ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির শূন্য পদে যাঁরা এলেন

ছাত্রলীগের লোগো

নানা অভিযোগে ৩২ নেতা-নেত্রীকে কেন্দ্রীয় কমিটি থেকে বাদ দেওয়ার এক বছরের বেশি সময় পর পূরণ হলো ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির শূন্য পদ। গতকাল রোববার রাতে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে শূন্য পদে ৬৮ জনকে পদায়নের কথা জানিয়েছে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ।

ছাত্রলীগের আংশিক কমিটি প্রকাশের প্রায় ১০ মাস পর ২০১৯ সালের ১৩ মে সংগঠনটির ৩০১ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয়। এই কমিটি ঘোষণা করেন সংগঠনের তৎকালীন সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী। কমিটিতে পদবঞ্চিত ও প্রত্যাশিত পদ না পাওয়া বিক্ষুব্ধ নেতা-কর্মীরা সেদিন সন্ধ্যায় মধুর ক্যানটিনে সংবাদ সম্মেলন করতে গেলে রেজওয়ানুল ও রাব্বানীর অনুসারীরা তাঁদের ওপর হামলা চালান। এতে সংগঠনের কয়েকজন নারী নেতাসহ ১০-১২ জন আহত হন। এরপর বিতর্কিতদের বাদ দেওয়াসহ চার দফা দাবিতে কয়েক দফায় অবস্থান কর্মসূচি ও অনশন করেন পদবঞ্চিতরা।

নৈতিক স্খলন, উন্নয়ন প্রকল্প থেকে চাঁদা দাবিসহ নানা অভিযোগে একই বছরের সেপ্টেম্বরে রেজওয়ানুল ও রাব্বানীকে পদচ্যুত করা হয়। তাঁদের পর ছাত্রলীগের দায়িত্ব পান আল নাহিয়ান খান ও লেখক ভট্টাচার্য। একই বছরের ২১ ডিসেম্বর ৩২ নেতা-নেত্রীকে কেন্দ্রীয় কমিটি থেকে বাদ দেন আল নাহিয়ান ও লেখক। ওই ৩২ জনের মধ্যে ২১ জনের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছিল। আর ১১ জন পদ থেকে অব্যাহতি নিতে নিজেরাই আবেদন করেছিলেন। এর এক বছর এক মাসের বেশি সময় পর গতকাল কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সেই ৩২ পদসহ শূন্য হওয়া মোট ৬৮টি পদ পূরণ করা হলো।

পদ পেলেন যাঁরা

কমিটিতে ২৫টি সহসভাপতি পদ শূন্য হয়েছিল। এসব পদে মনোনীত হয়েছেন সাইফ উদ্দিন, সাগর হোসেন, রায়হান কাওসার, রাকিব হোসেন, রানা হামিদ, আনন্দ সাহা, শেখ সাগর আহমেদ, শুভ্রদেব হালদার, দেবাশীষ সিকদার, আরিফ ইবনে আলী, আরিফ হোসেন, জিয়াসমিন শান্তা, তিলোত্তমা শিকদার, শাহারিয়ার সিদ্দিকী, ফরিদা পারভীন, উৎপল বিশ্বাস, মো. ওমর ফারুক, মিজানুর রহমান, মুরাদ হায়দার, ইফতেখার আহমেদ চৌধুরী, রাকিবুল হাসান, খাদিজাতুল কুবরা, মহিন উদ্দিন, রকিবুল ইসলাম ও জেসমিন আরা।

যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকের একটি পদ শূন্য ছিল। এতে মনোনীত হয়েছেন আবদুল জব্বার।

দপ্তর সম্পাদক হয়েছেন ইন্দ্রনীল দেব শর্মা, সাংস্কৃতিক সম্পাদক হয়েছেন মেহেদি হাসান, পাঠাগারবিষয়ক সম্পাদক সৈয়দ ইমাম বাকের, তথ্য ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক খন্দকার জামিউস সানি, ধর্মবিষয়ক সম্পাদক তুহিন রেজা, স্বাস্থ্য ও চিকিৎসাসেবা–বিষয়ক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়বিষয়ক সম্পাদক আল-আমিন রহমান।

কমিটিতে উপপ্রচার সম্পাদক হয়েছেন ফেরদৌস আল মাহমুদ, উপদপ্তর সম্পাদক হয়েছেন সজীব নাথ ও মিরাজুল ইসলাম খান, গ্রন্থনা ও প্রকাশনাবিষয়ক উপসম্পাদক হয়েছেন তন্ময় দেবনাথ ও আমান উল্লাহ আমান, সংস্কৃতিবিষয়ক সম্পাদক হয়েছেন মোরশেদুর রহমান আকন্দ, শেখ নাজমুল, মাইনুল হাওলাদার ও ইসমাইল হোসেন।

সমাজসেবাবিষয়ক উপসম্পাদক হয়েছেন তানভীর হাসান, আন্তর্জাতিকবিষয়ক উপসম্পাদক হয়েছেন সামাদ আজাদ জুলফিকার, পাঠাগারবিষয়ক উপসম্পাদক এম আর মুকুল ও আনোয়ার হোসেন, তথ্য ও গবেষণাবিষয়ক সম্পাদক পদে আবদুর রশিদ, অর্থবিষয়ক উপসম্পাদক আতিকুল ইসলাম, আইনবিষয়ক উপসম্পাদক শাহেদ খান, তথ্য ও প্রযুক্তিবিষয়ক উপসম্পাদক এহসান পিয়াল, গণশিক্ষাবিষয়ক উপসম্পাদক ওয়াহিদ খান, স্বাস্থ্য ও চিকিৎসাসেবা–বিষয়ক উপসম্পাদক রাজেষ বৈশ্য, জেরিন সিকদার, সাধন বিশ্বাস ও রিজভান আহমেদ। ছাত্র বৃত্তিবিষয়ক উপসম্পাদক হয়েছেন মাহফুজুর রহমান, কর্মসংস্থানবিষয়ক উপসম্পাদক হয়েছেন শাজাহান ভূঁইয়া।

এ ছাড়া সহসম্পাদক মনোনীত হয়েছেন ফারুকুল ইসলাম, ফাইজুল ইসলাম, শেখ রিজওয়ান আলী, আয়শা আক্তার, এম সাইফুল ইসলাম, এইচ এম রামান মাহমুদ, রুবেল শিকদার, মীর সাব্বির ও জাহিদুল ইসলাম। কমিটিতে সদস্য হয়েছেন সাজিদ আহমেদ ও আলী হোসেন।