ছেলে কি তাঁকে বাবা ডাকার সুযোগ পাবে

আবদুল কাইয়ুম

বাবা আবদুল কাইয়ুম। ছেলে শেখ শাদী। ছেলের বয়স ছয় মাস, বাবার ৩৬। শাদীর মুখে এখনো বাবা ডাকা শোনা হয়নি আবদুল কাইয়ুমের। তাঁর এখন একটাই কষ্ট, ছেলে কি তাঁকে বাবা ডাকার সুযোগ পাবে!

কারণ কাইয়ুম যে মরণব্যাধি ক্যানসারে আক্রান্ত। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, ক্যানসারের সঙ্গে যুদ্ধ করা কাইয়ুমকে বাঁচাতে হলে তাঁর বোনম্যারো ট্রান্সপ্ল্যান্ট করতে হবে।

কাইয়ুম এখন ঢাকার মহাখালীতে জাতীয় ক্যানসার গবেষণা ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন। কেমোথেরাপি দেওয়ার জন্যই সেখানে ভর্তি করা হয়েছে। সেখানকার হেমাটোলজি বিভাগের চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, তাঁর বোনম্যারো ট্রান্সপ্ল্যান্ট করাতে প্রায় ৪০ লাখ টাকা প্রয়োজন। প্রাথমিকভাবে কেমোথেরাপি দিতে অন্তত পাঁচ লাখ টাকা লাগবে। কেমোথেরাপি দেওয়ার সামর্থ্যও তাঁর পরিবারের নেই।

কাইয়ুমের বাড়ি ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলার বহুলী গ্রামে। বাবার নাম সিদ্দিকুর রহমান (৭০)। বাবা একসময় কাপড়ের ব্যবসা করতেন। এখন বয়স হওয়ায় কাজ করতে পারেন না। ভিটেবাড়ি ছাড়া জমিজমা বলতে কিছু নেই তাঁদের। যা ছিল, কাইয়ুমের চিকিৎসায় বিক্রি করতে হয়েছে। কাইয়ুমের চিকিৎসা করাতে গিয়ে তাঁর পরিবার অনেক ঋণ করেছে। সেসব ঋণও শোধ করতে হয়।

কাইয়ুমের ব্লাড ক্যানসার ধরা পড়ে ২০১৮ সালে। প্রথমদিকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নেন। প্রতি মাসে তাঁকে ১০ ব্যাগ করে রক্ত দিতে হচ্ছে। এখন আবার দিতে হবে কেমোথেরাপি।

ইতিমধ্যে রাজধানী ঢাকায় বেশ কয়েকটি হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন আবদুল কাইয়ুম। সর্বশেষ এখন মহাখালীর জাতীয় ক্যানসার গবেষণা ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে। এখানকার হেমাটোলজি বিভাগ থেকে কাইয়ুমের বোনম্যারো ট্রান্সপ্ল্যান্টের কথা জানানো হয়।

কাইয়ুমের বড় ভাই ফরহাদ হোসেন বলেন, ‘এখন পর্যন্ত কাইয়ুমের চিকিৎসায় ১৫ লাখ টাকা ব্যয় হয়েছে। ধারদেনা করে এত দিন ধরে চিকিৎসা করিয়েছি। এখনো ঋণ আছে প্রায় পাঁচ লাখ টাকা। আমাদের পরিবার এখন নিঃস্ব। আমরা আর ব্যয় বহন করতে পারছি না। এ অবস্থায় আমার ছোট ভাইকে বাঁচাতে সবার সহযোগিতা কামনা করছি।’

অসুস্থতা ও পরিবারের কথা জানাতে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন কাইয়ুম। তিনি বলেন, ‘আমার ছেলের জন্য হলেও বাঁচতে চাই। সবার কাছে সহযোগিতা কামনা করছি। সবাই এগিয়ে এলে আমার চিকিৎসা সম্ভব। একমাত্র সন্তানকে নিয়ে আমি বাঁচতে পারব।’

কাইয়ুমকে অর্থসহায়তা পাঠাতে পারেন—
বিকাশ ও নগদ নম্বর: ০১৬২৫ ৯১১২২০ (ব্যক্তিগত)
রকেট নম্বর: ০১৯২০ ৫৬৯১৭২-২ (ব্যক্তিগত)

ব্যাংক হিসাব নম্বর
ফরহাদ হোসেন (বড় ভাই)
হিসাব নম্বর: ০২০০০০২৫৯৮০৩৩
অগ্রণী ব্যাংক, ছোট বাজার শাখা, ময়মনসিংহ।