চিকিৎসার জন্য খালেদা জিয়াকে বিদেশে যেতে অনুমতির পদক্ষেপ চেয়ে রিট

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া
ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে যেতে অনুমতি দিতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট হয়েছে।

সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ইউনুছ আলী আকন্দ আজ সোমবার হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিটটি দায়ের করেন।

পরে ইউনুছ আলী আকন্দ প্রথম আলোকে বলেন, বিচারপতি মামনুন রহমানের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্টের দ্বৈত বেঞ্চে শুনানির জন্য রিটটি আগামীকাল মঙ্গলবার উপস্থাপন করা হবে।

আইনজীবীর পাঠানো রিটের প্রার্থনায় দেখা যায়, ফৌজদারি কার্যবিধির ৪০১(১), সংবিধানের ১১, ৩২ ও ৪৯ অনুচ্ছেদের পাশাপাশি জাতিসংঘের সর্বজনীন ঘোষণার আর্টিকেল ৩, ৫, ১১ ও ১৩(২)-এর অধীনে উন্নত চিকিৎসার জন্য দণ্ডিত খালেদা জিয়াকে দেশের বাইরে যেতে অনুমতির জন্য বিবাদীদের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, এ বিষয়ে রুল চাওয়া হয়েছে।

রুল হলে তা বিচারাধীন অবস্থায় ফৌজদারি কার্যবিধির বিধান, সংবিধান, জাতিসংঘের সর্বজনীন ঘোষণার অনুচ্ছেদ ও আর্টিকেল অনুসারে উন্নত চিকিৎসার জন্য খালেদা জিয়াকে দেশের বাইরে যেতে অনুমতির জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে।

রিটে আইনসচিব, মন্ত্রী পরিষদসচিব, প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের মুখ্যসচিব, রাষ্ট্রপতির সচিবালয়ের সচিব ও স্বরাষ্ট্রসচিবকে বিবাদী করা হয়েছে।

৭৬ বছর বয়সী খালেদা জিয়া অনেক বছর ধরে আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি, ফুসফুস, চোখের সমস্যাসহ নানা জটিলতায় ভুগছেন। গত ১৩ নভেম্বর গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় তাঁকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর হাসপাতালের চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, তিনি লিভার সিরোসিসে আক্রান্ত হয়েছেন। তাঁর পরিপাকতন্ত্রে একাধিকবার রক্তক্ষরণ হয়েছে।

খালেদা জিয়া হাসপাতালটির ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিটে চিকিৎসাধীন। তাঁর চিকিৎসার জন্য গঠিত হাসপাতালের মেডিকেল বোর্ড অবিলম্বে তাঁকে বিদেশে উন্নত চিকিৎসার সুপারিশ করেছে বলে জানানো হয়েছে।

উন্নত চিকিৎসার জন্য খালেদা জিয়াকে বিদেশে পাঠানোর দাবি জানিয়ে আসছে বিএনপি।

জিয়া অরফানেজ ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হয়ে ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে খালেদা জিয়া কারাবন্দী ছিলেন। গত বছরের ২৫ মার্চ খালেদা জিয়া সরকারের নির্বাহী আদেশে প্রথমে ছয় মাসের জন্য শর্ত সাপেক্ষে মুক্তি পান। পরে তাঁর মুক্তির মেয়াদ আরও বাড়ানো হয়।