চুরি হয়ে যাচ্ছে লেখকের স্বত্ব

বাউলসাধক লালন সাঁইয়ের গান সংগ্রহ করে লালন-সংগীত নামে তিন খণ্ডের বই লিখেছিলেন ফকির আনোয়ার হোসেন মন্টু শাহ্। প্রথম প্রকাশিত হয়েছিল কুষ্টিয়ার পূর্ব মজমপুর থেকে, ১৯৯৫ সালে। পঞ্চম সংস্করণ প্রকাশিত হয়েছে ২০১৭ সালে। প্রকাশক মোহাম্মদ আলী। বইটি কুষ্টিয়ায় লালন মাজার এলাকার বইয়ের দোকানগুলোতে পাওয়া যায়।

একই নামে শুধু প্রচ্ছদ বদলে বইটি প্রকাশ করেছে ঢাকার বাংলাবাজারের হাওলাদার প্রকাশনী, ২০১৫ সালে। এই বইয়ে ফকির আনোয়ার হোসেন মন্টু শাহর ভূমিকা ও অন্যান্য তথ্য হুবহু রয়েছে।

বইয়ের নাম, প্রচ্ছদ বদলে বা ভেতরে সামান্য এদিক-ওদিক করে একই বই একাধিক প্রকাশনা সংস্থা প্রকাশ করছে। সৃজনশীল সাহিত্যকর্মের কপিরাইট (মেধাস্বত্বের) নিবন্ধন না থাকায় এমন ঘটনার নজির অনেক। এতে লেখকের স্বত্ব চুরি হয়ে যাচ্ছে। এ ছাড়া লেখক ও প্রকাশকের মধ্যে লিখিত চুক্তি না থাকায় অধিকাংশ লেখক সম্মানী পান না। কেউ পেলেও তা অনেক সময় পুরোপুরি পান না।

কপিরাইট অফিস জানায়, বছরে এখন ছয়-সাত হাজার সৃজনশীল বই প্রকাশিত হচ্ছে। কিন্তু কপিরাইট নিবন্ধন হয় মাত্র পাঁচ-ছয় শ বইয়ের। এ কারণে একই বই একাধিক প্রকাশনী থেকে প্রকাশের সুযোগ থাকে। এ নিয়ে আইনি নিষ্পত্তির অভিযোগও খুব কম। কপিরাইট নিয়ে এ পর্যন্ত মাত্র ১৩টি অভিযোগ এসেছে। এর মধ্যে উল্লিখিত লালন-সংগীত, ‘মাসুদ রানা’, ‘কুয়াশা সিরিজ’, প্রয়াত লেখক আহমদ ছফার বইয়ের কপিরাইট নিয়ে অভিযোগ রয়েছে।

একই বই, দাবি দুই পক্ষের

কুষ্টিয়ার ফকির আনোয়ার হোসেন মন্টু শাহ্‌ লালনভক্ত ও সাধক ছিলেন। তিনি লালনের গানের মূল লিপিকার ফকির মনিরুদ্দিন শাহর হাতে লেখা ২৫০টি গানসহ সাঁইজির প্রায় ৮৫০টি গান সংগ্রহ করেন। মন্টু শাহ্ অবিবাহিত ছিলেন। তাঁর মৃত্যুর পর লালন-সংগীত নামের বই ও অন্যান্য সম্পদের স্বত্ব পান তাঁর ভাতিজি কাকলী খাতুন। বইটির সম্প্রতি কপিরাইট নিবন্ধন নিয়েছিলেন কাকলী।

বইটির প্রকাশক ও কাকলীর স্বামী মোহাম্মদ আলী জানান, মন্টু শাহ্ লালন মাজার সেবা সদন কমিটির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ছিলেন। সারা জীবন ভাতিজি কাকলী তাঁর দেখভাল করেছেন। তাই মৃত্যুর আগে তিনি সবকিছু কাকলীকে দিয়ে যান।

এদিকে শুধু প্রচ্ছদ বদলে লালন-সংগীত নামের বইটি প্রকাশ করেছে ঢাকার বাংলাবাজারের হাওলাদার প্রকাশনী। প্রকাশক মোহাম্মদ মাকসুদের দাবি, বইটির স্বত্ব লালন মাজার শরিফ সেবা সদন কমিটির। সেবা সদনের সভাপতি আলী আহসানের কাছ থেকে তিনি বইটি প্রকাশের অনুমতি নিয়েছেন।

কপিরাইট অফিস অবশ্য প্রকাশক মোহাম্মদ আলীর দাবিই মানছে। কপিরাইট রেজিস্ট্রার জাফর রাজা চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, তাঁরা পর্যবেক্ষণ করে দেখেছেন, হাওলাদার প্রকাশনীর দাবি ঠিক নয়।

সম্মানী নিয়েও লেখক-প্রকাশকের মধ্যে অপ্রিয় ঘটনা ঘটছে। সবচেয়ে আলোচিত ঘটনাটি ছিল এ বছরের জুন মাসে। লেখক শেখ আবদুল হাকিম নিজেকে সেবা প্রকাশনী থেকে প্রকাশিত জনপ্রিয় ‘মাসুদ রানা’ ও ‘কুয়াশা সিরিজ’-এর ২৬০টি বইয়ের লেখক দাবি করে কপিরাইট অফিসে মামলা করেন।

শেখ আবদুল হাকিম দাবি করেছিলেন, প্রকাশকের সঙ্গে লেখক সম্মানী নিয়ে মৌখিক চুক্তি ছিল, কোনো লিখিত চুক্তি ছিল না। অধিকাংশ বইয়ের কপিরাইট নিবন্ধনও তাঁর নামে ছিল না। তবে তিনি বইগুলোর লেখক এবং এর ন্যায্য সম্মানী পাননি। প্রথমে কপিরাইট অফিস থেকে বইয়ের লেখক হিসেবে তাঁকে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছিল। পরে উচ্চ আদালত তা স্থগিত করে দেন।

চুক্তি থাকা প্রয়োজন

লেখক ও প্রকাশকদের মধ্যে সম্মানী ও অন্যান্য শর্তের লিখিত চুক্তি থাকার প্রয়োজন বলে মনে করছেন লেখক-প্রকাশকেরা।

কথাশিল্পী ইমদাদুল হক মিলন বলেন, লিখিত চুক্তি থাকলে উভয় পক্ষের মধ্যে যেমন সম্পর্ক ভালো থাকবে, তেমনি লেখকেরা তাঁদের শ্রমের মূল্যের নিশ্চয়তা পাবেন। এটা খুব জরুরি। নিজের অভিজ্ঞতা থেকে তিনি বলেন, তাঁর অধিকাংশ প্রকাশকই বন্ধুস্থানীয় বা ঘনিষ্ঠজন। লেখক সম্মানী তিনি যথাযথভাবেই পেয়ে থাকেন। এসব প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে রয়েছে অনন্যা, প্রথমা প্রকাশন, কথাপ্রকাশ, ইউপিএল, পাঞ্জেরী, অন্যপ্রকাশ।

দেশে সৃজনশীল বইয়ের বাজার খুব বড় নয়। সরকারি-বেসরকারি প্রাতিষ্ঠানিক ক্রয় মিলিয়ে সারা বছর প্রায় ২০০ কোটি টাকার সৃজনশীল বই বিক্রি হয়। কপিরাইট আইনে লেখক সম্মানী নির্ধারিত নেই। তবে বিভিন্ন দেশে তা বইয়ের দামের শতকরা সর্বনিম্ন ১০ ভাগ থেকে ২০ ভাগ পর্যন্ত দেওয়া হয়। কপিরাইট অফিস জানায়, দেশে সাধারণত বইয়ের দামের ১৪ শতাংশ লেখক সম্মানী দেওয়ার প্রচলন রয়েছে। সেই হিসাবে সব মিলিয়ে বছরে লেখকদের প্রায় ২ কোটি ৮০ লাখ টাকা সম্মানী পাওয়ার কথা। কিন্তু বাস্তবে হাতে গোনা কয়েকটি প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান লেখকদের সম্মানী দিয়ে থাকে। সম্মানী পাওয়া লেখকদের সংখ্যাও হাতে গোনা।

কথাশিল্পী সেলিনা হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, ‘ঠিকমতো লেখক সম্মানী পাই, তা বলা যাবে না। কত বই বিক্রি হলো, অধিকাংশ প্রকাশক তার হিসাবও দেন না।’ তিনি জানান, প্রথমা প্রকাশন, ইত্যাদি প্রকাশন, পাঞ্জেরী ও সময় প্রকাশন থেকে নিয়মিত সম্মানী পান। এ ছাড়া তাঁর জানামতে মাওলা ব্রাদার্স, ইউপিএল, অনন্যা, কথাপ্রকাশ, আগামী ও অন্যপ্রকাশ লেখক সম্মানী দিয়ে থাকে।

প্রয়াত কয়েকজন বিখ্যাত লেখক পরিবারের সঙ্গে কথা বলে জানা গেল, তাঁরাও কেবল কয়েকটি প্রকাশনা থেকেই লেখক সম্মানী পান। কবি শামসুর রাহমানের পুত্রবধূ টিয়া রাহমান বলেন, কবির শতাধিক বই রয়েছে। এর মধ্যে প্রথমা প্রকাশন থেকে যে চার-পাঁচটি বই প্রকাশিত হয়েছে, প্রতিবছর নিয়মিত এই বইগুলোর লেখক সম্মানী পান। কত বই ছাপা হয়েছে, কত বিক্রি হয়েছে, প্রতিষ্ঠানের তরফ থেকে সেই হিসাবও দেওয়া হয়। এ ছাড়া অবসর, সাহিত্য প্রকাশ, সময়, অনন্যা—এসব প্রকাশনী সম্মানী দিয়ে থাকে। আবার অনেক প্রকাশনী সম্মানীর বিষয়ে যোগাযোগ করলে বই বিক্রি হচ্ছে না, বাজার খারাপ—এমন অনেক সমস্যার কথা বলে বিষয়টি এড়িয়ে যায় বলে টিয়া রাহমান জানালেন।

প্রয়াত লেখক হুমায়ুন আজাদের মেয়ে মৌলি আজাদ জানালেন, তাঁর বাবার প্রায় সব বই আগামী প্রকাশনী থেকে প্রকাশিত। সম্মানী নিয়ে প্রকাশকের সঙ্গে লিখিত চুক্তি রয়েছে।

নিবন্ধনে আগ্রহ কিছুটা বেড়েছে

কপিরাইট নিবন্ধন অফিসের তথ্য অনুযায়ী, কয়েক বছর ধরে মেধাসম্পদের মোট নিবন্ধনের সংখ্যা কিছুটা বাড়ছে। ২০১৭ সালে মোট নিবন্ধিত হয় ৫৫৭টি, এর মধ্যে সৃজনশীল সাহিত্য ছিল ২৫৮টি। ২০১৮ সালে মোট নিবন্ধন ১ হাজার ৭৯৫টি, এর মধ্যে সাহিত্য ৫৩২টি। গত বছর মোট নিবন্ধন ৩ হাজার ২০৫টি, এর মধ্যে সাহিত্য ৬১১টি। আর চলতি বছরের আগস্ট পর্যন্ত মোট নিবন্ধন ১ হাজার ৭১১টি। এর মধ্যে সাহিত্য ৩৫৩টি। দেখা গেছে, গান ও তথ্যপ্রযুক্তি-সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয়ের নিবন্ধন ক্রমেই বেড়েছে। কিন্তু সে তুলনায় সৃজনশীল সাহিত্যকর্মের নিবন্ধন বাড়েনি।

এ বছর একুশের বইমেলায় চার হাজারের বেশি বই প্রকাশিত হয়েছে। প্রতিবছর প্রায় সাত হাজার সৃজনশীল বই বাজারে আসে। কিন্তু কপিরাইট নিবন্ধন হয় খুব কম। মৌলিক সৃজনশীল রচনার কপিরাইট নিবন্ধন এবং সম্মানীর জন্য চুক্তি করা নিয়ে লেখক-প্রকাশক দুই পক্ষের মধ্যেই রয়েছে অসচেতনতা, অনাগ্রহ এবং একে অন্যের ওপর দায় চাপানোর চেষ্টা। তা ছাড়া কপিরাইট নিবন্ধন সম্পর্কে অনেক লেখকই ভালো করে জানেন না।

কপিরাইট রেজিস্ট্রার জাফর রাজা চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, বছরে এখন ছয়-সাত হাজার বই প্রকাশিত হচ্ছে। কিন্তু এর মধ্যে কপিরাইট নিবন্ধন হচ্ছে মাত্র ৫০০-৬০০ বইয়ের। নিবন্ধন লেখকদের জন্য বাধ্যতামূলক নয়। সম্মানী নিয়েও লেখক ও প্রকাশকদের মধ্যে লিখিত চুক্তি থাকা বাধ্যতামূলক নয়। আইনটি মূলত নৈতিক ভিত্তির ওপর নির্ভরশীল। প্রকাশক যদি লেখককে ৫০০ বই ছাপার কথা বলেন, সেই পরিমাণ সম্মানী দিয়ে পাঁচ হাজার বই ছাপেন বা লেখকের অজান্তে একাধিক সংস্করণ করেন, তাহলে লেখকের আসলে কিছু করার থাকে না।

কপিরাইট অফিস অবশ্য ইদানীং মেধাসম্পদের মালিকানার সুরক্ষার জন্য নিবন্ধনে আগ্রহী করতে সেমিনার, কর্মশালা, অংশীজনদের নিয়ে মতবিনিময়, সম্মাননা প্রদান, অনলাইনে নিবন্ধনের সুবিধাসহ নানা রকম উদ্যোগ নিয়েছে।

প্রাতিষ্ঠানিক ক্রয়ে চুক্তি আবশ্যিক করা হচ্ছে

জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্র প্রতিবছর বেশ বড় অঙ্কের সৃজনশীল বই কিনে থাকে। চলতি বছরও গ্রন্থকেন্দ্র চার কোটি টাকার বই কিনেছে। গ্রন্থকেন্দ্রের পরিচালক মিনার মনসুর জানান, এবার তাঁরা যত টাকার বই কিনেছেন, তা থেকে লেখকরও অন্তত ৭৫ লাখ টাকা সম্মানী পাওয়ার কথা। কিন্তু বাস্তবে লেখকেরা এই সম্মানী পেয়েছেন বলে তাঁর মনে হয় না।

লেখকদের সম্মানী না পাওয়ার পেছনে বাংলাবাজারকেন্দ্রিক প্রকাশকদের একটি সংঘবদ্ধ চক্রের ভূমিকা রয়েছে বলে মনে করেন মিনার মনসুর। তিনি বলেন, অল্প কয়েকজন ছাড়া বেশির ভাগ প্রকাশকই লেখকের প্রাপ্য সম্মানী দেন না। হাতে গোনা কয়েকটি প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান লেখকদের সঙ্গে চুক্তি করে বা মোটামুটি একটা সম্মানী দিয়ে থাকে। অপর দিকে লেখকদের অবস্থান খুব দুর্বল এবং তাঁরা নিষ্ক্রিয়। ফলে অনেকে কিছুই পান না।

বাংলা একাডেমি লেখকের সঙ্গে লিখিত চুক্তি না করে কোনো বই প্রকাশ করছে না বলে জানান একাডেমির মহাপরিচালক হাবীবুল্লাহ সিরাজী। তিনি বলেন, চুক্তির পাশাপাশি লেখকদের তাঁদের বইয়ের মেধাস্বত্ব নিবন্ধন করতেও উৎসাহিত করা হচ্ছে। অমর একুশে গ্রন্থমেলায় অংশগ্রহণের প্রয়োজনীয় শর্তের মধ্যে প্রকাশকদের নতুন বইয়ের তালিকা দিতে হয়। এই বইগুলোর লেখকদের সঙ্গে চুক্তিপত্র দেওয়ারও নিয়ম রাখা হয়েছে। একই সঙ্গে লেখক সম্মানী দেওয়ার প্রমাণপত্রও দিতে হবে।

তবে এখানেও এসব শর্ত বেশ ঢিলেঢালা। তা ছাড়া মেলা উপলক্ষে যত বই প্রকাশিত হয়, তার প্রায় অর্ধেকই লেখকেরা ব্যক্তিগত উদ্যোগে প্রকাশ করেন। আর বিভিন্ন প্রকাশকের নাম ব্যবহার করেন।

প্রাতিষ্ঠানিক ক্রয়ের সময় চুক্তিপত্র থাকা বাধ্যতামূলক করা এবং তা শক্তভাবে মেনে চললে লেখক সম্মানীর ক্ষেত্রে অনেক বড় অগ্রগতি ঘটবে বলে মনে করেন কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা। তিনি বাংলাদেশ কপিরাইট বোর্ডের লেখক সদস্য। তাঁর কথা, সম্মানী পাওয়া লেখকের অধিকার। এটা কোনোভাবে ক্ষুণ্ন হওয়া উচিত নয়।

আগ্রহ দ্বিপক্ষীয় হতে হবে

ধীরে হলেও পরিস্থিতি বদলাচ্ছে। প্রকাশকেরাও অনুভব করছেন, ব্যবসা পরিচ্ছন্ন রাখার জন্য উভয় পক্ষের মধ্যে লিখিত চুক্তি থাকা ভালো। তা ছাড়া বিদেশের মেলাগুলোতে অংশ নিতে গেলে বা বই বিপণন করতে গেলে এ ধরনের চুক্তি এবং মেধাস্বত্ব নিবন্ধন থাকা আবশ্যক। তবে আগ্রহটা উভয় পক্ষেরই থাকতে হবে। সৃজনশীল প্রকাশকদের অনেক সীমাবদ্ধতা আছে। এখানে বাজার ছোট। প্রকাশকদের মধ্যে যথেষ্ট পেশাদারত্ব গড়ে ওঠেনি। বাংলাবাজারে অনেক প্রকাশক নিজেই স্টলে বসে বই বেচাকেনা করেন। প্রশাসনিক কাজগুলো করার মতো ব্যবস্থাপনা তাঁদের নেই। এ ধরনের প্রকাশকই ৯০ শতাংশ। ফলে তাঁরা চুক্তি করা, মেধাস্বত্ব নিবন্ধন করা—এসব ঝামেলার কাজ মনে করে যথাসম্ভব এড়িয়ে চলার চেষ্টা করেন।

বাংলাদেশ জ্ঞান ও সৃজনশীল প্রকাশক সমিতির সভাপতি এবং সময় প্রকাশনের প্রকাশক ফরিদ আহমেদ এসব সমস্যার কথা উল্লেখ করে বলেন, প্রকাশকদের ওপর এখন নানা দিক থেকে চুক্তির জন্য চাপ আসছে। তবে লেখকদেরই এগিয়ে আসতে হবে। লেখক যদি বিনা চুক্তিতে পাণ্ডুলিপি দিতে না চান, তবে প্রকাশক জোর করতে পারেন না। এ ক্ষেত্রে লেখকের গুরুত্বই বেশি। তবে সম্মানী দেওয়ার পুরো বিষয় নির্ভর করে মূলত নৈতিকতার ওপর। সেই জায়গা থেকেই সব পক্ষ মিলে একটা সিদ্ধান্তে আসতে হবে। এটা কেবল লেখকদের একার বিষয় নয়, সামগ্রিকভাবে প্রকাশনাশিল্প এবং দেশের মেধা, মনন ও সৃজনশীলতার বিকাশের ক্ষেত্রেও জরুরি।