চরফ্যাশনে আগুনে পুড়ে গেল ২৫ ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান
ভোলার চরফ্যাশন উপজেলা শহরের থানা সড়কে গতকাল শুক্রবার রাতে অগ্নিকাণ্ডে ২৫টি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান পুড়ে গেছে। এতে ১০ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে ব্যবসায়ীদের দাবি।
গতকাল দিবাগত রাত সোয়া একটার দিকে বাজারের শরীফপাড়া ব্রিজ সংলগ্ন কাপড়ের দোকান থেকে আগুনের সূত্রপাত বলে ব্যবসায়ীদের ধারণা। ফায়ার সার্ভিসের পাঁচটি ইউনিট প্রায় দুই ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
চরফ্যাশন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. রুহুল আমিন বলেন, দ্রুত আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে ফায়ার সার্ভিসের পাঁচটি ইউনিট কাজ করেছে। ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা করা হচ্ছে। ব্যবসায়ীরা যেন দ্রুত ঘর তুলে ব্যবসা করতে পারেন, সে ব্যাপারে সহায়তা করা হবে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, গতকাল রাত সোয়া একটার দিকে পুরাতন কাপড়ের গুদামে আগুনের সূত্রপাত। মুহূর্তেই আগুন ছড়িয়ে পড়ে। স্থানীয় ব্যবসায়ীরা চরফ্যাশন ফায়ার সার্ভিসকে খবর দিলে তারা দেড়টার দিকে ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে। পরে লালমোহন, বোরহানউদ্দিনসহ আরও চারটি ফায়ার সার্ভিস ইউনিটকে আনা হয়। পাঁচটি ইউনিট প্রায় দুই ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এ সময়ের মধ্যে মুদি দোকান মেসার্স রুহুল আমিন, ইভা স্টোর, ভূঁইয়া স্টোর, পবিত্র স্টোর, ইলেকট্রিক পয়েন্ট, অনুরূপ বাবু ও মো. সেলিম মিয়ার লেপ-তোশকের দোকান, তাপস ও মিথুনের সেলুন, ইব্রাহীম স্টোর, সাইফুলের মোবাইল ব্যাংকিং ও ফ্লেক্সিলোডের দোকান, ফলের দোকান ও গুদাম, দুটি চায়ের দোকান, একাধিক মুড়ির গুদাম, নীলা হার্ডওয়্যারের দোকানসহ ২৫টি দোকান পুড়ে যায়।
নীলা হার্ডওয়্যারের মালিক অজিউল্যাহ দাবি করেন, তাঁর ৫০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। ইলেকট্রিক পয়েন্টের মালিক আ. খালেক বলেন, তাদের ৫৫ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।
চরফ্যাশন বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মনির উদ্দিন চাষি বলেন, ব্যবসায়ীদের কমপক্ষে ১০ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে।
চরফ্যাশন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শামসুল আরেফিন বলেন, বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। এখানে সাধারণ দোকান ছাড়াও মুদি, হার্ডওয়্যার, বৈদ্যুতিক যন্ত্র, গ্যাস সিলিন্ডারসহ বিভিন্ন মালামালের গুদাম ছিল। অগ্নিকাণ্ডে হতাহতের ঘটনা ঘটেনি বলে তিনি জানান।