ছাদে স্থাপিত সবচেয়ে বড় সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্প উদ্বোধন

কারখানা ভবনের ছাদে বসানো সোলার প্যানেল থেকে আসবে ১৬ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ।
ছবি: প্রথম আলো

চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলায় দেশের প্রথম বেসরকারি রপ্তানি প্রক্রিয়াজাতকরণ অঞ্চল কোরিয়ান ইপিজেডের কারখানা ভবনের ছাদে সোলার প্যানেল বসানো হয়েছে। কারখানা ভবনের ছাদে বসানো সোলার প্যানেল থেকে আসবে ১৬ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ।

এটি ছাদে স্থাপিত দেশের সবচেয়ে বড় সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্প বলে জানিয়েছেন প্রকল্পের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।

আজ রোববার কোরিয়ান ইপিজেডের এই প্রকল্প উদ্বোধন করা হয়। উদ্বোধনের পর প্রকল্প থেকে সৌরবিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু হয়েছে। এই সৌরবিদ্যুৎ ব্যবহার হবে হবে কেইপিজেডের কারখানায়।

অনুষ্ঠানে কোরিয়ান ইপিজেডের চেয়ারম্যান ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কিহাক সাং বলেন, কোরিয়ান ইপিজেডকে পরিবেশবান্ধব হিসেবে গড়ে তোলা হচ্ছে। এরই অংশ হিসেবে ১৬ মেগাওয়াট সবুজ বিদ্যুৎ প্রকল্প চালু হয়েছে। এটি ৪০ মেগাওয়াটে উন্নীত করা হবে।

অনলাইনে যুক্ত হয়ে অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ২০৪১ সালের মধ্যে মোট বিদ্যুতের ৪০ শতাংশ আসবে নবায়নযোগ্য জ্বালানি থেকে। এ জন্য সরকার নবায়নযোগ্য জ্বালানি থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনে সবাইকে উৎসাহ দিচ্ছে। কেইপিজেড ১৬ মেগাওয়াট সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্প চালু করে সাহসী উদ্যোগ নিয়েছে। এই প্রকল্প দেশের সব কারখানার ছাদে সৌরশক্তির ব্যবহার উৎসাহিত করবে।

অনুষ্ঠানে দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত লি জ্যাং কেয়ান বলেন, সৌরবিদ্যুৎ পরিবেশবান্ধব। কোরিয়ান ইপিজেডের এই প্রকল্প শুধু অর্থ সাশ্রয় করে না, ব্যবসার খরচও কমায়। ইয়াংওয়ান প্রবৃদ্ধির সঙ্গে বাংলাদেশ ও কোরিয়ার দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কেরও উন্নতি হচ্ছে।

অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন কোরিয়ান ইপিজেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. শাহজাহান। কোরিয়ান ইপিজেডের এই অনুষ্ঠানে অতিথিরা অনলাইনেও যুক্ত ছিলেন।
বাংলাদেশ ও দক্ষিণ কোরিয়ার সরকারের মধ্যে চুক্তি অনুযায়ী দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিষ্ঠান ইয়াংওয়ান এই ইপিজেড স্থাপনের অনুমোদন পায়।

১৯৯৯ সালে চট্টগ্রামের আনোয়ারায় কেইপিজেডের জন্য জমি বরাদ্দ করা হয়। বরাদ্দ জমির পরিমাণ ২ হাজার ৪৯২ একর। ইয়াংওয়ান করপোরেশনের পোশাক, জুতাসহ ২৮টি কারখানায় ২৬ হাজার লোকের কর্মসংস্থান হয়েছে।