জুনায়েদ বাবুনগরীর দাফন হবে ফটিকছড়িতে

জুনায়েদ বাবুনগরী
ফাইল ছবি

হেফাজতে ইসলামের আমির জুনায়েদ বাবুনগরীর দাফন হবে তাঁর গ্রামের বাড়ি ফটিকছড়ির বাবুনগর গ্রামে। এর আগে বাবুনগরীর জানাজা আজ বৃহস্পতিবার রাত ১১ টায় চট্টগ্রামের দারুল উলুম মঈনুল ইসলাম হাটহাজারী মাদ্রাসায় অনুষ্ঠিত হবে। গ্রামের বাড়িতে নাকি হাটহাজারী মাদ্রাসা সংলগ্ন এলাকায় দাফন তাঁর হবে—তা নিয়ে আলোচনা চলছিল। পরে বৈঠক করে গ্রামের বাড়িতে দাফনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
চট্টগ্রাম নগরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে দুপুর ১২টার দিকে কর্তব্যরত চিকিৎসক জুনায়েদ বাবুনগরীকে মৃত ঘোষণা করেন।

সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, জুনায়েদ বাবুনগরীকে দাফনের জন্য কবর খোঁড়া হয় হাটহাজারী মাদ্রাসা মসজিদ সংলগ্ন এলাকায়। ওদিকে তাঁর গ্রামের বাড়ি ফটিকছড়িতে বাবুনগর মাদ্রাসা সংলগ্ন এলাকায়ও কবর তৈরি করা হয়। আজ বিকেলে বাবুনগরীর মরদেহ গ্রামের বাড়িতে নেওয়া হলে পরিবারের লোকজনসহ সবাই সেখানেই দাফন করার দাবি তোলেন। পরে আজ রাত নয়টায় হাটহাজারী মাদ্রাসার জ্যেষ্ঠ শিক্ষকেরা ও বাবুনগরীর পরিবারের লোকজন বসে সিদ্ধান্ত নেন, গ্রামের বাড়ি বাবুনগরেই তাঁর দাফন হবে। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বাবুনগরীর মামা হেফাজত ইসলামের প্রধান উপদেষ্টা মাওলানা মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী। জানাজার নামাজে ইমামতি করবেন তিনি।

বৈঠকে উপস্থিত হাটহাজারী মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষা পরিচালক মাওলানা শুয়াইব প্রথম আলোকে বলেন, ‘মাদ্রাসার শিক্ষক ও পরিবারের লোকজন জুনায়েদ বাবুনগরীকে গ্রামের বাড়ি ফটিকছড়ির বাবুনগরে দাফন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।’
জুনায়েদ বাবুনগরী দীর্ঘদিন ডায়াবেটিসসহ নানা রোগে ভুগছিলেন। আজ সকাল সাড়ে ১০টার দিকে শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে চট্টগ্রাম নগরের বেসরকারি হাসপাতাল সিএসসিআরে নেওয়া হয়। সেখানে নেওয়ার পর দুপুর ১২টার দিকে হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।

জুনায়েদ বাবুনগরী দারুল উলুম মঈনুল ইসলাম হাটহাজারী মাদ্রাসার শিক্ষা পরিচালক ছিলেন। গত বছরের ১৫ নভেম্বর তিনি হেফাজতের আমির নির্বাচিত হন। এর আগে ২০১৩ সালে হেফাজত প্রতিষ্ঠার শুরু থেকে তিনি মহাসচিব ছিলেন।