জামালপুরে ত্রাণের দাবিতে বিক্ষোভ

ত্রাণের দাবিতে বিক্ষোভ করেন বগালী গ্রামের মানুষ। ছবি: প্রথম আলো
ত্রাণের দাবিতে বিক্ষোভ করেন বগালী গ্রামের মানুষ। ছবি: প্রথম আলো

ত্রাণের দাবিতে জামালপুর সদর উপজেলার শরিফপুর ইউনিয়নের বগালী গ্রামের কর্মহীন হয়ে পড়া লোকজন বিক্ষোভ করেছেন। এসব মানুষের বেশির ভাগই রাজমিস্ত্রীর জোগালি, মাটিকাটা শ্রমিক ও রিকশাচালক। ৮ এপ্রিল রাত থেকে জামালপুর জেলা লকডাউন অবস্থায় আছে।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, আজ শনিবার বেলা ১১টার দিকে বগালী গ্রামের লোকজন জড়ো হয়ে গ্রামের সড়কে দাঁড়িয়ে ত্রাণের দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান দিয়ে বিক্ষোভ করেন। দ্রুত সময়ের মধ্যে তাঁরা ত্রাণ সহায়তার দাবি করেন।

বগালী গ্রামের বাসিন্দা নবাব আলী বলেন, এই গ্রামে তিন শতাধিক মানুষ রয়েছে। করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মরার আগে তাঁদের না খেয়ে মরার উপক্রম হয়েছে। ১৬ দিন ধরে তাঁরা কর্মহীন। কোথাও যেতে পারছেন না। সব ধরনের কাজকর্ম বন্ধ রয়েছে। ইচ্ছা থাকলেও কেউ কোনো রোজগার করতে যেতে পারছেন না। বাইরে গেলেই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ধাওয়া খেতে হয়। তাহলে তাঁরা সংসার চালাবেন কী করে। এ গ্রামে এখনো সরকারি বা বেসরকারি কোনো ত্রাণ সহায়তা দেওয়া হয়নি। দ্রুত সময়ের মধ্যে ত্রাণ সহায়তা না দিলে, এ গ্রামের মানুষের বেঁচে থাকা কঠিন হয়ে যাবে।
শরিফপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ‘বড় বেকায়দায় রয়েছি। পুরো ইউনিয়নে ৪০ হাজার ভোটার। এর মধ্যে করোনাভাইরাসের কারণে প্রায় ১৫ হাজার মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়েছেন। তাঁদের মধ্যে আবার বেশির ভাগ দিনমজুর, ইজিবাইকচালক ও শ্রমিক। তাঁদের অবস্থা খুবই খারাপ। করোনা সংক্রমণের প্রথম সপ্তাহে মাত্র ৩১০ জনের ত্রাণ সহায়তা পেয়েছিলাম। এত মানুষের মধ্যে সেগুলো দিতে গিয়ে হিমশিম খেতে হয়েছে। ত্রাণ সহায়তা না পেলে আমি এত মানুষকে কীভাবে দেব। ব্যক্তিগতভাবে আমি ১০০ থেকে ২০০ মানুষকে দিতে পারব। জরুরি ভিত্তিতে এ ইউনিয়নে ত্রাণ সহায়তার প্রয়োজন। বরাদ্দ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বগালী গ্রামে আগে বিতরণ করা হবে।’
জামালপুরের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ এনামুল হক বলেন, ‘তাঁরা কেন বিক্ষোভ করবেন। পর্যাপ্ত পরিমাণ ত্রাণ রয়েছে। ওই গ্রামের যে কেউ ত্রাণের জন্য আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারতেন। তাহলে ওই গ্রামে ত্রাণ পৌঁছে যেত। সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের মাধ্যমে ওই গ্রামের তালিকা করে ত্রাণ দেওয়া হবে।’