জিয়ার বীর উত্তম খেতাব বাতিল মুক্তিযুদ্ধের অবমাননার শামিল

মুক্তিযুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের পাওয়া রাষ্ট্রীয় খেতাব ‘বীর উত্তম’ বাতিলের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়েছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বিএনপিপন্থী শিক্ষকদের সংগঠন ‘জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরাম’। আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে সংগঠনটি এ নিন্দা জানায়।

সংগঠনটি বলছে, স্বাধীনতার ৫০ বছর পর জাতীয় মুক্তিযুদ্ধ কাউন্সিল (জামুকা) জিয়াউর রহমানের রাষ্ট্রীয় খেতাব বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এ সিদ্ধান্ত অনভিপ্রেত, দুরভিসন্ধিমূলক ও দুঃখজনক। গত এক যুগের বেশি সময় ধরে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ও তাঁর পরিবারকে ধ্বংস করার যে ধারাবাহিক ষড়যন্ত্র চলছে, খেতাব বাতিলের সিদ্ধান্ত এরই অংশ। এ সিদ্ধান্ত জনগণ মেনে নেবে না।

সংগঠনের দপ্তর সম্পাদক মুহাম্মদ যাকারিয়া স্বাক্ষরিত এ বিবৃতিতে বলা হয়, ‘জামুকার খেতাব বাতিলের সিদ্ধান্ত কেবল শহীদ জিয়াকেই নয়, প্রকারান্তরে মহান মুক্তিযুদ্ধের অবমাননা করা হয়েছে। এমন হঠকারী সিদ্ধান্ত রাজনীতিতে সুফল বয়ে আনবে না।

কারণ, বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের অনন্য অবদান রয়েছে। অবদানের জন্য স্বাধীনতাত্তোর সরকার তাঁকে ‘‘বীর উত্তম’’ খেতাব দেয়। ২৫ মার্চের কালরাতে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর বর্বরোচিত হামলার পর বিধ্বস্ত ও হতচকিত জাতি বেতারে জিয়াউর রহমানের কণ্ঠ শুনে ভরসা পেয়েছে। পাল্টা আক্রমণে উদ্বুদ্ধ হয়েছে। দেশের জন্য অকুতোভয়ে লড়াই করা এ মহান বীরের খেতাব রাষ্ট্রশক্তি জোর করে কেড়ে নিতে চাচ্ছে। তবে জনমনে যে ইতিহাস রচিত হয়ে আছে, সেই ইতিহাস অমর, অক্ষয় হয়ে থাকবে; তা রাষ্ট্রশক্তির হুমকিতে কখনো মুছে ফেলা যাবে না।’

বিবৃতিদাতা শিক্ষকেরা হলেন ফোরামের সভাপতি মোহাম্মদ আল আমীন, সাধারণ সম্পাদক এস এম নছরুল কদির, মো. শফিকুল ইসলাম, মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন, মুহাম্মদ যাকারিয়া, জাহেদ হোসাইন সিকদার, মোহাম্মদ আলী চৌধুরী, মো. মোয়াজ্জেম হোসেন মিয়া, মো. এম মারুফ হোসেন, মোহাম্মদ কামাল হোসাইন, মোহাম্মদ সালেহ জহুর প্রমুখ।