চুয়াডাঙ্গায় করোনার উপসর্গ নিয়ে ব্যবসায়ীসহ তিনজনের মৃত্যু

চুয়াডাঙ্গায় কোভিড–১৯ রোগের উপসর্গ নিয়ে এক ব্যবসায়ীসহ আরও তিনজন মারা গেছেন। গত ৩৬ ঘণ্টায় সদর হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁরা মারা যান। হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) শামীম কবির আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, গতকাল বুধবার রাত তিনটার দিকে করোনা ওয়ার্ডের ইয়েলো জোনে চিকিৎসাধীন আলমডাঙ্গা পৌর এলাকার কলেজপাড়ার বাসিন্দা এক কাপড় ব্যবসায়ী (৭৫) মারা যান। গতকাল ভোররাতে একই জোনে চিকিৎসাধীন চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার ফার্মপাড়ার বাসিন্দা এক ব্যক্তি (৬৫) এবং গত মঙ্গলবার বেলা তিনটায় আলমডাঙ্গা পৌর এলাকার রথতলার এক হিন্দু ব্যক্তি (৬৫) মারা যান।

আলমডাঙ্গা পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর জহুরুল ইসলাম বলেন, মৃত কাপড় ব্যবসায়ী প্রায় এক সপ্তাহ ধরে জ্বর, সর্দি–কাশি ও শাসকষ্টে ভুগছিলেন। গতকাল সকালে তাঁকে কুষ্টিয়ার ২৫০ শয্যার সদর হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নেওয়া হয়। ওই দিনই সেখানে চিকিৎসা শেষে তাঁকে বাড়িতে ফিরিয়ে আনা হয়। অবস্থা গুরুতর হলে রাতেই তাঁকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়।

আরএমও শামীম কবির প্রথম আলোকে জানান, গতকাল রাত দেড়টার দিকে ওই কাপড় ব্যবসায়ীকে হাসপাতালে আনা হয়। তাঁকে হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডের ইয়েলো জোনে রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছিল। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত তিনটার দিকে তিনি মারা যান।

আরএমও শামীম কবির বলেন, এর আগে মঙ্গলবার বিকেলে ও গতকাল ভোরে আরও দুজন করোনার উপসর্গ নিয়ে ইয়েলো জোনে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। গত ৩৬ ঘণ্টায় করোনার উপসর্গ নিয়ে মারা যাওয়া ৩ জনেরই নমুনা সংগ্রহ করে কুষ্টিয়ার পিসিআর ল্যাবে পাঠানো হয়েছে। তবে আজ বিকেল পর্যন্ত তাঁদের নমুনা পরীক্ষার প্রতিবেদন পাওয়া যায়নি। কোভিডের প্রটোকল মেনেই তাঁদের দাফন ও সৎকার করা হয়েছে।