চট্টগ্রামে ভারী বৃষ্টি, বিভিন্ন স্থানে পাহাড়ধস

নগরের আমবাগান এতিমখানা এলাকায় পাহাড় ধসে পড়ে সকালে। বাড়ির দেয়াল পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়ে মাটি
ছবি: সৌরভ দাশ

ভারী বৃষ্টিতে আজ বৃহস্পতিবার জলাবদ্ধতার পাশাপাশি নগরের বিভিন্ন স্থানে পাহাড়ধসের ঘটনা ঘটেছে। তবে কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। পাহাড়ধসের আশঙ্কায় নগরের বিভিন্ন পাহাড় থেকে ১০৫ পরিবারকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।

বৃষ্টির মধ্যে সকাল থেকে নগরের কয়েকটি স্থানে পাহাড়ধসের ঘটনা ঘটেছে। বিকেল চারটার দিকে নগরের গরিবউল্লাহ শাহ মাজার এলাকায় আমান উল্লাহ হাউজিংয়ে পাহাড় ধসে পড়ে। এ ছাড়া সকালে আমবাগান এতিমখানা পাহাড় এবং বায়েজিদ সংযোগ সড়কেও পাহাড়ধসের ঘটনা ঘটে।

আমান উল্লাহ হাউজিং এলাকায় পাহাড়ধসের পর ফায়ার সার্ভিস উদ্ধারকাজে ছুটে যায়। ফায়ার সার্ভিসের উপসহকারী পরিচালক নিউটন দাশ বলেন, পাহাড়ধসে কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। পাশে একটি ঘর ছিল। তবে ঘর পর্যন্ত মাটি আসেনি। ঘরের বাসিন্দারা আতঙ্কে ঘর থেকে বের হয়ে যায়।

পতেঙ্গা আবহাওয়া দপ্তর সূত্র জানায়, বেলা তিনটা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় নগরে ১৬৬ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। বৃষ্টিতে নগরের বাকলিয়া, কাপাসগোলা, ডিসি রোড, আগ্রাবাদ, সিডএ আবাসিক এলাকা, হালিশহরসহ বিভিন্ন এলাকায় হাঁটুসমান পানি উঠেছে।

চট্টগ্রামে পাহাড়ধসের সতর্কবার্তা জারি করা হয়েছে। আমবাগান এতিমখানা পাহাড়
ছবি: সৌরভ দাশ

সহকারী আবহাওয়াবিদ উজ্জ্বল কান্তি পাল জানান, লঘুচাপটি স্থল নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। এর প্রভাবে আগামী ২৪ ঘণ্টায় আরও ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। পাশাপাশি চট্টগ্রামে পাহাড়ধসের সতর্কবার্তা জারি করা হয়েছে। এ ছাড়া সমুদ্র বন্দরগুলোকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্কসংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়। গত মঙ্গলবার থেকে পাহাড়ধসের সতর্কবার্তা জারি করা হয়। এরপর গতকাল বুধবার ও আজ বৃহস্পতিবার বিভিন্ন পাহাড় থেকে ১০৫টি পরিবারকে অন্যত্র সরিয়ে নেওয়া হয়।

জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উমর ফারুক বলেন, নগরের বিভিন্ন স্থান থেকে ১০৫ পরিবারকে অন্যত্র সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। তাদের চারটি আশ্রয়কেন্দ্রে রাখা হয়েছে। এ ছাড়া আজ বৃহস্পতিবার মতিঝরনা, ফিরোজশাহ ও আকবরশাহ এলাকার পাহাড় থেকে ২৫টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে।