জঙ্গিবাদবিরোধী দীক্ষার উদ্যোগ নেবে র্যাব
জঙ্গিবাদ মোকাবিলায় প্রাতিষ্ঠানিক ‘ডির্যাডিক্যালাইজেশন’ বা জঙ্গিবাদবিরোধী দীক্ষার উদ্যোগ নেবে র্যাব।
গতকাল রোববার র্যাব সদর দপ্তরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা জানান সংস্থার অতিরিক্ত মহাপরিচালক কর্নেল তোফায়েল মোস্তফা সারোয়ার।
র্যাবের পক্ষ থেকে জানানো হয়, বগুড়ায় সাত জঙ্গিকে জঙ্গিবাদের আদর্শ থেকে সরিয়ে আনতে পুনর্বাসনের উদ্যোগ নিয়েছিল তারা। এই উদ্যোগে তারা সফল। এখন তারা বড় কর্মসূচি নেবে। সে জন্য শিক্ষক ও ধর্মীয় নেতাদের সমন্বয়ে একটি দল গঠন করা হয়েছে।
রাজধানীর গুলশানের হোলি আর্টিজানে জঙ্গি হামলার পর ২০১৬ সালে র্যাব সাতজনকে পুনর্বাসনে পাঁচ লাখ টাকা করে দিয়েছিল।
কর্নেল তোফায়েল মোস্তফা সারোয়ার বলেন, সহিংস উগ্রবাদে জড়ানোর পাঁচটি স্তর আছে। প্রথম তিনটি স্তরে থাকা ব্যক্তিদের ডির্যাডিক্যালাইজেশনের মাধ্যমে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করবে র্যাব।
র্যাবের ভাষ্যমতে, এই তিন স্তরের প্রথমে আছে তারা, যারা জঙ্গিদের প্রতি সহমর্মিতা দেখায়। দ্বিতীয় স্তরে থাকা ব্যক্তিরা জঙ্গি কার্যক্রমকে সমর্থন করে। তৃতীয় স্তরে থাকা ব্যক্তিরা জঙ্গিগোষ্ঠীতে নাম লেখায়, চাঁদা ও কর্মী সংগ্রহ করে।
র্যাব বলছে, চতুর্থ ও পঞ্চম স্তরে গিয়ে জঙ্গিবাদে উদ্বুদ্ধ ব্যক্তিরা সহিংসতায় যুক্ত হয়। তারা পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে।
কর্নেল তোফায়েল মোস্তফা সারোয়ার বলেন, জঙ্গিবাদকে আদর্শিকভাবে মোকাবিলা করতে হয়। তাঁরা সে চেষ্টা করবেন।
ক্রসফায়ার প্রসঙ্গে র্যাবের অতিরিক্ত মহাপরিচালক বলেন, ক্রসফায়ার নিয়ে মানুষের মধ্যে ভ্রান্ত ধারণা আছে।
কর্নেল তোফায়েল মোস্তফা সারোয়ার বলেন, তাঁরা যেকোনো অপরাধের মূলোৎপাটন করতে চান। সে কারণে মাদকবিরোধী অভিযানের অংশ হিসেবে সাইকেল র্যালিসহ সচেতনতামূলক কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন।