ঘোড়াশাল ইউরিয়া সার প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন প্রধানমন্ত্রীর

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ বৃহস্পতিবার ঘোড়াশাল পলাশ ইউরিয়া সার প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন
ছবি: বাসস

বার্ষিক ৯ দশমিক ২৪ লাখ মেট্রিক টন সার উৎপাদনের লক্ষ্যে নরসিংদী জেলার ঘোড়াশাল পলাশ ইউরিয়া সার প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

আজ বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী তাঁর সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চ্যুয়ালি এই ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে যোগ দেন। শেখ হাসিনা একই অনুষ্ঠানে তেজগাঁও শিল্প এলাকায় বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটিরশিল্প করপোরেশনের (বিসিক) নবনির্মিত প্রধান কার্যালয়ের ১৪তলা ভবনের উদ্বোধন করেন।

এ ছাড়া মাদারীপুর বিসিক শিল্পাঞ্চল সম্প্রসারণসহ তিনটি পৃথক স্থানে আরও তিনটি উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন করেন শেখ হাসিনা। অপর দুটি প্রকল্প হলো বাংলাদেশ ইন্ডাস্ট্রিয়াল টেকনিক্যাল অ্যাসিস্ট্যান্স সেন্টারের (বিটাক) অধীনে ‘সরঞ্জাম প্রতিষ্ঠান স্থাপন’ ও বাংলাদেশ ইস্পাত ও প্রকৌশল করপোরেশনের (বিএসইসি) অধীনে ‘এলইডি লাইট অ্যাসেম্বলিং প্ল্যান্ট’ স্থাপন।

নরসিংদীর ঘোড়াশাল পলাশ ইউরিয়া সার প্রকল্প এবং রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

ঘোড়াশাল প্রান্ত থেকে শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূনের সভাপতিত্বে স্বাগত বক্তব্য দেন বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশনের চেয়ারম্যান শাহ মো. ইমদাদুল হক।

বিআইসিসিতে অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার ও মন্ত্রণালয়ের সচিব জাকিয়া সুলতানা।

বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি ঘোড়াশাল প্রান্তে বক্তব্য দেন। অনুষ্ঠানের শুরুতে এসব প্রকল্পের ওপর একটি ভিডিও ডকুমেন্টারি প্রদর্শন করা হয়। পরে শিল্প মন্ত্রণালয় প্রকাশিত শিল্পায়ন বিষয়ে বঙ্গবন্ধুর চিন্তাধারার ওপর একটি বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করা হয়।

১০ হাজার ৪৬০ কোটি টাকা ব্যয়ে বার্ষিক ৯ দশমিক ২৪ লাখ মেট্রিক টন উৎপাদন ক্ষমতাসম্পন্ন নতুন ইউরিয়া সার কারখানা স্থাপন প্রকল্প ২০১৮ সালের অক্টোবরে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় অনুমোদন দেওয়া হয়।

বর্তমানে দুটি কারখানা ঘোড়াশাল ইউরিয়া সার কারখানা ও পলাশ ইউরিয়া সার কারখানায় বছরে ৩ দশমিক ১৫ লাখ মেট্রিক টন সার উৎপাদন হয়।

বিসিআইসির চেয়ারম্যান শাহ মো. ইমদাদুল হক স্বাগত বক্তব্যে বলেন, এই প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে সারের আমদানি ৫৬ ভাগ কমে যাবে। ২০২৫ সালের পর দেশে আর সার আমদানি করতে হবে না। জাপান ও চীনের সহযোগিতায় এই পরিবেশবান্ধব সার কারখানা স্থাপিত হবে।