ঘুষ না দেওয়ায় হয়রানি, দুদকের অভিযান

রাজধানীর মিরপুর ভূমি অফিসে দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগে অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এ ছাড়া চট্টগ্রাম, টাঙ্গাইলেও আলাদা দুটি অভিযান চালায় সংস্থাটি। আজ মঙ্গলবার অভিযান তিনটি চালানো হয় বলে সংস্থার প্রধান কার্যালয়ের জনসংযোগ বিভাগ প্রথম আলোকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

দুদক জানায়, সংস্থার অভিযোগ কেন্দ্রে (হটলাইন-১০৬) অভিযোগ আসে, ২০১৭ সালে মিউটেশনের জন্য আবেদন করা সত্ত্বেও চাহিদামতো অনৈতিক অর্থ না দেওয়ায় এক সেবাপ্রার্থীকে হয়রানি করা হচ্ছে। খবর পেয়ে দুদকের প্রধান কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মাহবুবুল আলমের নেতৃত্বে একটি দল মিরপুর ভূমি অফিসে অভিযান চালায়। সরেজমিন অভিযানে দুদক দল দুই বছর আগে করা আবেদনপত্রের ডুপ্লিকেট কার্বন রশিদ (ডিসিআর) উদ্ধার করে। তাদের কাছে প্রতীয়মান হয়েছে, ঘুষ না দেওয়ায় সেবাপ্রার্থীর কাছে এটা সরবরাহ করা হয়নি। দুদকের দলটি অবৈধ অর্থ লেনদেনের কাছে ব্যবহার করা একটি রেজিস্ট্রার উদ্ধার করে। এ ধরনের কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান গ্রহণের জন্য ভূমি সহকারী কর্মকর্তাকে নির্দেশনা দেয় দুদক দল। এ দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত কর্মচারীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য অনুমোদন চেয়ে কমিশনে প্রতিবেদন দেবে দুদক দল।

নানাবিধ অনিয়মের অভিযোগে চট্টগ্রাম সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) কার্যালয়ে আরেকটি অভিযান চালায় দুদক। সিএনজি রিপ্লেসমেন্ট, গাড়ির নতুন নম্বর প্লেট প্রদান ইত্যাদি সেবায় দুর্নীতি, অনিয়ম ও হয়রানির অভিযোগ পেয়ে সংস্থার চট্টগ্রাম সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের একটি দল এ অভিযান চালায়। দুদকের কর্মকর্তাদের উপস্থিতি আঁচ করতে পেরে দালালেরা পালিয়ে যান। দুদকের পক্ষ থেকে ওই কার্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দালালদের দৌরাত্ম্য দূর করা ও সেবার মানোন্নয়নে সুপারিশ করা হয়।

টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) কর্তৃক নির্মাণাধীন একটি রাস্তায় নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগে অভিযান পরিচালনা করে দুদক। টাঙ্গাইল সমন্বিত জেলা কার্যালয় এ অভিযান চালায়। সরেজমিন অভিযানে অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পায় দুদক। যথাযথ মান নিশ্চিত করে রাস্তার নির্মাণকাজ শেষ করার জন্য ঠিকাদারকে নির্দেশনা দেয় দুদক দল। এ ছাড়া উপজেলা প্রকৌশলীকে ওই কাজ তদারকিতে আরও সচেষ্ট হওয়ার জন্য অনুরোধ করা হয়।