চট্টগ্রামে খালে তলিয়ে যাওয়া পথচারী এখনো নিখোঁজ
চট্টগ্রাম নগরের চশমা খালে তলিয়ে যাওয়া পথচারী ছালেহ আহমেদের (৫০) খোঁজ মেলেনি এখনো। তাঁকে উদ্ধারে চতুর্থ দিনের মতো অভিযান অব্যাহত রেখেছে ফায়ার সার্ভিস। আজ শনিবার সকাল থেকে চশমা খাল এবং এর সঙ্গে যুক্ত মির্জা খালের পুরো অংশ ঘুরে দেখছেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা।
টানা বৃষ্টিতে গত বুধবার চট্টগ্রাম নগরের অধিকাংশ এলাকা ডুবে যায়। অনেক জায়গায় জলাবদ্ধতার কারণে পানিতে খাল, নালা ও রাস্তা একাকার হয়ে যায়। ওই দিন সকাল সাড়ে ১০টায় নগরের মুরাদপুর এলাকায় রাস্তা পার হওয়ার সময় চশমা খালে পা পিছলে পড়ে তলিয়ে যান ছালেহ আহমেদ। এরপর ফায়ার সার্ভিসের উদ্ধারকারী দল তাঁকে খুঁজতে অভিযান শুরু করে।
ফায়ার সার্ভিসের আগ্রাবাদ ফায়ার স্টেশনের পরিদর্শক ফখর উদ্দীন প্রথম আলোকে বলেন, ওই পথচারীর খোঁজ না পাওয়ার পেছনে দুটি কারণ থাকতে পারে। প্রথমত, খালে তলিয়ে যাওয়ার দিনই তীব্র স্রোতে ছালেহ আহমেদের দেহ নদীতে চলে যেতে পারে। দ্বিতীয়ত, নদীতে না পড়লে মরদেহ খালের ভেতরে ময়লা-আবর্জনার নিচে চাপা পড়তে পারে। এ দুটি কারণকে সামনে রেখেই অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে।
খালে তলিয়ে যাওয়ার দিনই ছালেহ আহমেদের মৃত্যু হতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন ফখর উদ্দীন। তিনি বলেন, সাধারণত নিখোঁজের এক-দুই দিনের মধ্যে লাশ ভেসে ওঠার কথা। এ বিষয়টি মাথায় রেখে চশমা খাল ও এর সঙ্গে যুক্ত খাল-নালায় তল্লাশি চালানো হয়েছে। এ ছাড়া কর্ণফুলী নদীতেও খোঁজ রাখা হচ্ছে।
ছালেহ আহমেদ চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলার মাইজভান্ডার দরবার শরিফে যাওয়ার জন্য মুরাদপুরে এসেছিলেন। সেখান থেকে বাসে করে দরবার শরিফে যাওয়ার কথা ছিল। পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলার মনসা এলাকার বাসিন্দা ছালেহ আহমেদের চকবাজারের কাঁচাবাজারে দোকান আছে। তাঁর স্ত্রী, এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে। তাঁরা গ্রামের বাড়িতে থাকেন। ছালেহ আহমেদ থাকতেন চকবাজারে ভাড়া বাসায়।
নগরে জলাবদ্ধতার সময় গত ছয় বছরে নালা-নর্দমা ও খালে পড়ে অন্তত পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। তাঁদের মধ্যে দুজন মারা যান গত ৩০ জুন। ওই দিন নগরের মেয়র গলি এলাকায় চশমা খালে পড়ে সিএনজিচালিত অটোরিকশার চালক ও এক যাত্রীর মৃত্যু হয়।