোগ আনা হয়েছে। এ ছাড়া মামলায় এক লাখ টাকার ক্ষতি সাধনের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। ঘটনার স্থান হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বাসভবনের মূল ফটকের সামনে, বাসভবন এবং ওই এলাকার আশপাশের এলাকা বলে উল্লেখ করা হয়। ঘটনার তারিখ ও সময় হিসেবে ১৯ জানুয়ারি দুপুর ১২টা থেকে ২৫ জানুয়ারি সকাল ৮টা পর্যন্ত বিভিন্ন তারিখ ও সময়ের কথা উল্লেখ করা হয়েছে।

আরও পড়ুন

মামলার বাদী মো. লায়েক আহমদ সিলেট নগরের আম্বরখানা এলাকার বাসিন্দা। মামলার অভিযোগকারীর পরিচয়ে তিনি সিলেট জেলা তাঁতী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বলেও উল্লেখ করা হয়েছে। মামলার এজাহারে পাঁচজনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত হিসেবে ১০০-১৫০ জনকে আসামি করা হয়েছে।

এ বিষয়ে মামলার বাদী সিলেট জেলা তাঁতী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক লায়েক আহমদের ব্যবহৃত মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও সেটি বন্ধ পাওয়া যায়।

এদিকে প্রাক্তন পাঁচ শিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তারের ঘটনায় নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে অবিলম্বে তাঁদের মুক্তি দাবিতে বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতি।