টিকিট পেয়েও যাওয়া হলো না তাঁদের

সৌদি আরব এয়ারলাইনসের কার্যালয়ে টিকিটের দাবিতে সৌদিপ্রবাসীরা
এএফপি ফাইল ছবি

সরকারনির্ধারিত স্থান থেকে করোনা পরীক্ষা না করায় ৩২ জন প্রবাসীকে সৌদি আরবগামী ফ্লাইটে উঠতে দেওয়া হয়নি। তাঁদের ছাড়াই গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় সৌদি এয়ারলাইনসের ফ্লাইটটি জেদ্দার উদ্দেশে ছেড়ে যায়। হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন তৌহিদ-উল আহসান এ কথা জানান।

বিমানবন্দরের স্বাস্থ্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ শাহারিয়ার সাজ্জাদ বলেন, সৌদি আরবে যাওয়ার জন্য মহাখালীর ডিএনসিসি করোনা স্যাম্পল কালেকশন বুথে করোনা পরীক্ষা করাতে হয়। কিন্তু ৩২ জন সেখানে করোনা পরীক্ষা না করিয়ে বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতালে করিয়েছেন। তাঁদের কাছে করোনা নেগেটিভ সনদ থাকলেও সেটি গ্রহণযোগ্য নয়। তিনি বলেন, ২৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সৌদি এয়ারলাইনসের চারটি ফ্লাইট ঢাকা থেকে ছেড়ে গেছে। এখন পর্যন্ত করোনা পজিটিভ কোনো যাত্রী শনাক্ত হননি। রিপোর্ট না পাওয়ার কারণে কোনো যাত্রীকে বিমানবন্দর থেকে ফেরত দেওয়ার ঘটনাও ঘটেনি। যেতে না পারা নূর ইসলাম নামের এক সৌদিপ্রবাসীর স্বজন মো. আলমগীর প্রথম আলোকে বলেন, সৌদি এয়ারলাইনস কর্তৃপক্ষ আশ্বাস দিয়েছে, নতুন করে করোনা পরীক্ষা করালে অন্য ফ্লাইটে তাঁদের নেওয়া হবে।

শেষ মুহূর্তে আসছে করোনা পরীক্ষার ফল

জাহিদ হোসেন নামের এক যুবক গতকাল শনিবার বেলা একটার দিকে এসেছেন মহাখালীর ডিএনসিসি করোনা স্যাম্পল কালেকশন বুথের সামনে। হাতে একটি ছোট শপিং ব্যাগ। পরনে শার্ট-প্যান্ট। এই অবস্থাতেই জাহিদকে যেতে হবে সৌদি আরব। অথচ তাঁর ফ্লাইট ছিল সন্ধ্যা পৌনে সাতটায়। কিন্তু করোনা টেস্টের ফল পেয়েছেন বেলা পৌনে দুইটায়। জাহিদের আর বাড়ি ফেরার সুযোগ নেই। তাই ছোট শপিং ব্যাগ নিয়ে রওনা হয়েছেন বিমানবন্দরে।

মহাখালীর ডিএনসিসি করোনা স্যাম্পল কালেকশন বুথে রিপোর্ট নিতে গতকাল শত শত সৌদিপ্রবাসী ভিড় করেন। কম সময়ের মধ্যে করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট নিয়ে কীভাবে ফ্লাইটে যাবেন, সেটি নিয়ে অনিশ্চয়তায় ছিলেন তাঁরা। আর রিপোর্ট পেয়ে প্রায় সবাইকে এক কাপড়ে ছুটতে হয়েছে বিমানবন্দরে।

সৌদিপ্রবাসী ফিরোজ আলম বলেন, ‘শনিবার দুপুর ১২টায় টিকিট পেয়েছি। বেলা ১টায় টেস্ট করাইছি। আমার ফ্লাইট রোববার দুপুর ১২টায়। সকাল সাতটার মধ্যে বিমানবন্দরে যেতে হবে। কিন্তু ইমিগ্রেশনের আগে করোনা টেস্টের রিপোর্ট না পেলে কী হবে আমার?’