জামরুল দাদু!

নিজের বাগানে জামরুল দাদু!
নিজের বাগানে জামরুল দাদু!

চাকরিজীবন শেষ করে এলাকার শিশুদের জন্য নিজ বাড়ির আঙিনায় জামরুল ফলের বাগান তৈরি করেছেন তিনি। ওই বাগানে কয়েক প্রজাতির জামরুলগাছ রয়েছে। আর এতে ফলও ধরেছে নানা রঙের। এই গাছ আর গাছের জন্য তিনি এখন এলাকার শিশুদের কাছে পরিচিত হয়ে উঠেছেন ‘জামরুল দাদু’ নামে।

ওই জামরুল দাদুর বাড়ি পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার নাজিরপুর ইউনিয়নের বড় ডালিমা গ্রামে। তাঁর প্রকৃত নাম মো. আবু বক্কর (৬৭)। তিনি ছিলেন জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা। ২০১০ সালে অবসরে এসে তিনি নিজ বাড়ির আঙিনায় সোয়া দুই শতক জমির ওপর জামরুলের বাগান তৈরি করেন। ওই বাগানে বর্তমানে নয় প্রজাতির ২০টি জামরুলগাছ আছে। তিনি নিজেই বাগানের পরিচর্যা করেন। আর এতে সহযোগিতা ও উৎসাহ জুগিয়েছেন তাঁর স্ত্রী মাছুমা আক্তার (৫৮)।
এ সময়টায় জামরুল গাছে ফল আসে। শিশুদের আনাগোনাও বাড়ে এই দাদুর কাছে। এমনই এক শিশু স্বনির্ভর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী আয়েশা আক্তার বলে, ‘আমাগো জামরুল দাদু খুব ভালো। হে আমাগো জামরুল পেড়ে দেয়। আমরা মজা করে খাই।’
মো. ফারুক হোসেন গাজী (৪৮) নামের এক অভিভাবক বলেন, ‘শিশুদের প্রিয় মানুষ হলেন তিনি। সবার কাছে তিনি জামরুল দাদু নামেই পরিচিত।’
আবু বক্কর জানান, অলস সময় কাটাতে তাঁর ভালো লাগে না। আর এ কারণেই বাড়ির কাছে স্বনির্ভর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিশু শিক্ষার্থীদের জন্যই তিনি ওই জামরুলের বাগান তৈরি করেছেন। বাগানে চায়না লাল, চায়না সবুজ, আপেল, রেশমি লাল, রেশমি গোলাপি, সাদা ও দুধ মালাই প্রজাতির জামরুলগাছ রয়েছে। অধিকাংশ গাছেই ফল ধরেছে।
তিনি আরও বলেন, দেখতে দৃষ্টিনন্দন হওয়ায় শিশুদের বেশি পছন্দ চায়না লাল জামরুল। বছরের ছয় মাস এই জামরুলের ফলন হয়।