চট্টগ্রামে নিরাপত্তা জোরদার
একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর ফাঁসির দণ্ডাদেশ আপিল বিভাগে বহাল রাখা এবং কাল বৃহস্পতিবার জামায়াতের ডাকা সকাল-সন্ধ্যা হরতালকে ঘিরে চট্টগ্রামে নিরাপত্তা জোরদার করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
আজ বুধবার সন্ধ্যা থেকে নগরে র্যাব ও পুলিশের পাশাপাশি বিজিবি সদস্যরাও টহলে নেমেছে। নগর ও জেলার গুরুত্বপূর্ণ স্থানে সকাল থেকে বসেছে তল্লাশিচৌকি। বাড়ানো হয়েছে পুলিশি টহল।
নগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (অপরাধ ও অভিযান) দেবদাস ভট্টাচার্য্য সন্ধ্যায় প্রথম আলোকে বলেন, আজ সকাল থেকে নগরজুড়ে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়। হরতালের ডাক দেওয়ায় সন্ধ্যা থেকে নিরাপত্তা আরও জোরদার করেছে পুলিশ। নগরের বিভিন্ন প্রবেশপথে ও গুরুত্বপূর্ণ স্থানে তল্লাশিচৌকি বসিয়ে যানবাহন ও লোকজনকে তল্লাশি করা হচ্ছে। বাড়ানো হয়েছে পুলিশি টহলও। যেকোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে সাদা পোশাকেও পুলিশি দল মাঠে রয়েছে। গোপন তথ্যের ভিত্তিতে নাশকতাকারীদের ধরতে নগরের বিভিন্ন স্থানে চালানো হচ্ছে অভিযান।
আজ বিকেলে নগরের চকবাজার, জিইসি মোড়, প্রবর্তক মোড় ও চট্টেশ্বরী সড়কে তল্লাশিচৌকি বসিয়ে পুলিশকে তল্লাশি চালাতে দেখা গেছে।
নগরের পাশাপাশি জেলায়ও নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। অতিরিক্ত চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ সুপার (বিশেষ শাখা) মোহাম্মদ নাঈমুল হাছান বলেন, জেলার রাউজান, ফটিকছড়ি, রাঙ্গুনিয়া, সাতকানিয়া ও লোহাগাড়াসহ ১৬ থানায় নিরাপত্তা জোরদার করেছে পুলিশ। বিশেষ করে রাউজানে সাকা চৌধুরীর মামলার সাক্ষীরা অবস্থান করছেন। তাদের বাড়তি নিরাপত্তা দেওয়া হচ্ছে।
বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) চট্টগ্রাম অঞ্চলের পরিচালক (অভিযান) লে. কর্নেল এ আর এম নাছির উদ্দিন একরাম বলেন, চট্টগ্রাম নগর ও জেলার রাঙামাটি, বান্দরবান, কক্সবাজারে বুধবার সন্ধ্যা থেকে ২০ প্লাটুন বিজিবি সদস্য নামানো হয়েছে। প্রস্তুত রাখা হয়েছে আরও ১০ প্লাটুন।