ছেলেমেয়েদের ফ্ল্যাটে কেন জায়গা হলো না, তা বুঝতে পারেন না মুজিবুল হক

৮২ বছর বয়সী শেখ মুজিবুল হক জানেন না ঈদের দিন তাঁর ছেলে–মেয়ে কেউ তাঁকে দেখতে আসবেন কি নাছবি–মানসুরা হোসাইন

‘ছেলে আমার মস্ত মানুষ, মস্ত অফিসার, মস্ত ফ্ল্যাটে যায় না দেখা এপার-ওপার, ...নানান রকম জিনিস আর আসবাব দামীদামি, সবচেয়ে কমদামি ছিলাম একমাত্র আমি, ছেলের আমার প্রতি অগাধ সম্ভ্রম, আমার ঠিকানা তাই বৃদ্ধাশ্রম’-কণ্ঠশিল্পী নচিকেতা চক্রবর্তীর ‘বৃদ্ধাশ্রম’ শিরোনামের এই গানের সঙ্গে অনেকেই পরিচিত আছেন। এই গানে যে মর্মবেদনা ফুটে উঠেছে, তা শ্রোতাদের হৃদয়কে সিক্ত করে। তবে সমাজে কারও কারও জীবনে এ রকম পরিণতি ঘটছে। তাঁদের একজন ৮২ বছর বয়সী শেখ মুজিবুল হক। তিনি এখন রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ প্রবীণ হিতৈষী সংঘ ও জরাবিজ্ঞান প্রতিষ্ঠানের প্রবীণ নিবাসের বাসিন্দা।

ঈদ সামনে রেখে গত রোববার এই নিবাসে গিয়ে কথা হয় কয়েকজন প্রবীণ নাগরিকের সঙ্গে। কেমন কাটছে তাদের দিন, ঈদের দিন তারা কীভাবে কাটান, আর প্রত্যাশাই বা কী– সে সব জানতে চাওয়া হয়। তাঁদেরই একজন মুজিবুল হক বললেন, ছেলেমেয়েরা বড় চাকরি করে, তাঁদের টাকার অভাব নেই। ৯১ লাখ টাকা দিয়ে ছেলেমেয়েদের জন্য ফ্ল্যাট করে দিয়েছেন। তবে তিনি জানেন না কেন ছেলেমেয়েদের ফ্ল্যাটে তাঁর জায়গা হলো না।

নিবাসের সংশ্লিষ্টরা জানালেন, মুজিবুল হকের মাসিক খরচ প্রায়ই বাকি থেকে যাচ্ছে, ছেলে বা মেয়ে কেউ এ খরচের দায়িত্ব নিতে চান না বলে নিবাসের কর্তৃপক্ষকে বিপাকে পড়তে হচ্ছে। তাঁর ছেলেকে বারবার বিষয়টি জানানো হলেও কোনো সুরাহা হচ্ছে না।

মুজিবুল হক জানান, তিনি নিবাসে আছেন প্রায় ২৭ বছর ধরে। ১৯৭৩ সালে চারুকলা থেকে জাপানে স্কলারশিপ পেয়েছিলেন, যাননি। তাঁর ঘরে বড় বড় ক্যানভাসে নিজের আঁকা ছবি ঝুলছে। অনেকগুলো সাদা ক্যানভাস, পলিথিন দিয়ে মুড়িয়ে রেখেছেন।

মুজিবুল হক একজন শিল্পী। তবে ছবি আঁকেন না দীর্ঘদিন। তাঁর মতে, ছবি আঁকতে তো ‘মুড’ লাগে
ছবি: প্রথম আলো

তিনি রঙের টিউব থেকে রং নিয়ে আঙুলের ডগা দিয়ে ছবি আঁকেন। জানালেন, বুড়ো হয়ে গেছেন, তাই এখন আর তেমন ছবি আঁকেন না। আর ছবি আঁকতে তো মুড লাগে। স্মৃতিসৌধ, জাতীয় পতাকার বড় একটি ছবি দেখিয়ে জানালেন, কখনও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা হলে তিনি ছবিটি তাঁকে উপহার দেবেন।

আগে ঈদের দিন বাড়িতে নিজেই অনেক রান্না করতেন বলে জানালেন মুজিবুল হক। নিবাসে ঈদের দিন তেমন কোনো আনন্দ হয় না উল্লেখ করে তিনি বলেন,‘একটা জায়গা দরকার থাকার জন্য, আরামের জন্য, তাই এখানে এসেছি। ঈদের দিন কেউ আসে না। ঈদের পরদিন কেউ কেউ আসে।’ আলাপ শেষে নিজেই নিজের সুর ও কথা এলোমেলো করে গাইলেন-‘একবার যদি কেউ ভালোবাসত, আর কাছে ডাকত, আর ভালোবাসত...’। দুই লাইন গাওয়ার পরই প্রতিবেদকের কাছে জানতে চাইলেন, ‘কয়টা বাজে, দুপুরের খাওয়ার সময় হয়েছে? হয়ে থাকলে পাইনি কেন?’

পাশ থেকে প্রবীণ নিবাসের ব্যবস্থাপক মহসীন কবির জানালেন, তিনি এখন অনেক কিছুই মনে রাখতে পারেন না। দুপুরে মাছ-ভাত খেয়েছেন, তা ভুলে গেছেন, তাই রাগারাগি করছেন। কথা শেষ করে চলে আসার সময় মুজিবুল হক আবার বললেন, ‘আজ একজন পোলাও খাওয়াচ্ছে, কিন্তু এখনো পোলাও পেলাম না।’ তাঁকে কোনোভাবেই বোঝানো যাচ্ছিল না যে ইফতারের সময় তিনি পোলাও খেতে পারবেন।

এ বিষয়ে মহসীন কবির বললেন, মুজিবুল হককে ইফতারের আগে পোলাও দেওয়া হয়নি বলে খেপে আছেন। এই ইফতারি যিনি পাঠিয়েছেন তাঁর উপস্থিতিতেই খাবার দেওয়া হবে ইফতারের সময়।

মুজিবুল হকের মতো প্রবীণ নিবাসের ৮৬ বছর বয়সী রাশিদা জামান এবং ৬৫ বছর বয়সী সীমা জামানও জানালেন তাদের আনন্দবেদনার কথা। তাঁরা আপনজনদের থেকে দূরে এই নিবাসে আলাদা একটি সংসার গড়েছেন। সেখানে তাঁরা স্বাধীন। তবে মুজিবুল হকের মতো অনেকের ছেলেমেয়ে মাস শেষ হলে টাকা পাঠাবেনই, তার কোনো নিশ্চয়তা নেই।

নিবাসটিতে ৫০ জনের থাকার ব্যবস্থা আছে। থাকছেন ২৯ জন। কেউ থাকতে চাইলে তাঁর বয়স ৬০ বছর হতে হয়। একচিলতে বারান্দাসহ এক রুমের ভাড়া ছয় হাজার টাকা আর খাওয়া বাবদ লাগে তিন থেকে সাড়ে তিন হাজার টাকা। কেউ কেউ কাজের জন্য আয়া বা গৃহকর্মী রাখেন। অসুস্থ হলে নিবাসের ভেতরেই হাসপাতালে চিকিৎসার ব্যবস্থা আছে। এখানে থাকা বেশির ভাগ নিবাসীর এখন আর ঈদের আলাদা কোনো আনন্দ বা ব্যস্ততা নেই। তাঁরা দিনটির কথা মনেও করতে চান না।

এই প্রবীণদের মনে অভিমান জমেছে। কথা বলার সময় চোখ ছলছল করে। তবে তাঁরা আবেগকে গিলে ফেলার পদ্ধতি শিখে গেছেন। তাঁরা নিবাসেই বেশ ভালো আছেন, তা–ও দৃঢ় গলায় বলতে চান। পরক্ষণেই নিবাসের কর্তৃপক্ষকে গালমন্দ করতেও ছাড়েন না।

নিবাসের ঈদ অথবা ফেলে আসা দিনের ঈদ—এ প্রসঙ্গে প্রবীণদের অনেকেই কথা বলতে চান না। কেউ কেউ জানালেন, ঈদের দিন ছেলেমেয়ে বা কোনো স্বজন আসবেন কি না, তা তাঁরা নিশ্চিত নন। দ্বিধা নিয়ে বলেন, আসতেও পারেন, না–ও আসতে পারেন। কেউ কেউ জানালেন, ঈদের পরদিন হয়তো কেউ তাঁদের দেখতে আসবেন।

তবে ব্যতিক্রমও আছে। যেমন সীমা জামানের চোখেমুখে খুশির ঝিলিক, মেয়েরা তিনটি জামা পাঠিয়েছেন, ভিডিও কলে মেয়ে আরেকটি জামা দেখিয়েছেন, এ ছাড়া দরজির কাছ থেকেও আনার বাকি আছে। সকালে এক মেয়ে আর বিকেলে এক মেয়ের বাসায় তাঁর ঈদ কাটবে। স্বামী মারা গেছেন, মেয়েরা যৌথ পরিবারে থাকেন, তাই সীমা জামান মেয়েদের বিরক্ত করতে চাননি। তাই স্বাধীনভাবে চলার জন্য থাকছেন নিবাসে।

বৃদ্ধা নিবাসে সীমা জামানের অবসর কাটে ফেসবুকে দুই মেয়ে, নাতি-নাতনি ও অন্য স্বজনদের ছবি দেখে ও ভিডিও কলে কথা বলে
ছবি: প্রথম আলো

ফেসবুকে মেয়ে, নাতি–নাতনিদের ছবি দেখালেন। জানালেন, তিনি ১৯৭৩ সালে নাচ শিখেছেন। বাংলাদেশ টেলিভিশনে নাচের অনুষ্ঠানে অংশ নিতেন। সীমা জামানের ঘরের দেয়ালে ঝুলছে বিয়ের সাদাকালো ছবি, স্বামীর ছবি, স্বামীর সঙ্গে বেড়াতে গিয়ে তোলা ছবি। বললেন, নিবাসে তিনি নিজের মতো করে সংসারটি গুছিয়ে নিয়েছেন এবং তিনি ভালো আছেন।

গণপূর্ত বিভাগে কাজ করেছেন মো. আবু তৈয়ব। বললেন, প্রতিটি সংসারে কোনো না কোনো সমস্যা থাকেই। এ ধরনের কোনো সমস্যার কারণেই তিনি নিবাসে আছেন। ঈদের দিন ছেলেমেয়েরা কেউ আসবেন না, এ কথা বলেই বললেন, ‘এখন নিজের চিন্তা নিজেই করি। আর ছেলেমেয়েদের সংসারেও তো অনেক কাজ থাকে, তাই তারা ঈদের দিন আসতে পারে না।’

প্রবীণ নিবাসের ব্যবস্থাপক মহসীন কবির প্রথম আলোকে বললেন, নিবাসে থাকা প্রবীণদের কেউ কেউ নিবাসেই মারা যান। কেউ কেউ আছেন ১০ বা ২০ বছরের বেশি সময় ধরে। কেউ কেউ নতুন এসেছেন। এই প্রবীণেরা একা থাকতে পছন্দ করেন বা একা থাকতে হয়। ঈদের দিন সচরাচর কোনো স্বজন বা ছেলেমেয়ে এসেছেন, তেমন নজির কম। ঈদের পরদিন কেউ কেউ নিবাসে থাকা মানুষটিকে দেখতে আসেন। তাই নিবাসে থাকা প্রবীণদের ঈদ বা অন্য দিনের মধ্যে আসলে তেমন কোনো তফাত থাকে না। তাঁরা নিজেরাই সেজেগুজে ঈদ উদ্‌যাপন করেন। প্রবীণ নিবাস কর্তৃপক্ষের পক্ষে সেমাইসহ বিশেষ খাবারের ব্যবস্থা করা হয়। নিবাসের ঊর্ধ্বতন কর্মীরা দুপুরে প্রবীণদের সঙ্গে খাবার খান। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করতে আসেন। ঈদের আগেই অনেক প্রতিষ্ঠান প্রবীণদের জন্য কাপড় পাঠায়। ইফতারি পাঠায়। এভাবেই কেটে যায় তাঁদের ঈদ।

জীবনের নানান গল্প

শিক্ষাবিদ রাশিদা জামান নিবাসে আছেন প্রায় ১০ বছর ধরে। তিনি কবি, সাহিত্যিক, ভাষাবিজ্ঞানী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের সাবেক অধ্যাপক মোহাম্মদ মনিরুজ্জামানের স্ত্রী। তবে রাশিদা জামানের মতে, কারও স্ত্রী, কারও মা, নানি, দাদি—এসব পরিচয়ের বাইরেও তাঁর নিজস্ব পরিচয় তিনি একজন মানুষ। আর যেহেতু তিনি প্রবীণ নিবাসে আছেন, তাই এখন তাঁর পরিচয় তিনি একজন প্রবীণ মানুষ।

৮৬ বছর বয়সী রাশিদা জামান জীবনের পড়ন্ত বেলায় প্রবীণ নিবাসের এক চিলতে বারান্দায় নিজের লাগানো গালপালার সামনে দাঁড়িয়ে মগ্ন নিজের ভাবনায়
ছবি: প্রথম আলো

রাশিদা জামান বিছানায় শীতলপাটি বিছিয়ে রেখেছেন। সুখের স্মৃতি ধরে রাখতে ছোট ঘরটিতে ২০১১ সালে পাওয়া শিক্ষক সম্মাননার ক্রেস্ট, একটি ছোট গাছ কোনো এক সময় ফুলপাতায় ভরা ছিল, এখন শুধুই মরা ডাল, তা–ও সাজিয়ে রেখেছেন স্মৃতি হিসেবে। হাতপাখা, কক্সবাজার থেকে কোনো এক কালে কেনা ঝিনুকের মালা, প্রায় ঝাপসা হয়ে যাওয়া ফ্রেমে বন্দী শুকনো বেলি ফুলের মালা দিয়ে জড়িয়ে রাখা মা–বাবার ছবি, স্বামী মোহাম্মদ মনিরুজ্জামানের বিভিন্ন বইসহ বিভিন্ন জিনিসপত্রে ঠাসা। বারান্দাটিকে গাছপালা দিয়ে সাজিয়েছেন। তাঁর ভাষায় এগুলো গাছ নয়, জীবনে বেঁচে থাকার অনুষঙ্গ।

রাশিদা জামান তাঁর ফেলে আসা দিনগুলো নিয়ে কথা বলতে নারাজ। তিনি দেশ, সরকার, দেশের শিক্ষাব্যবস্থা, গণতন্ত্র—এসব নিয়েই কথা বলতে আগ্রহী। দীর্ঘ আলাপের একদম শেষ পর্যায়ে নিজের জীবনের দু–একটি কথা বললেন। জানালেন, ’৬০–এর দশকে কোনো এক বছর ২৫ বৈশাখে ভালোবেসে বিয়ে করেছিলেন মোহাম্মদ মনিরুজ্জামানকে।

রাশিদা জামান ১৯৭৭ সালে সাধু ভাষা থেকে প্রথম চলিত ভাষায় পাঠ্যপুস্তক ‘আমার বই’–এর সম্পাদনা করেছিলেন। বললেন, প্রবীণেরা হলেন জীবনের ধারাবাহিকতার শেষ স্তর। জীবনের প্রতিটি ধাপকে গুরুত্ব দিতে হবে।

সমাজসেবা অধিদপ্তরের উপপরিচালক সালেহা খানম। তিনি নিবাসে এসেছেন খুব বেশি দিন হয়নি। ছবি তুলতে চাইলে এখন দাঁত পড়ে গেছে বলে নিজেই লাজুক হাসি দিলেন। ঘরোয়া পোশাকে ছবি তুললে তাঁকে ভালো দেখা যাবে কি না, এ সংশয় থাকলেও পরে ছবি তুললেন, এবং সেই ছবি কেমন হয়েছে তা–ও তাঁকে দেখাতে হলো। ফেসবুক থেকে নিজের ফেলে আসা দিনের বেশ কিছু ছবি দেখালেন।

সালেহা খানমের স্বামী মারা গেছেন ১৯৯৫ সালে। নিজেও চাকরি থেকে অবসর নিয়েছেন ২০০৭ সালে। নিজের ছেলেমেয়ে নেই। পরপর চারটি ভাইই মারা গেছেন। তবে দুই বোন আছেন। তাঁরা সারাক্ষণ ফোন দিয়ে অস্থির করে রাখেন। এবার ঈদের দিনটি কীভাবে কাটাবেন, তা এখনো ঠিক করেননি সালেহা খানম। জানালেন, যখন চাকরি করতেন তখন ঈদের দিন তাঁর দায়িত্বে থাকা এতিমখানাগুলোতে চলে যেতেন।

পত্রিকা পড়ে অবসর কাটান সালেহা খানম
ছবি: প্রথম আলো

আত্মীয়স্বজনের সঙ্গে কেটে যেত ঈদের দিন। প্রবীণ নিবাসে আসা প্রসঙ্গে বললেন, ‘প্রবীণ নিবাসে কেউ আসতে বলেনি, আমি নিজেই চলে এসেছি। আমি এখানে স্বাধীনভাবে থাকছি।’ জানালেন, একা, চুপচাপ জীবন তাঁর ভালো লাগে। তাই ঘর আর বারান্দা, নামাজ পড়ে টুকিটাকি কাজ করে কোন দিক দিয়ে সময় চলে যাচ্ছে, তা তিনি টেরই পাচ্ছেন না।

প্রবীণ নিবাসের ব্যবস্থাপক মহসীন কবির বললেন, ঈদের দিন যাঁদের বাবা–মা নেই, তাঁরা এখানে এসে এই প্রবীণদের সঙ্গে সময় কাটাতে পারেন। অনেক ছেলেমেয়ে নিজেরাই বাবা–মাকে নিবাসে রেখে যাচ্ছেন, তারপর অনেকে খরচটুকুও দিতে চাচ্ছেন না। আবার অনেক প্রবীণ নিরাপত্তাসহ বিভিন্ন কারণে স্বেচ্ছায় থাকছেন নিবাসে। সব প্রবীণের আশ্রয় যাতে এ ধরনের নিবাসে না হয়, তাঁরা তাঁদের পরিবারের সদস্যদের কাছেই যাতে ভালো থাকবেন, এটাই চাওয়া।

অনেকের এই বছরই বাবা–মায়ের সঙ্গে শেষ ঈদ হতে পারে, তাই ঈদের দিনটি যাতে তাঁদের ভালো কাটে, তার দিকে বিশেষ নজর দেওয়ার আহ্বান জানালেন মহসীন কবির।