জিনিয়াসদের যত কাণ্ড

ভাইয়া, আবিরকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। হবিগঞ্জের দলনেতা গালিবের কথা শুনে একটুও ভয় লাগল না। উল্টো বললাম, দেখো কোথাও বসে হয়তো ইন্টারনেটের দুনিয়ায় ঘুরপাক খাচ্ছে! কথাটা যে ভুল বলিনি তার প্রমাণ একটু পরই পাওয়া গেলো। ক্যাম্পের মেন্টর তিতাস আহমেদের রুমে প্রোগ্রামিং আর ওয়েবসাইট ডেভেলপিং নিয়ে হবিগঞ্জের আবির হাসান গবেষণা করছে। এই হলো আই-জিনিয়াসদের হারিয়ে যাওয়া। একটু সময় পেলেই শুরু হয় ইন্টারনেট নিয়ে গবেষণা।
দুষ্টামিতেও তারাই এগিয়ে। এক আড্ডায় সেন্ট যোসেফ স্কুলের দলনেতা রুম্মানকে বলা হলো কিছু একটা করে দেখাতে। রুম্মান নাচতে নাচতে বলতে শুরু করল, ‘চলো গিয়ে দেখি, মা রাঁধছে কী! ও নুডুলস!’ ওদিকে একই স্কুলের সদা গোমরামুখ করে রাখা জালাল মাঝেমধ্যেই বলে ওঠে, ‘দাদা, ওসব অশুভ কথা বলতে নেই।’ তবে চট্টগ্রামের মাইশা মিশকাতকে কখনোই কিছু বলতে হতো না। কথাবার্তা ছাড়াই সে নাচত। তার ভাষায় ‘মুনওয়াক’!
আবার মুখবাঁকা করে সেলফি তোলায় সবাই ছিল এগিয়ে। শিক্ষার্থীদের মুঠোফোনে জমা হওয়া এই মুখবাঁকা সেলফিগুলোই হয়তো স্মৃতি হয়ে থাকবে পুরো আয়োজনের।