চীনের মধ্যস্থতায় ত্রিপক্ষীয় ভার্চ্যুয়াল বৈঠক শুরু

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিয়ে তিন দেশের পররাষ্ট্রসচিব পর্যায়ে এ ধরনের বৈঠক এটিই প্রথম
ছবি: সংগৃহীত

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিয়ে চীনের মধ্যস্থতায় বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে পররাষ্ট্রসচিব পর্যায়ে ভার্চ্যুয়াল বৈঠক শুরু হয়েছে। আজ মঙ্গলবার বেলা দুইটার দিকে ত্রিপক্ষীয় এই বৈঠক শুরু হয়।

তিন দেশের পররাষ্ট্রসচিব পর্যায়ের এই বৈঠকে বর্ষা মৌসুম শুরুর আগে এবং রাখাইন রাজ্যের সুনির্দিষ্ট গ্রাম ধরে তালিকা করে রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠানোর বিষয়ে জোর দেবে বাংলাদেশ।

ঢাকায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন, নেপিডোতে মিয়ানমারের পররাষ্ট্রসচিব এই চান ও বেইজিং থেকে চীনের উপমন্ত্রী লুও ঝাওহুই বৈঠকে তিন দেশের নেতৃত্ব দিচ্ছেন।

তিন দেশের পররাষ্ট্রসচিব পর্যায়ে এ ধরনের বৈঠক এটিই প্রথম। তবে এই বৈঠকে নাটকীয় কিছু ঘটবে, এমনটা আশা করছেন না বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা। ধারণা করা হচ্ছে, এই বৈঠকের পর আগামী এপ্রিল বা মে মাসের দিকে তিন দেশ সামনাসামনি আলোচনায় বসবে।

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিয়ে ত্রিপক্ষীয় বৈঠক নিয়ে বাংলাদেশের প্রত্যাশার বিষয়ে পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন গত রোববার সাংবাদিকদের বলেন, ‘বাংলাদেশ চায় যত শিগগির সম্ভব প্রত্যাবাসন শুরু হোক। চীনের সহায়তায় বৈঠকটি হচ্ছে। আগেও চীন একবার তারিখ দিয়েছিল, কিন্তু মিয়ানমার রাজি না থাকায় বৈঠকটি হয়নি।’

প্রত্যাবাসনের জন্য ২০১৮ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২০ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত মোট ছয় দফায় মিয়ানমারকে ৮ লাখ ৩৫ হাজার রোহিঙ্গার তালিকা দিয়েছে বাংলাদেশ। এর মধ্যে মিয়ানমার মাত্র ৪২ হাজার রোহিঙ্গার নাম যাচাই-বাছাই করে ফেরত পাঠিয়েছে। তবে তালিকা পরিবারভিত্তিক হওয়ার কথা থাকলেও মিয়ানমারের ফেরত পাঠানো তালিকাটি পূর্ণাঙ্গ নয়।

এমন পরিস্থিতিতে আলোচনায় বাংলাদেশের অগ্রাধিকার নিয়ে জানতে চাইলে মাসুদ বিন মোমেন বলেন, অতীতে যা হয়েছে, সেই অভিজ্ঞতার আলোকে পদক্ষেপ নিতে হবে। সুতরাং, একই ভুল বা একই পথে যাওয়ার কোনো অর্থ নেই। বিক্ষিপ্তভাবে রোহিঙ্গাদের তালিকা না পাঠিয়ে সুনির্দিষ্ট গ্রাম ধরে তালিকার মাধ্যমে বাস্তবসম্মত উপায়ে প্রত্যাবাসনের চেষ্টা করা যেতে পারে। যাচাই-বাছাইয়ের পর যে তালিকা এসেছে, সেখান থেকে গ্রামভিত্তিক তালিকা করা যায়। সেই সংখ্যা এক থেকে দুই হাজার হতে পারে। বিষয়টি চীনকেও বলা হয়েছে।