জুমাতুল বিদা ও পবিত্র শবে কদর আজ

আজ শুক্রবার পবিত্র জুমাতুল বিদা ও আল কুদস দিবস। আজ দিবাগত রাতেই পবিত্র শবে কদর। ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের কাছে কদর মহিমান্বিত একটি রাত। এই রাতে ইবাদত করলে হাজার মাসের চেয়ে বেশি ইবাদতের সমান সওয়াব পাওয়া যায়।
অন্যদিকে রমজান মাসের শেষ শুক্রবার মুসলমানদের কাছে তাৎপর্যপূর্ণ একটি দিন। বস্তুত জুমাতুল বিদার মধ্য দিয়ে রমজান মাসকে বিদায় জানানো হয়। শারীরিকভাবে সক্ষম প্রতিটি মুসলমান বিশেষ সওয়াব হাসিলের উদ্দেশ্যে জুমাতুল বিদায় অংশ নেন।
মুসলমানদের প্রথম কিবলা বায়তুল েমাকাদ্দাস মুক্তির লক্ষ্যে রমজান মাসের শেষ শুক্রবার সারা বিশ্বে আল কুদস দিবস পালিত হয়। বাংলাদেশেও এ দিবসটি পালন করে আল কুদস কমিটি। এ উপলক্ষে আজ সকাল সাড়ে নয়টায় বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন (বিএমএ) মিলনায়তনে ‘সমস্যার ঘূর্ণাবর্তে মুসলিম বিশ্ব: প্রেক্ষিত আল কুদস ও ফিলিস্তিনের স্বাধীনতা’ শীর্ষক সেমিনারের আয়োজন করা হয়েছে।
রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণীতে শবে কদর উপলক্ষে বাংলাদেশসহ মুসলিম বিশ্বের সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও মোবারকবাদ জানিয়েছেন। বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াও সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে পৃথক বিবৃতি দিয়েছেন।
প্রতিবছরের মতো এবারও কদরের রাতটি ফিরে এসেছে। সৌভাগ্যবশত, এবার জুমাতুল বিদার রাতেই পবিত্র শবে কদর হচ্ছে। সারা বিশ্বের মুসলমানদের কাছে সওয়াব হাসিল ও গুনাহ মাফের রাত হিসেবে শবে কদরের ফজিলত অতুলনীয়। এই রাতে পবিত্র কোরআন নাজিল হয় এবং এই রাতকে কেন্দ্র করে ‘আল কদর’ নামে একটি সূরাও অবতীর্ণ হয়। হাদিস অনুযায়ী, ২০ রমজানের পর যেকোনো বিজোড় রাতে কদর হতে পারে। তবে ২৬ রমজান দিবাগত রাতেই শবে কদর আসে বলে আলেমদের অভিমত।
ইসলাম ধর্মে বলা হয়েছে, অন্যান্য সময় এক হাজার মাস ইবাদত করলে যে সওয়াব পাওয়া যাবে, কদরের এই এক রাতের ইবাদতে তার চেয়ে বেশি সওয়াব হাসিল করা সম্ভব।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মুসলমানদের মতো বাংলাদেশের মুসলমানেরাও নিজেদের গুনাহ মাফ এবং অধিক সওয়াব হাসিলের আশায় নফল ইবাদত, কোরআন তেলাওয়াত, জিকির-আজকার আর বিশেষ মোনাজাতের মধ্য দিয়ে রাতটি অতিবাহিত করবেন। এই রাতকে উপলক্ষ করে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের সর্বত্রই মসজিদে মসজিদে তারাবি নামাজের কোরআন খতম সম্পন্ন হবে। এ ছাড়া মসজিদে মসজিদে ওয়াজ, দোয়া-দরুদ, জিকির-আজকার ও বিশেষ মোনাজাতের আয়োজন করা হয়েছে। পবিত্র এই রাতে অনেকেই কবরস্থানে গিয়ে স্বজনদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে দোয়া করবেন।
এ উপলক্ষে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে জুমার নামাজের আগে থেকে ফজরের নামাজ পর্যন্ত শবে কদরের গুরুত্ব ও তাৎপর্য নিয়ে আলোচনা, মিলাদ, কোরআনের তাফসির, কিয়ামুল লাইল বা বিশেষ নামাজের জামাত হবে। ফজরের নামাজের পর বিশেষ মোনাজাত করবেন মসজিদের পেশ ইমাম মাওলানা এহসানুল হক।