চট্টগ্রাম নগরে এবার নালায় পড়ে ছাত্রী নিখোঁজ
চট্টগ্রাম নগরে এবার নালায় পড়ে এক ছাত্রী নিখোঁজ হয়েছে। সোমবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে নগরের আগ্রাবাদের মাজার গেট এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। ওই ছাত্রী চশমা কিনে মামার সঙ্গে বাসায় ফিরছিল বলে পুলিশ জানিয়েছে।
সোমবার রাত দেড়টা পর্যন্ত নালায় পড়ে যাওয়া ছাত্রীর কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি। নিখোঁজ ছাত্রীর নাম সেহেরীন মাহবুব সাদিয়া। মেয়েটির বয়স নিয়ে দুই ধরনের তথ্য পাওয়া গেছে। ফায়ার সার্ভিসের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, নিখোঁজ ছাত্রীর বয়স ১৩ বছর। পুলিশ বলছে, তাঁর বয়স ১৯ ও তিনি কলেজ ছাত্রী।
সোমবার রাত দেড়টায় নগরের ডবলমুরিং থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মাসুদ রানা প্রথম আলোকে বলেন, কলেজছাত্রী সাদিয়া চশমা কিনে মামার সঙ্গে বাসায় ফিরছিলেন। তাঁদের বাসা নগরের হালিশহর এলাকায়। তবে ফুটপাত দিয়ে হাঁটার সময় নালায় পড়ে যান। ঘটনাস্থলে ফায়ার সার্ভিসের ছয়টি গাড়ি ও স্কেভেটর নিয়ে কাজ করছেন কর্মীরা।
ওই নালায় আবর্জনার স্তূপ জমে থাকতে দেখা গেছে। আবর্জনার ওই স্তূপের নিচে পানি আছে। এ কারণে ময়লায় পড়ে কিশোরী তলিয়ে যেতে পারে বলে ধারণা করছে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। সোমবার রাতে নগরে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হয়। এতে নালায় স্রোত থাকতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
চট্টগ্রাম ফায়ার স্টেশনের স্টেশন কর্মকর্তা কফিল উদ্দিন রাত সাড়ে ১২টার দিকে প্রথম আলোকে বলেন, নিখোঁজ ছাত্রীর বয়স ১৩ বছর। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের টিম ঘটনাস্থলে গেছে। ডুবুরি দল কাজ করছে।
এর আগে ২৫ আগস্ট নগরের মুরাদপুর এলাকায় রাস্তা পার হওয়ার সময় চশমা খালে পা পিছলে পরে মুহূর্তের মধ্যে তলিয়ে যান সবজি ব্যবসায়ী ছালেহ আহমেদ (৫০)। এখনো তাঁর খোঁজ পাওয়া যায়নি। চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলার মাইজভান্ডার দরবার শরীফে যাওয়ার জন্য মুরাদপুরে এসেছিলেন তিনি। ওখান থেকে বাসে করে দরবার শরীফে যাওয়ার কথা ছিল তাঁর।
নগরে জলাবদ্ধতার সময় গত ছয় বছরে নালা-নর্দমা ও খালে পড়ে অন্তত পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। তাঁদের মধ্যে দুজন মারা যান গত ৩০ জুন। ওই দিন নগরের মেয়র গলি এলাকায় চশমা খালে পড়ে সিএনজিচালক ও এক যাত্রীর মৃত্যু হয়।