চবির ভর্তি পরীক্ষায় অংশ না নিয়েও ‘পাস’

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ডি-১ উপ-ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেননি এক ছাত্রী। কিন্তু প্রাথমিকভাবে কৃতকার্যদের (পাস) তালিকায় নাম এসেছে তাঁর। এ নিয়ে চলছে নানা সমালোচনা। তবে ইউনিট সংশ্লিষ্টরা বলছেন, আরেক ছাত্রের ভুলের কারণে এমন ঘটনা ঘটেছে।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়
ছবি: সংগৃহীত

প্রতিবছর ডি-১ উপ-ইউনিটের পরীক্ষা দুই ধাপে অনুষ্ঠিত হয়। ফিজিক্যাল এডুকেশন অ্যান্ড স্পোর্টস সায়েন্স বিভাগে ভর্তি হতে ওই ইউনিটের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা আবেদন করেন। প্রথম ধাপে শিক্ষার্থীরা ১০০ নম্বরের নৈর্ব্যক্তিক প্রশ্নের উত্তর দেন। এরপর পাস করা শিক্ষার্থীরা ব্যবহারিক পরীক্ষায় অংশ নেন। পরে চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশ করে কর্তৃপক্ষ।

রোববার ও গত শনিবার- দুদিন ব্যবহারিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ব্যবহারিক পরীক্ষায় অংশ নিতে গত বুধবার ওই পরীক্ষার্থীকে খুদেবার্তা পাঠানো হয়। তবে ব্যবহারিক পরীক্ষায়ও ওই ছাত্রী অংশ নেননি। রোববার বিষয়টি জানাজানি হয়।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্র জানায়, গত ৫ নভেম্বর ডি-১ উপ-ইউনিটের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। পরে ৬ নভেম্বর রাতে পাস করাদের তালিকা প্রকাশ করা হয়। প্রথম ধাপের নৈর্ব্যক্তিক পরীক্ষায় অংশ নেন ১১৬৭ শিক্ষার্থী। কৃতকার্য হন ৩৩০ জন। পরে ব্যবহারিক পরীক্ষায় অংশ নেন ১৫৭ জন।

পরীক্ষা না দিয়েও কৃতকার্য হওয়া ওই পরীক্ষার্থী প্রথম আলোকে বলেন, তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় এ, ডি ও ডি-১ উপ-ইউনিটের পরীক্ষার জন্য আবেদন করেন। কিন্তু ডি-১ উপ-ইউনিটে তিনি অংশ নেননি। এরপরও তাঁকে ব্যবহারিক পরীক্ষায় অংশ নিতে খুদেবার্তা পাঠানো হয়।

এ বিষয়ে ডি-১ উপ- ইউনিটের সমন্বয়ক ও সমাজবিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক মুস্তাফিজুর রহমান ছিদ্দিকী প্রথম আলোকে বলেন, ৪৯২৫৬১ রোল একজন ছাত্রীর। আবার ৪৯২৫৬২ রোল একজন ছাত্রের। ছাত্রীটি পরীক্ষায় অংশ নেননি। কিন্তু ওই ছাত্র পরীক্ষা দিয়েছেন। তবে উত্তরপত্রে ওই ছাত্র রোল নম্বরের শেষের দুই সংখ্যা ভুল করে ৬১ লিখেন। কম্পিউটার স্বাভাবিকভাবেই এ ভুল ধরতে পারবে না। এ কারণে ওই ছাত্রীর কাছে খুদেবার্তা গেছে।

মুস্তাফিজুর রহমান আরও বলেন, ওই ছাত্রীর উত্তীর্ণ হওয়ার কোনো সুযোগ নেই। ফলাফল দেওয়া হবে আরও দুই-তিন দিন পর। প্রথম ধাপের পরীক্ষায় কৃতকার্য হয়ে ওই ছাত্রীকে ব্যবহারিক পরীক্ষায় অংশ নিতে হতো। যদি তিনি আসতেন, তবে ব্যবহারিক পরীক্ষায় ধরা পড়তেন।