চাঁদাবাজি ও পুলিশকে মারধরের অভিযোগ, গ্রেপ্তার ৩

ঢাকার আশুলিয়ায় পরিবহনে চাঁদাবাজি এবং পুলিশের ওপর হামলা ও সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে তিন ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শুক্রবার সকালে তাঁদের বিরুদ্ধে আশুলিয়া থানায় মামলা করেছে পুলিশ।

গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন আশুলিয়ার কাইছাবাড়ির কালারটেক এলাকার মো. মামুন (৪০), টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলার দরিহাতি গ্রামের রাজ্জাক মিয়া (৩৮) ও সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার কান্দাপাড়া গ্রামের আলমগীর হোসেন (৩৯)।

আশুলিয়া থানা–পুলিশ এবং মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়কের আশুলিয়ার বাইপাইল এলাকার ট্রাকস্ট্যান্ডের সামনে কিছু ব্যক্তি বিভিন্ন পরিবহন থেকে চাঁদা আদায় করছিলেন। এ কারণে সেখানে যান চলাচলে বাধাগ্রস্ত হওয়ার খবর পেয়ে বেলা দেড়টার দিকে আশুলিয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) হারুন-অর-রশিদ ও এসআই আসাদুর রহমান ঘটনাস্থলে গিয়ে চাঁদা উত্তোলনের সময় তাঁদের একজনকে আটক করেন। এ সময় ২০ থেকে ৩০ জন ব্যক্তি চারদিক থেকে ওই দুই পুলিশ সদস্যকে ঘেরাও ও আক্রমণ করেন। তাঁরা ওই দুই পুলিশ সদস্যকে এলোপাতাড়ি কিল–ঘুষি মারতে থাকেন। এতে এসআই হারুন-অর-রশিদ আহত হন। খবর পেয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সেখানে গিয়ে ওই তিন ব্যক্তিকে আটক করে। তবে অন্যরা পালিয়ে যান। আটক ব্যক্তিদের কাছ থেকে চাঁদাবাজির ৪ হাজার ২৫০ টাকা জব্দ করা হয়।

আহত এসআই হারুন-অর-রশিদকে স্থানীয় গণস্বাস্থ্য সমাজভিত্তিক মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। এ ঘটনায় আজ শুক্রবার সকালে গ্রেপ্তার ওই তিনজনসহ নয়জনকে আসামি করে পরিবহনে চাঁদাবাজি, যানজট সৃষ্টি, সরকারি কর্তব্য কাজে বাধা, মারধর ও হুমকির অভিযোগে থানায় মামলা করেন এসআই হারুন-অর-রশিদ। বাকি ছয় আসামি পলাতক রয়েছেন।

এজাহারে বলা হয়, আশুলিয়ার বাইপাইল পূর্বপাড়া এলাকার বাদশা মণ্ডলের নেতৃত্বে আসামিরা দীর্ঘদিন ধরে ঢাকা-চন্দ্রা মহাসড়কের বাইপাইল বাসস্ট্যান্ড এলাকায় বিভিন্ন পরিবহনে চাঁদাবাজি করছিলেন।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও আশুলিয়া থানার এসআই মো. আসওয়াদুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, গ্রেপ্তার তিন আসামিকে আজ দুপুরে ঢাকার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পাঠানো হয়। পরে আদালতের বিচারকের নির্দেশে তাঁদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে। পলাতক ছয় আসামিকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।