জাহিদকে খুঁজে পায় না পুলিশ

মুন্সিগঞ্জ সদর উপজেলার এক ব্যবসায়ীকে হত্যার হুমকি দিয়েছেন সাতটি মামলার আসামি জাহিদ হাসান। পুলিশের কাছে অভিযোগ দিয়েও কোনো প্রতিকার না পেয়ে ওই ব্যবসায়ী জেলা প্রশাসককে অভিযোগ দিয়েছেন। পুলিশ বলছে, তারা জাহিদকে খুঁজে পাচ্ছে না।
ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী মো. আরিফ হোসেন পঞ্চসার ইউনিয়নের নয়াগাঁও পূর্বপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। গত রোববার তিনি জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ দেন। তিনি বলেন, গত ১৬ সেপ্টেম্বর নয়াগাঁও পূর্বপাড়ায় তাঁর পৈতৃক বাড়ির পাশে কেনা জমিটি জাহিদ দলবল নিয়ে দখল করতে যান। তাঁরা ইট দিয়ে সীমানাপ্রাচীর নির্মাণের চেষ্টা করলে তিনি বাধা দেন। এ সময় তাঁকে মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া হয়।
এ ঘটনায় ওই দিনই তিনি সদর থানায় নিরাপত্তা চেয়ে সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। এদিকে জিডি করার খবর পেয়ে ২২ সেপ্টেম্বর জাহিদ দলবল নিয়ে নয়াগাঁওয়ের নাসির মেম্বারের বাড়ির সামনে জাহিদকে ঘেরাও করেন ও প্রাণনাশের হুমকি দেন। সর্বশেষ ৩ অক্টোবর আরিফ হোসেন শহরের সুপার মার্কেট এলাকায় গেলে সেখানেও তাঁকে হুমকি দেওয়া হয়। এরপর এ বিষয়ে প্রতিকার চেয়ে তিনি ৫ অক্টোবর পুলিশ সুপার বিপ্লব বিজয় তালুকদারের কাছে লিখিত অভিযোগ দেন। তাতেও কিছু না হওয়ায় রোববার তিনি জেলা প্রশাসক মো. সাইফুল হাসানের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন।
আরিফ হোসেন গতকাল মঙ্গলবার মুঠোফোনে বলেন, ‘জাহিদের হুমকি-ধমকির কারণে এখন আমার জীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে। তাঁর ভয়ে মুন্সিগঞ্জ যেতেই ভয় লাগে।’
সদর থানার ওসি ইউনুস খান বলেন, জাহিদের বিরুদ্ধে হত্যা, মাদক, চাঁদাবাজি, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডসহ সাতটি মামলা রয়েছে। তিনি সব মামলায় জামিনে আছেন। তবে ব্যবসায়ী আরিফ হোসেনকে হুমকি দেওয়ার বিষয়ে তিনি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেবেন।
পুলিশ সুপার বিপ্লব বিজয় তালুকদার বলেন, তিনি ব্যবসায়ীর অভিযোগ পেয়েছেন। জাহিদকে গ্রেপ্তারের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পুলিশ এর আগে একাধিকবার তাঁর বাড়িতে অভিযান চালিয়েও তাঁকে পায়নি।
জেলা প্রশাসক মো. সাইফুল হাসান বলেন, ‘জাহিদকে গ্রেপ্তারের জন্য পুলিশ ও র্যাবকে বলা হয়েছে। পুলিশ ও র্যাব নাকি তাঁকে খুঁজে পায় না। সে নাকি পালিয়েছে। পালিয়ে থাকলে আবার কী করে জমি দখল করতে যায় বা ব্যবসায়ীকে দলবল নিয়ে প্রাণনাশের হুমকি দেয়।’