ছাত্রীর বাল্যবিবাহ ঠেকাল প্রশাসন

নেত্রকোনার কলমাকান্দা উপজেলায় সপ্তম শ্রেণিপড়ুয়া এক মাদ্রাসাছাত্রীর (১৪) বাল্যবিবাহ স্থানীয় প্রশাসন ও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের হস্তক্ষেপে বন্ধ হয়েছে। আজ মঙ্গলবার বিকেলে মেয়েটির বিয়ে হওয়ার কথা ছিল।

স্থানীয় বাসিন্দা ও উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, কলমাকান্দা উপজেলার ওই মেয়েটি একটি দাখিল মাদ্রাসার সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী। আজ মঙ্গলবার বিকেলে তার বিয়ে হওয়ার কথা ছিল। বর ছিলেন বিশ্বনাথপুরের এক যুবক (২৮)। খবর পেয়ে জেলা প্রশাসনের বাস্তবায়নে ইউনিসেফের সিফরডি প্রকল্পের ইউনিয়ন সমন্বয়কারী নারগিস আক্তার গতকাল সোমবার বিকেলে মেয়েটির বাড়িতে যান এবং ছাত্রীটির বাবা-মাকে প্রাপ্তবয়স্ক না হওয়া পর্যন্ত মেয়ের বিয়ে না দিতে অনুরোধ করেন। কিন্তু মেয়েটির পরিবার বিয়ে বন্ধ করতে রাজি হয়নি।

এরপর বিষয়টি উপজেলার ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আশরাফুল সিদ্দিক ও খারনৈ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ওবায়দুল হককে জানানো হয়। পরে ইউএনওর নির্দেশে আজ মঙ্গলবার দুপুরে ইউপি চেয়ারম্যান ওবায়দুল হক মেয়ে ও ছেলের পরিবারকে ডেকে মুচলেকা নিয়ে বিয়ে বন্ধ করেন।

চেয়ারম্যান ওবায়দুল হক মোবাইল ফোনে প্রথম আলোকে বলেন, ‘মেয়েটির পরিবার জানিয়েছে, গরিব হওয়ার কারণে লেখাপড়ার খরচ চালাতে পারছে না। আর বাল্যবিবাহ সম্পর্কেও তাঁদের তেমন ধারণা নেই। তাই এই বিয়ের আয়োজন করেছিল। আমি মেয়েটির লেখাপড়া চালানোর খরচের দায়িত্ব নিয়েছি।’

এ নিয়ে গত ছয় দিনে প্রশাসনের হস্তক্ষেপে জেলার কলমাকান্দা, কেন্দুয়া, খালিয়াজুরি, বারহাট্টা ও সদর উপজেলায় ছয়টি বাল্যবিবাহ বন্ধ হয়েছে। এর মধ্যে সদর উপজেলার দশম শ্রেণির এক ছাত্রী নিজেই তার বিয়ে বন্ধের জন্য স্কুলের এক শিক্ষিকা ও জেলা প্রশাসকের সাহায্য নিয়েছিল।