চিকিৎসা অধ্যয়নবিষয়ক দুটি বইয়ের মোড়ক উন্মোচন

‘লিপিড ইন হেলথ অ্যান্ড ডিসলিপিডেমিয়া’ শীর্ষক ওয়েবিনারে দুটি বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করা হয়।
ছবি: সংগৃহীত

ফিভার অ্যান্ড পাইরেক্সিয়া অব আননোন অরিজিন ও নিউমোনিয়া শিরোনামের চিকিৎসা অধ্যয়নবিষয়ক দুটি বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করা হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার এক বৈজ্ঞানিক ওয়েবিনারে বই দুটির মোড়ক উন্মোচন করা হয়। এসকেএফ ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের সহযোগিতায় ‘লিপিড ইন হেলথ অ্যান্ড ডিসলিপিডেমিয়া’ শীর্ষক এই ওয়েবিনারের আয়োজন করে অনলাইনভিত্তিক মেডিকেল প্ল্যাটফর্ম বিডি ফিজিশিয়ান।

বই দুটি লিখেছেন এসিএ (আমেরিকান কলেজ অব ফিজশিয়ানস) চ্যাপ্টার বাংলাদেশের গভর্নর এবং বাংলাদেশ সোসাইটি অব মেডিসিনের সাবেক প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক এইচ এ এম নাজমুল আহসান। অনুষ্ঠানের সায়েন্টিফিক পার্টনার হিসেবে ছিল এসকেএফের গ্যাস্ট্রিকের ওষুধ ইসোরাল মাপস।

চিকিৎসা অধ্যয়নবিষয়ক বই প্রকাশকে ভিডিও বার্তার মাধ্যমে স্বাগত জানিয়েছেন পপুলার মেডিকেল কলেজের মেডিসিন বিভাগের অধ্যাপক কাজী তারিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, এ রকম প্রকাশনা চিকিৎসকদের জ্ঞানের পরিধি আরও বাড়াতে সাহায্য করবে।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন পপুলার মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ খান আবুল কালাম আজাদ। তিনি বলেন, জ্বরের চিকিৎসায় ওষুধ দেওয়ার চেয়ে সঠিক কারণ নির্ধারণ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন, প্রকাশনাটি চিকিৎসকদের সঠিক দিকনির্দেশনা প্রদান করবে।

এ ছাড়া অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে আরও বক্তব্য দেন ইউনিভার্সেল মেডিকেল কলেজের মেডিসিন বিভাগের প্রধান অধ্যাপক মো. এনামুল করিম এবং মার্কস মেডিকেল কলেজের অধ্যাপক ও বাংলাদেশ সোসাইটি অব মেডিসিনের আজীবন সদস্য মেজর (অব.) মো. জুলহাস উদ্দিন। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেছেন বিডি ফিজিশিয়ানের অন্যতম অ্যাডমিন ডা. এহসান খান। অনুষ্ঠানে দুই শতাধিক চিকিৎসক ভার্চ্যুয়ালি যোগ দেন। দেশের চিকিৎসাবিজ্ঞানে জ্ঞানচর্চা ও বই প্রকাশের সঙ্গে থাকতে পেরে বিডি ফিজিসিয়ানসহ সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এসকেএফের নির্বাহী পরিচালক (বিপণন ও বিক্রয়) ডা. মোহাম্মদ মুজাহিদুল ইসলাম।

অধ্যাপক এইচ এ এম নাজমুল আহসান তাঁর বক্তব্যে বলেন, ‘আমরা লিপিড ছাড়া বাঁচতে পারব না, আবার এর কারণে মারাও যেতে পারি। ডিসলিপিডেমিয়া নীরব ঘাতক। এ রোগ দ্রুত নির্ণয় ও চিকিৎসা করলে অনেক হৃদ্রোগ প্রতিরোধ সম্ভব। সুষম ও পুষ্টিকর খাদ্য গ্রহণ করতে হলে লিপিড গ্রহণও স্বাস্থ্যসম্মত হতে হবে। আমাদের সুষম খাদ্য গ্রহণের ওপর নজর রাখতে হবে।’