শুল্ক ফাঁকি দিতে কাস্টমস কর্মকর্তার সই জালিয়াতি করে চট্টগ্রাম বন্দর থেকে ১৪ ট্রাক পণ্য (ঢেউটিন ও ইস্পাতের কাঁচামাল) খালাস করেছিলেন এক আমদানিকারক। পণ্যভর্তি এসব ট্রাক নেওয়া হচ্ছিল ঢাকার কেরানীগঞ্জে আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানের গুদামে। কিন্তু সেখানে পৌঁছার আগেই গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে সীতাকুণ্ড থেকে ফেনী পর্যন্ত ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক থেকে এসব পণ্য জব্দ করা হয়।
কাস্টমস সূত্রে জানা গেছে, কেরানীগঞ্জের ফারুক এন্টারপ্রাইজ নামের একটি প্রতিষ্ঠান কানাডা থেকে ৩০০ টন ঢেউটিন ও ইস্পাতের সামগ্রী তৈরির কাঁচামাল জিপি শিট আমদানি করে। শুল্ক ফাঁকি দিতে প্রতিষ্ঠানটি আমদানি নথিতে ‘হট রোল’ উল্লেখ করে। বিষয়টি যাতে যাচাই-বাছাই করা না হয়, সে জন্য কাস্টমস কর্মকর্তার সই জালিয়াতি করে প্রতিষ্ঠানটি। জালিয়াতি করা সই দেখিয়ে গতকাল বিকেল চারটায় বন্দর থেকে খালাসও করে নেয় প্রতিষ্ঠানটি।
খালাসের পরই নথি যাচাই-বাছাই করার সময় সই জালিয়াতির বিষয়টি টের পান কাস্টমসের উপকমিশনার চপল চাকমা এবং সহকারী কমিশনার আবু হানিফ মোহাম্মদ আবুল আহাদ। এরপর সন্ধ্যা ছয়টা থেকে রাত নয়টার মধ্যে ফেনী কাস্টমসের সহায়তায় অভিযান চালিয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সীতাকুণ্ড থেকে ফেনী পর্যন্ত এলাকা থেকে ১৪ ট্রাক পণ্য জব্দ করা হয়।
সহকারী কমিশনার আবু হানিফ মোহাম্মদ আবদুল আহাদ বলেন, প্রতিষ্ঠানটি ৫০ লাখ টাকার শুল্ক-কর ফাঁকি দেওয়ার জন্য সই জালিয়াতি করেছে। তবে ১৪ ট্রাক পণ্যই জব্দ করা হয়েছে। এখন আমদানিকারকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।