জাহালমকে ১৫ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে নির্দেশ

  • নিরপরাধ জাহালম গ্রেপ্তার ৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬

  • ৩৩ মামলায় ‘ভুল’ আসামি জেলে—প্রথম আলোয় বিশেষ প্রতিবেদন ২৮ জানুয়ারি, ২০১৯

  • হাইকোর্ট জাহালমকে মুক্তির নির্দেশ দেন ৩ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯

  • ১ হাজার ৯২ দিন কারাবাসের পর জাহালমের মুক্তি ৪ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯

  • ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২০

মো. জাহালম
ফাইল ছবি

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলায় বিনা অপরাধে তিন বছর জেল খাটা জাহালমকে ১৫ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে হাইকোর্ট রায়ে বলেছেন, জাহালমের মতো আর কোনো নিরীহ লোক যেন ভবিষ্যতে দুদকের মামলায় জেল না খাটে। দুদককে যথাযথভাবে তদন্ত করারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের সমন্বয়ে গঠিত ভার্চ্যুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ বুধবার এই রায় দেন। প্রথম আলোকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আবদুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার। তিনি বলেন, সোনালী ব্যাংকের ১৮ কোটি টাকা আত্মসাতের ঘটনার মামলায় প্রধান আসামি আবু সালেকের পরিবর্তে নিরীহ জাহালমকে চিহ্নিত করার ক্ষেত্রে ব্র্যাক ব্যাংকের দুজন কর্মকর্তা অন্যতম ভূমিকা রেখেছেন বলে হাইকোর্ট রায় উল্লেখ করেছেন। রায় প্রকাশের ৩০ দিনের মধ্যেই জাহালমকে এই ক্ষতিপূরণের টাকা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।

একই সঙ্গে দুদকের মামলা তদন্ত প্রক্রিয়ার সঙ্গে জড়িত ১২ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা দ্রুত নিষ্পত্তি করার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। ‘৩৩ মামলায় “ভুল” আসামি জেলে: “স্যার, আমি জাহালম, সালেক না…” শিরোনামে গত বছরের ২৮ জানুয়ারি প্রথম আলোতে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। প্রতিবেদনটি নজরে আনা হলে হাইকোর্টের ওই বেঞ্চ স্বতঃপ্রণোদিত রুলসহ আদেশ দেন। রুলে সোনালী ব্যাংকের ১৮ কোটি টাকা ঋণ জালিয়াতির অভিযোগে দুদকের করা ৩৩ মামলায় তিন বছর ধরে কারাগারে থাকা নিরপরাধ জাহালমকে মুক্তি দিতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে নিষ্ক্রিয়তা বিষয়ে জানতে চাওয়া হয়। জাহালমকে ক্ষতিপূরণ দিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা-ও রুলে জানতে চাওয়া হয়। আদালতের নির্দেশে গত বছরের ৩ ফেব্রুয়ারি কারাগার থেকে মুক্তি পান জাহালম। এরপর গত ১২ ফেব্রুয়ারি রুলের ওপর শুনানি শেষ হয়।'স্যার, আমি জাহালম, সালেক না…'