ছয় নদ-নদীর বাড়তি তথ্য-উপাত্ত চাইবে বাংলাদেশ

তিস্তার পানি বণ্টন চুক্তি সইয়ের বিষয়টি এক দশক ধরে ঝুলে গেছে। অভিন্ন নদ-নদীর চুক্তিটি কবে হবে, সেটাও একরকম অনিশ্চিত। এমন এক প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশ ও ভারত অভিন্ন ছয়টি নদ-নদীর পানি বণ্টন চুক্তির জন্য তথ্য-উপাত্ত বিনিময় করেছে।

তবে উজানে পানি প্রত্যাহারসহ ওই নদ-নদীগুলো সম্পর্কে বাড়তি তথ্য চায় বাংলাদেশ।

দুই দেশের যৌথ নদী কমিশনের (জেআরসি) শেষ দিনের বৈঠকে আগামীকাল বুধবার বাংলাদেশ ছয় নদ-নদীর বিষয়ে বাড়তি তথ্য চাইবে। এই নদ–নদীগুলো হলো: মুহুরি, খোয়াই, ধরলা, দুধকুমার, মনু ও গোমতী।

আজ মঙ্গলবার থেকে জেআরসির দুই দিনের ভার্চ্যুয়াল আলোচনা শুরু হয়েছে। জেআরসি সূত্রে জানা গেছে, ২০১৯ সালের আগস্টে ঢাকায় পানি সম্পদ সচিবদের বৈঠকে ছয় নদ–নদীর পানি বণ্টন নিয়ে আলোচনা হয়। পরে অন্তর্বর্তীকালীন চুক্তি সইয়ের লক্ষ্যে ওই ছয় নদ–নদীর হালনাগাদ তথ্য-উপাত্ত বিনিময়ও হয়েছে। দুই দেশ ১৯৯৬ সালের জানুয়ারি থেকে ২০১৮ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত ২২ বছরের তথ্য–উপাত্ত বিনিময় করেছে।

জানা গেছে, এখন পর্যন্ত দুই দেশ ছয় নদ–নদীর যেসব তথ্য আদান-প্রদান করেছে, তা মূলত নদ–নদীর পানি যেখানে পরিমাপ করা হয়, সেখানকার তথ্য। কিন্তু পানি বণ্টনের খসড়া চুক্তির জন্য এই তথ্য পর্যাপ্ত নয়। তাই ওই ছয় নদ-নদীর উজানে পানি প্রত্যাহার হয়েছে কি না, কোন অবকাঠামো রয়েছে, সেটা জানা জরুরি। তাই বাংলাদেশ এসব তথ্য চাইবে। ওই তথ্য পাওয়ার পর এখন যেসব তথ্য-উপাত্ত আছে, তার সঙ্গে সমন্বয় করা হবে।

পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, দুই দেশের পক্ষ থেকে ওই ছয় নদ-নদীর বিষয়ে আলাদা আলাদা করে কারিগরি কমিটিও করা হয়েছে।

ওই কমিটি অন্তর্বর্তীকালীন চুক্তির প্রক্রিয়া, নদ-নদীর প্রবাহের জন্য নির্দিষ্ট অনুপাতে পানি রেখে ভাগাভাগির আনুপাতিক কী হতে পারে, সে বিষয়গুলোতে সুপারিশ দেবে।

জেআরসির প্রথম দিনের ভার্চ্যুয়াল আলোচনায় গঙ্গার পানি বণ্টন চুক্তির বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। আলোচনায় বলা হয়েছে, গঙ্গার পানিপ্রবাহের নির্ধারিত হিসাব অনুযায়ী প্রতিবছরের গড় হিসাব অনুযায়ী, বাংলাদেশের যে পরিমাণ পানি পাওয়ার কথা, ২০২০ সালে সর্বোচ্চ পরিমাণ পানি পেয়েছে।