টিকা নিয়ে হঠাৎ অনিশ্চয়তা

দেশে দ্রুত অক্সফোর্ড–অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা পাওয়া নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। ভারতের টিকার চাহিদা মেটানোর আগে অন্য দেশকে বাণিজ্যিকভাবে টিকা না দেওয়ার বিষয়ে উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান সেরাম ইনস্টিটিউটের বক্তব্য এ অনিশ্চয়তা তৈরি করেছে। সেরামের সঙ্গে চুক্তি নিয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও বেক্সিমকোর পক্ষ থেকে দুই ধরনের কথা বলা হয়েছে।

সোমবার দুপুরে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মোহাম্মদ আবদুল মান্নান সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, টিকার ব্যাপারে বাংলাদেশ ও ভারত সরকারের (জিটুজি) মধ্যে চুক্তি আছে। অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক উপস্থিত ছিলেন। এরপরই বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) নাজমুল হাসান প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা সেরাম ইনস্টিটিউটের সঙ্গে যে চুক্তি করেছি, তা দুই দেশের সরকারের মধ্যকার চুক্তি না। বেক্সিমকো যে চুক্তি করেছে, তা বাণিজ্যিক চুক্তি।’ একই কথা তিনি সন্ধ্যায় তাঁর বাসভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনেও বলেছেন।

গত নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহে ভারতের টিকা উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান সেরাম ইনস্টিটিউটের সঙ্গে বাংলাদেশ সরকার ও বেক্সিমকোর ত্রিপক্ষীয় চুক্তি হয়। অক্সফোর্ডের টিকা কোভিশিল্ড নামে উৎপাদন করছে সেরাম ইনস্টিটিউট। সেরাম থেকে টিকা এনে বাংলাদেশ সরকারের হাতে তুলে দেবে বেক্সিমকো।

অক্সফোর্ডের টিকার অনুমোদন দিয়েছে যুক্তরাজ্য ও ভারত। বেক্সিমকোর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরও অক্সফোর্ডের টিকা বাংলাদেশে আমদানি ও জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন দিয়েছে। একই দিন এ টিকা যুক্তরাজ্যের মানুষকে দেওয়া শুরু হয়েছে।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক প্রায় প্রতিদিনই বলে আসছেন, জানুয়ারির শেষ সপ্তাহে বা ফেব্রুয়ারির প্রথম দিকে বাংলাদেশে টিকা আসবে। গত পরশু সেরাম ইনস্টিটিউটের প্রধান নির্বাহী আদর পুনাওয়ালার সাক্ষাৎকারের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, আগামী দুই মাসে তাঁরা ভারতের টিকার চাহিদা পূরণ করবেন। ভারত সরকারকে প্রাথমিকভাবে ১০ কোটি ডোজ টিকা সরবরাহের পরই টিকা রপ্তানি করা সম্ভব হতে পারে। এ নিয়ে গতকাল প্রথম আলোর প্রথম পাতায় সংবাদ ছাপা হয়েছে। এ ছাড়া আদর পুনাওয়ালাকে উদ্ধৃত করে বার্তা সংস্থা এপি বলেছে, বাণিজ্যিকভাবে টিকা দিতে নিষেধাজ্ঞা আছে।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে সংবাদ সম্মেলন

সেরাম ইনস্টিটিউটের নির্বাহী প্রধানের এ বক্তব্য গণমাধ্যমে আসার পর নানা প্রশ্ন দেখা দেয়। কী হচ্ছে টিকা নিয়ে, তা জানতে গতকাল সকাল থেকে সাংবাদিকদের মধ্যে দৌড়ঝাঁপ শুরু হতে দেখা যায়। সোনারগাঁও হোটেলে একটি অনুষ্ঠানে যোগ না দিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক চলে যান মন্ত্রণালয়ে।

টিকার ট্রায়ালসহ কিছু ক্ষেত্রে বাংলাদেশ সরকারের আরও দক্ষতা ও যোগ্যতার পরিচয় দেওয়ার সুযোগ ছিল।
অধ্যাপক রশীদ–ই–মাহবুব, বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি

দুপুরে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক সাংবাদিকদের বলেন, করোনার টিকা রপ্তানিতে ভারত নিষেধাজ্ঞা দিলেও চুক্তি অনুযায়ী সময়মতো তা পাবে বাংলাদেশ। সবকিছু মিলে সরকার সময়মতোই টিকা পাবে। তিনি বলেন, ‘আমাদের সঙ্গে যে চুক্তি হয়েছে, সেই চুক্তি ব্যাহত হবে না। নিষেধাজ্ঞার কথা আপনারা যতটা জেনেছেন, আমরাও তাই জেনেছি।’

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, নিষেধাজ্ঞার খবর আসার পর বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কথা হয়েছে। ভারতের হাইকমিশনারের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। তা ছাড়া তাঁরা কথা বলেছেন ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটের এদেশীয় এজেন্ট বেক্সিমকোর কর্মকর্তাদের সঙ্গে। তাঁরা কেউ নেতিবাচক কথা বলেননি।

যদি ভারত শেষ পর্যন্ত টিকা না দেয়, কী করবে সরকার জানতে চাইলে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের শুধু প্রত্যাশা নয়, চুক্তি আছে তাদের সঙ্গে। চুক্তিকে তারা নিশ্চয়ই সম্মান করবে।’ তিনি বলেন, টিকার দাম বাবদ অর্থ ছাড়ের বিষয়টিও চূড়ান্ত পর্যায়ে। এটা প্রায় ১ হাজার ২০ কোটি টাকা।

টিকা নিয়ে বিকল্প ভাবনার বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, চীন, রাশিয়াসহ বিভিন্ন দেশের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। টিকার পরীক্ষার (ট্রায়াল) বিষয়ে চীনের একটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে নতুন করে আলোচনা হচ্ছে।

সংবাদ সম্মেলনের শেষের দিকে যখন মন্ত্রী সাংবাদিকদের ধন্যবাদ জানান, তখন মুঠোফোনে কথা বলছিলেন স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব আবদুল মান্নান। ফোনে কথা বলা শেষ করে তিনি মন্ত্রীকে জানান, ভারতের হাইকমিশন থেকে একটা বার্তা এসেছে। তিনি সে বার্তা দেওয়ার জন্য মন্ত্রীর অনুমতি চান এবং সাংবাদিকদের বলেন, আপনাদের জন্য আরেকটি সুসংবাদও আছে। এ সময় মন্ত্রী বলেন, ‘আমি যেটা বলেছি, ওটাই বলেন।’

ভারতের টিকা রপ্তানির নিষেধাজ্ঞার খবরের বিষয়ে সেরাম ইনস্টিটিউটের জনসংযোগ কর্মকর্তা মায়াঙ্ক সেন দিল্লিতে বিবিসিকে জানিয়েছেন, টিকা রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞার যে খবর প্রকাশিত হয়েছে, তা পুরোপুরি সঠিক নয়। কারণ, তাঁদের টিকা রপ্তানির ওপর কোনো নিষেধাজ্ঞা নেই।

এ সময় স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব বলেন, ‘প্রথমে আমি বলব, হতাশ হওয়ার কিছু নেই। আমি যে এখন ফোনটি করলাম, সেটা বাংলাদেশে ভারতের ডেপুটি হাইকমিশনারকে। তিনি জানিয়েছেন, আমরা যে চুক্তি করেছি, এটার আর্থিক বিষয়গুলো যেমন কীভাবে টাকা যাবে, কীভাবে ব্যাংক গ্যারান্টি দেবে, ব্যাংক গ্যারান্টির বিপরীতে আমরা কত টাকা দেব—এ কাজটি হয়েছে সরকার টু সরকার (জিটুজি)। আর যে নিষেধাজ্ঞার কথা বলা হচ্ছে, তা দেশটির (বাণিজ্যিক কর্মকাণ্ডের) অভ্যন্তরীণ বিভিন্ন সংস্থার সঙ্গে হওয়া চুক্তির, আমাদের সঙ্গে না। আরেকটি বিষয় হচ্ছে, কয়েক দিন আগে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি নিজেও তিন কোটি ডোজ টিকার কথা বলেছেন। এ ছাড়া আমাদের চুক্তির সময় ভারতের হাইকমিশনার উপস্থিত ছিলেন। কাজেই আমাদের বিষয়টি জিটুজি।’

স্বাস্থ্যসচিব বলেন, ‘মোদ্দা কথা হলো, যে ধরনের সংবাদ প্রচারিত হচ্ছে, তা ঠিক নয়। সবকিছু ঠিক থাকলে ভ্যাকসিন হাতে পেতে বড়জোর ফেব্রুয়ারি মাস লাগতে পারে।’

বেক্সিমকো যা বলছে

অবশ্য সেরাম ইনস্টিটিউটের সঙ্গে চুক্তিটি সরকারি পর্যায়ে নয় বলে জানিয়েছেন বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালসের এমডি নাজমুল হাসান। তিনি গতকাল রাজধানীর গুলশানে সন্ধ্যায় সাংবাদিকদের বলেন, ‘এখানে জিটুজির (বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে ভারতের সরকার) কোনো প্রশ্নই ওঠে না। মানে আমার জানা নেই। যে জিটুজির কথা স্বাস্থ্যসচিব বলেছেন, সেটি কোন ভ্যাকসিনের কথা বলছেন, আমি জানি না। এটা হতে পারে অন্য ভ্যাকসিন।’

আগামী দুই মাসে ভারতের টিকার চাহিদা পূরণের পর রপ্তানির খবরের প্রসঙ্গে নাজমুল হাসান বলেন, ‘যে নিউজটার কথা উঠেছে, আমিও শুনেছি। আমরা এখনো এটি নিয়ে অত চিন্তিত না। কারণ, আমাদের চুক্তি হয়ে গেছে। চুক্তিতে পরিষ্কার বলা আছে, আমাদের দেশে অনুমোদনের এক মাসের মধ্যে তাদের (সেরাম) টিকা দিতে হবে। এটা একটা আন্তর্জাতিক চুক্তি।’

নাজমুল হাসান বলেন, চুক্তি অনুযায়ী সেরাম ইনস্টিটিউট ভারত সরকার ও বাংলাদেশকে একই সময়ে টিকা দেবে। টিকা পাওয়ার আগে টিকার অর্থ পরিশোধ করতে হবে। শুরুতে ৫০ লাখ টিকা দেবে। এরপর প্রতি মাসে ৫০ লাখ করে ছয় মাসে মোট তিন কোটি টিকা দেবে।

এদিকে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর বেক্সিমকোকে টিকা আমদানির অনুমোদন দিয়েছে। গতকাল সন্ধ্যায় ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মাহবুবুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা টিকা আনার জন্য এনওসি দিয়ে দিয়েছি।’

তবে মানুষকে টিকা দেওয়ার আগে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অনুমোদনের জন্য অপেক্ষা করতে পারে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা মনে করছেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা অক্সফোর্ড–অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার অনুমোদন দিতে বেশি সময় নেবে না। বাংলাদেশে ব্যবহার হওয়া সব টিকাই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অনুমোদন পাওয়া।

কীভাবে টিকা পাবে বাংলাদেশ

গতকাল পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক অনুষ্ঠানের ফাঁকে গণমাধ্যমকে বলেন, বাংলাদেশকে করোনার টিকা দেওয়ার ব্যাপারে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী বাংলাদেশ যথাসময়ে ভারত থেকে টিকা পাবে। ভারত যখন টিকা পাবে, বাংলাদেশকেও তখন করোনার টিকা সরবরাহ করবে সেরাম ইনস্টিটিউট।

আব্দুল মোমেন বলেন, ‘ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়েছে, আমাদের মধ্যে যে দ্বিপক্ষীয় চুক্তি হয়েছে, সেটি পালন করা হবে। ওরা বলেছে, ভ্যাকসিনের বিষয়ে অন্য কোনো নিষেধাজ্ঞা থাকতে পারে। কিন্তু যেহেতু একেবারে সর্বোচ্চ পর্যায় অর্থাৎ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মধ্যে আলাপ করে এটা হয়েছে, কাজেই বাংলাদেশ প্রথম টিকা পাবে। কোনো ধরনের নিষেধাজ্ঞা এখানে কার্যকর হবে না।’

চুক্তিটি দুই দেশের সরকারের মধ্যে হয়েছিল কি না, জানতে চাইলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘এটি আমার জানা নেই।’

ভারতের কূটনৈতিক সূত্রে জানা গেছে, প্রাথমিকভাবে জিটুজি ব্যবস্থায় বাংলাদেশে টিকা পাঠানো হবে। এটি বাণিজ্যিক ব্যবস্থাপনার আওতায় হবে না। পরে ব্যাপকভিত্তিক উৎপাদন নিশ্চিত করা গেলে বাণিজ্যিক চুক্তির আওতায় সরবরাহ করা হবে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা মনে করছেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা অক্সফোর্ড–অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার অনুমোদন দিতে বেশি সময় নেবে না। বাংলাদেশে ব্যবহার হওয়া সব টিকাই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অনুমোদন পাওয়া।

দ্রুত টিকা পেতে অনিশ্চয়তা

করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের উদ্ভাবিত টিকা দেওয়া শুরু হয়ে গেছে। গতকাল পর্যন্ত অন্তত ৩০টি দেশে টিকা দেওয়া চলছে বলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।

সেরাম ছাড়া অন্য কোনো প্রতিষ্ঠান বা দেশের সঙ্গে বাংলাদেশ সরকার টিকা আনার ব্যাপারে চুক্তি করেছে বলে জানা যায়নি। তবে সেরাম থেকে টিকা কবে আসবে, তা–ও অনিশ্চিত। গতকাল ভারতের টিকা রপ্তানির নিষেধাজ্ঞার খবরের বিষয়ে সেরাম ইনস্টিটিউটের জনসংযোগ কর্মকর্তা মায়াঙ্ক সেন দিল্লিতে বিবিসিকে জানিয়েছেন, টিকা রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞার যে খবর প্রকাশিত হয়েছে, তা পুরোপুরি সঠিক নয়। কারণ, তাঁদের টিকা রপ্তানির ওপর কোনো নিষেধাজ্ঞা নেই। তবে রপ্তানি শুরুর আগেই ভারত সরকারকে ১০ কোটি টিকা দেওয়ার বিষয়ে সম্মত হয়েছে। কিন্তু এ মুহূর্তে তারা রপ্তানি করতে পারবে না, যেহেতু তাদের রপ্তানির অনুমতি নেই।

সেরামের বাইরে করোনার টিকাবিষয়ক বৈশ্বিক উদ্যোগ কোভ্যাক্স থেকে বাংলাদেশে সরকার ভর্তুকি মূল্যে টিকা পাবে। সেই টিকা কবে আসবে, তা–ও এখনো নিশ্চিতভাবে কেউ বলতে পারছেন না।

সরকারের পক্ষ থেকে অবশ্য বারবার বলা হয়েছে, সরকার সম্ভাব্য সব উৎস থেকে টিকা আনার চেষ্টা চালাচ্ছে। কিন্তু বাস্তবে দেশের কত মানুষের জন্য টিকার ব্যবস্থা হয়েছে, কবে সেই টিকা মানুষ পাবে, তা স্পষ্ট হচ্ছে না।

এ ব্যাপারে বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি অধ্যাপক রশীদ–ই–মাহবুব প্রথম আলোকে বলেন, ‘টিকার ট্রায়ালসহ কিছু ক্ষেত্রে বাংলাদেশ সরকারের আরও দক্ষতা ও যোগ্যতার পরিচয় দেওয়ার সুযোগ ছিল।’