জামালখান খাল থেকে ৪০ অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ

চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ) নগরের জামালখান খাল থেকে ৪০টির বেশি স্থাপনা উচ্ছেদ করে। ছবি: প্রথম আলো
চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ) নগরের জামালখান খাল থেকে ৪০টির বেশি স্থাপনা উচ্ছেদ করে। ছবি: প্রথম আলো

চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ) নগরের জামালখান খাল থেকে ৪০টির বেশি স্থাপনা উচ্ছেদ করেছে। এর মধ্যে অধিকাংশ বহুতল ভবন। এসব স্থাপনা খালের জায়গা দখল করে নির্মিত হয়েছে। অভিযানে সহায়তা করে সেনাবাহিনীর ৩৪ ইঞ্জিনিয়ার কনস্ট্রাকশন ব্রিগেড।

আজ মঙ্গলবার সকাল নয়টা থেকে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত এই অভিযান চলে। নগরের জামালখান এলাকা থেকে এই অভিযান শুরু হয়। অভিযানে উপস্থিত ছিলেন সিডিএর স্পেশাল মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুল আলম চৌধুরী, সিডিএর প্রকল্প পরিচালক ও নির্বাহী প্রকৌশলী আহমদ মঈনুদ্দিন, উপপ্রকল্প পরিচালক কাজী কাদের নেওয়াজ।

সিডিএ সূত্র জানায়, নগরের লাভলেইন থেকে সাবএরিয়া পর্যন্ত খালের দুই কিলোমিটার অংশে ৫০টির বেশি ভবন গড়ে উঠেছে। এর মধ্যে প্রায় সব কটি ভবনই ছয়তলার ওপরে।

আজ দুপুরে সরেজমিনে দেখা যায়, নগরের জামালখান এলাকায় ১২ তলাবিশিষ্ট ইকুইটি মিলেনিয়াম নামের একটি ভবনের আংশিক অংশ খালের ওপর গড়ে উঠেছে। সিডিএর নিয়োজিত কর্মীরা ভবনের এই অবৈধ অংশ ভেঙে দেন।

‘চট্টগ্রাম শহরের জলাবদ্ধতা নিরসনকল্পে খাল পুনঃখনন, সম্প্রসারণ, সংস্কার ও উন্নয়ন’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় এই উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। সিডিএর ৫ হাজার ৬১৬ কোটি টাকার এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে সেনাবাহিনী। এই প্রকল্পের আওতায় নগরের ৩৬টি খাল থেকে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে গত ২ জুলাই অভিযান শুরু হয়। ওই দিন নগরের রাজাখালী খালের ওপর গড়ে ওঠা ভবনগুলো অপসারণ করা হয়। জামালখান খাল হচ্ছে ৩৫তম খাল। এসব খাল প্রায় আড়াই হাজারের বেশি স্থাপনা ভাঙা হয়েছে।

সিডিএর নির্বাহী প্রকৌশলী ও প্রকল্প পরিচালক আহমদ মঈনুদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, নিয়ম অনুযায়ী খাল থেকে ১২ ফুট দূরে ভবন করতে হয়। কিন্তু এসব ভবন তো তা অনুসরণ করেনি। উল্টো ভবন নির্মাণের জন্য খালের জায়গা দখল করেছে। তাই এসব ভবন ভেঙে ফেলা হয়েছে। অভিযানের প্রথম দিন সব ভবন অপসারণ করা সম্ভব হয়নি। বাকিগুলো পরে ভাঙা হবে।